মোহাম্মদ মিলন আকতার
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি
ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলায় ৩ নং বকুয়া ইউনিয়নের রুহিয়া চাপধা গ্রামে স্বামীর সঙ্গে বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে আসে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার দক্ষিণ পাড়িয়ার এক নারী গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় ঐ নারী বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে শনিবার (২০ আগষ্ট) হরিপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
মামলায় অভিযুক্তরা হলেন- হরিপুর উপজেলার বকুয়া ইউনিয়নের চাপধা হাটপুকুর গ্রামের সলেমান আলীর ছেলে ফজলুর রহমান(২০) চাপধা পিপলা গ্রামের করিমুল ইসলামের ছেলে রিসাত(১৯), ও চাপধা গুচ্ছগ্রামের শাহজাহান আলীর ছেলে আকাশ(১৯)। তদন্তের স্বার্থে বাকি দুইজনের নাম না প্রকাশে অনুরোধ রয়েছে।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ঠাকুরগাঁওয়ে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার দক্ষিণ পাড়িয়া এলাকার ওই নারী দুই সন্তানের জননী।গত শুক্রবার (১৯ আগষ্ট) বিকেল সাড়ে চারটার দিকে, তিনি রুহিয়া চাপধা এলাকা স্বামীর বন্ধুর বাড়ি থেকে রাণীশংকৈলে বোনের বাড়িতে যাওয়ার পথে, আনুমানিক বিকাল সাড়ে চারটা দিকে , উপজেলার কামারপুকুর অটো স্ট্যান্ড হইতে ঐ নারী কে (২৮) অপহরণ করে, বকুয়া ইউনিয়নের চাপধা বাজারের পুর্ব উত্তর পাশে আনোয়ার মাস্টারের আম বাগানের ভিতরে নিয়ে যায় এবং তার ছেলে মাসুম(৭) এর গলায় ছুড়ি ধরে জিম্মি করে বিবস্ত্র করে গণধর্ষণ করে ।
আনুমানিক রাত সাড়ে ১২ সময় ধর্ষকরা ঐ নারীকে রাস্তার পাশে ফেলে পালিয়ে যাবার সময় স্থানীয় লোকজন ধর্ষক ফজলুর রহমানকে আটক করে ৯৯৯ ফোন দেয়। ফজলুর রহমান ও ভিকটিমের ভাষ্যমতে হরিপুর থানা পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে আরো দুই ধর্ষক রিসাত ও আকাশকে আটক করে। ঐ নারী হরিপুর থানায় গিয়ে মামলা করেন।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হরিপুর থানার ওসি(তদন্ত) জানান, মামলা হয়েছে। ৫ জন আসামি মধ্যে ৩জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে অন্য আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ভুক্তভোগীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।