মোঃ মতিউর রহমান জেলা রিপোর্টার বাংলাদেশ 01724356013 চট্টগ্রাম বন্দরে দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকা ১৯টি কনটেইনারের বিপজ্জনক ও ধ্বংসযোগ্য পণ্য পরিবেশসম্মত উপায়ে ধ্বংস করা হয়েছে। নিলাম অযোগ্য বিপজ্জনক পণ্য বিনষ্টকরণের লক্ষ্যে গঠিত আন্তঃসংস্থা কমিটির তত্ত্বাবধানে এ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এনবিআর জানায়, গত ২৫ অক্টোবর সকাল ৯টা থেকে ২৬ অক্টোবর রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত পণ্য ধ্বংসের কাজ চলে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, আনসার সদস্য এবং স্থানীয় বন্দর থানা পুলিশের সদস্যরা ধ্বংসস্থলে সহায়তা করেন। ধ্বংস করা পণ্যের মধ্যে ছিল— আনকোটেড ক্যালসিয়াম কার্বোনেটের ১৬ কনটেইনার, অরেঞ্জ ইমালশন ১ কনটেইনার, সুইট হুই পাউডার ১ কনটেইনার এবং স্কিমড মিল্ক পাউডার ১ কনটেইনার। কনটেইনারগুলো দীর্ঘদিন ধরে বন্দরে জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে ছিল এবং বন্দরের নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকি তৈরি করেছিল বলে জানিয়েছে এনবিআর এ ধ্বংস কার্যক্রমে নেতৃত্ব দেন কমিটির আহ্বায়ক চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মোহাম্মদ নূরুল্লাহ নূরী। এতে পরিবেশ অধিদপ্তর, বিস্ফোরক অধিদপ্তর, ডিজিএফআই, এনএসআই, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ ও চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে, গত বছর অক্টোবর মাসে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজ ও বন্দর কর্তৃপক্ষ যৌথভাবে ১৪ বছর ধরে পড়ে থাকা ৪টি অতি দাহ্য পণ্য সফলভাবে ধ্বংস করেছিল। বন্দর এলাকায় কনটেইনার জট কমাতে এনবিআর ইতোমধ্যে ৬ হাজার ৬৯টি কনটেইনারের ইনভেন্টরি সম্পন্ন করে দ্রুত নিলাম কার্যক্রম শুরু করেছে। উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কনটেইনার ইতোমধ্যে বিক্রিও সম্পন্ন হয়েছে। বিবৃতিতে এনবিআর জানায়, চট্টগ্রাম বন্দরের সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকা বিপজ্জনক পণ্যগুলো পর্যায়ক্রমে ধ্বংসের কাজ অব্যাহত থাকবে