মোকছেদুল ইসলাম ফুলপুর ময়মনসিংহ উজানেতে বাড়ি আমার ভাটিয়ালির ডেউ। মাঝি ছাড়া নৌকা আমি, পর্দায় উড়ে ঢেউ । উড়ার পথে যাব আমি, এইনা ভাটিয়ালে। মাঝি ছাড়া নৌকা আমি বাতাসেতে উড়ে। মাঝির খোঁজে যাব আমি বাতাসেতে উড়ে। উজানেতে আস্তে হলে মাঝি খুঁজতে হবে। ভাবছি বসে দোকানেতে কবে যাব খুঁজতে। খুঁজার আগে দেয় যে দেখা ওচিন গায়ের মেয়ে। সেই মেয়ের দেখা পায় দুকানেতে বসে। ঠিক করিতে আসে যুতা মুচির দুকান এতে। হঠাৎ করে চোখ পড়ে যায় তারি সাথে আমার। অনেক স্বপ্ন নিয়ে দেখা পায় যে আমি তার। হটাৎ করে হারিয়ে যায় অচেনা এই মোরে। পারিনা যে ধরতে আমি বাসি কেমনে ভালো । সকাল সন্ধ্যায় মনে পরে বুঝাই কি করে। পরের দিন আবার এসে দিলো আমায় দেখা। সিলি করতে আসে তারা বান্ধবীর যুতা । পারিনা যে বাহির হতে দেখতে তাঁহারে। কষ্ট নিয়ে মন কারিয়া যায়রে চলে ফিরে। অনেক সুযোগ পাইছি আমি বলতে তো পারিনা। মনের ভয়ে কয় না কথা বাঁশি কেমনে ভালো। সে যে আর দেইনা দেখা আমারি অন্তরে। কত দাওয়াত দিলাম মাঝি আসো না তো ফিরে। তবুও আমি হাল ছাড়ি না বসে থাকি ঘরে। পায়ে হেটে বাড়ি যাবো রাইখা নৌকা ঘাটে। যেদিন পাব মাঝির দেখ নিবো আমি নৌকা। বলবো আমি হইছি সুখী মাঝিরে দেখা পাইয়া । থাকতে মানুষ দেয় না মূল্য তাইতো মানুষ হারায়, হারায় গেলে মানুষ তখন পাগল হয়ে খোঁজে বেড়ায়। থাকতে যদি পারো দিতে প্রিয় মানুষের মূল্য। দুঃখ তোমায় স্পর্শ করবে না যতোদিন বেঁচে থাকো। মোকছেদুল তোমায় খুইঝা বেড়ায় এখনো যে ঘাটে। কেউ পায় পেয়ে কষ্ট কেউ না পেয়ে। ইতিহাস খুঁজলে পায়বা তোমারি ঘরে।