হাকিকুল ইসলাম খোকন ,যুক্তরাষ্ট্র সিনিয়র প্রতিনিধিঃনিউজার্সি স্টেটের প্যাটারসন সিটি কাউন্সিলের নির্বাচনে ‘সিটি কাউন্সিল এ্যাট লার্জ’ পদে জয়ী হয়েছেন বাংলাদেশি আমেরিকান মো. ফরিদউদ্দিন। ১০ মে অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে গিলমান চৌধুরী নামক আরেক বাংলাদেশি লড়েন কিন্তু জয়ী হতে পারেননি। উল্লেখ্য, উভয়েই সিলেটের গোলাপগঞ্জের সন্তান এবং কম্যুনিটি ঐক্যবদ্ধ হলে দু’জনই জয়ী হতে পারতেন বলে এলাকার অভিজ্ঞজনরা মনে করছেন। কারণ, ‘সিটি কাউন্সিল এ্যাট লার্জ’র ৩ আসনের জন্য ভোট হয়েছে। চার বছর মেয়াদি এ নির্বাচনে প্যাটারসন সিটির মেয়র পদে পুনরায় জয়ী হয়েছেন আন্দ্রে সায়েঘ। সিরিয়ান বংশোদ্ভূত আন্দ্রে তার সকল প্রতিদ্বন্দ্বীর মোট ভোটেরও অধিক পেয়েছেন বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রে বলা হয়েছে। অপরদিকে, প্যাটারসনের হাই স্কুল শিক্ষক মো. ফরিদ বিজয় ছিনিয়ে নিতে নিজের সঞ্চিত ৫০ হাজার ডলার ব্যয় করেন। এটি হচ্ছে সিটি মেয়রের সমান্তরাল একটি পদ অর্থাৎ পুরো সিটির উন্নয়ন-কল্যাণে মেয়রকে পরামর্শ দেবেন এবং নিজের পরিকল্পনাসমূহ বাস্তবায়িত করার সক্ষমতা রাখবেন। এই সিটির একটি ওয়ার্ডে কাউন্সিলম্যান হিসেবে আগেই নির্বাচিত হয়ে আছেন শাহীন খালিক। তিনিও সিলেটের সন্তান। নিউইয়র্ক সিটি সংলগ্ন প্যাটারসনে বসবাসরত প্রবাসীদের ৮০% হলেন সিলেটি। রাজনীতির পাশাপাশি তারা সকলেই ব্যবসায় প্রতিষ্ঠিত। পেশাগতভাবে নতুন প্রজন্মের অবস্থানও সংহত। এখন তারা রাজনীতিও প্রশাসনে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত হচ্ছেন। ফরিদউদ্দিন নিজের অনুভূতি ব্যক্তকালে এ বারসনিঊজকে বলেন, এ বিজয় বাঙালিদের এবং এই সিটিতে বাংলাদেশিদের সামগ্রিক উন্নয়নকে আমি অবশ্যই প্রাধান্য দেব। বিরাজমান সমস্যার সমাধানে সাধ্যমত চেষ্টা করবো। নতুন প্রজন্মের এই উত্থানকে স্বাগত জানিয়ে ‘আমেরিকা-বাংলাদেশ এলায়েন্স’র প্রেসিডেন্ট ও মুলধারার রাজনীতিক এবং যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের প্রতিষ্টাতা সাধারন সম্পাদক এমএ সালাম বলেন, ‘জাতিগতভাবে আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ হতে পারি তাহলে প্যাটারসনের মেয়র পদটিও দখলে সক্ষম হবো। আশা করছি ব্যাপারটি সকলে বিশেষ দৃষ্টিতে নিয়ে এখন থেকেই কাজ শুরু করবেন। ’