তৌফিক এলাহী বগুড়া প্রতিনিধিঃবগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজ ক্যাম্পাসে বাগানের ফুল না ছিঁড়তে শিক্ষার্থীদের পরিবেশবাদী সংগঠন তীর থেকে সচেতনতামূলক প্রচারপত্র টাঙ্গানো হয় । ফুল বা পুষ্প হল উদ্ভিদের বিশেষ একটি মৌসুমী অঙ্গ যা উদ্ভিদের প্রজননে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।ফুল সৌন্দর্যের জন্য জনপ্রিয় । ফুল থেকে উদ্ভিদের ফল হয় ।ফুল উদ্ভিদের সবচেয়ে দৃষ্টি নন্দন অংশ । পৃথিবীতে খাদ্য হিসেবে ফুলের মধুর কোনো তুলনা নেই।আর বর্তমানের সরকারি আজিজুল হক কলেজ ক্যাম্পাসে ফুটে আছে বাহারি রকমের ফুল। সাম্প্রতিক সময়ে সরকারি আজিজুল হক কলেজ ক্যাম্পাসে ফুল ছেঁড়া এবং তা হাতে নিয়ে ছবি তোলার প্রবণতা ব্যাপকভাবে লক্ষ্য করা গেছে । ফুল না ছিঁড়তে অনুরোধ করলে তীর কর্মিদের উপর অনেকে ক্ষীপ্ত হয়েছেন, আক্রমণ করে বসেছেন । ফুল ছেঁড়ার মাত্রা এতো ব্যাপক আকার ধারণ করেছে যে তা অনেক গাছের অস্তিত্ব সংকটে ফেলে দিয়েছে (ছবিতে আংশিক)। ফুল না ছিঁড়তে এবং সচেতনতা তৈরি করতে TEER- শিক্ষার্থীদের পরিবেশবাদী সংগঠন তীর আজ রবিবার কলেজ ক্যাম্পাসে সচেতনতামূলক প্রচারপত্র লাগিয়েছে। পরিবেশবাদী সংগঠন তীর এর সহ সভাপতি সাব্বির আহমেদ সাকিল বলেন, হাজার বছর ধরে ফুল সৌন্দর্যের প্রতীক হিসেবে সমাদৃত । ফুল পরিবেশকে সুন্দর রাখে। ফুল আমাদের পরিবেশেও অনেক বড় অবদান রাখে । পৃথিবীতে খাদ্য হিসেবে ফুলের মধুর কোনো তুলনা নেই । ফুলের মধু এমন একটি খাদ্য যা অনেক বছর পর্যন্ত সংরক্ষণ করে রাখা যায় । গাছে গাছে মৌমাছি, প্রজাপতিরা ফুলের মধু খেয়ে জীবনধারণ করে থাকে । ফুলে ফুলে উড়ে পরাগায়ণ ঘটায় । ফুল থেকে ফল সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখে । আবার ফুলকে সবসময় ভালবাসার প্রকাশ মাধ্যম হিসেবে ধরা যায়। তবে এটা গাছেই সৌন্দর্য শোভা পায় মানুষের হাতে না । আসুন আমরা সচেতন হই ।পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় অযথা ফুলকে নষ্ট না করি । কলেজ ক্যাম্পাসকে আরো সৌন্দর্যমণ্ডিত করি । এ বিষয়ে তীর এর সাধারণ সম্পাদক মোঃ রিফাত হাসান আরো জানান “ আমরা বিগত কিছুদিন থেকেই কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের পাশাপাশি বহিরাগতদের হাতেও ফুল ছেঁড়া, গাছের ক্ষতি করার বিষয়টি আমাদের মর্মাহত করে । যদিও তীর এর পক্ষ থেকে বছরের বিভিন্ন সময়ে ক্লাস ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা হয় এবং ক্যাম্পেইনে আমরা কলেজের পরিবেশ পরিচ্ছন্নতা, গাছের পরিচর্যা ও রক্ষণাবেক্ষণের বিষয়গুলো নবাগত ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে তুলে ধরি। কিন্তু করোনা মহামরী চলাকালে কলেজ বন্ধ থাকায় স্বল্প পরিসরে এমন ক্যাম্পেইন পরিচালনা করতে হয়েছে। তাই নবাগতদের মাঝে পরিবেশ ভাবনা ছড়িয়ে দেয়ার বিষয়টি পরিচালনায় তীর কতৃক পরিচালিত ক্লাস ক্যাম্পেইন কতটুকু গুরুত্ব বহন করে তা হঠাৎ ছাত্র-ছাত্রীদের আচরণগত এই পরিবর্তনই প্রমাণ করে। তবে আমরা আশাবাদী, কলেজের চলমান পূর্ণাঙ্গ কার্যক্রমের মাঝে ও করোনার স্বাভাবিক পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে তীর এর ক্যাম্পাস ভিত্তিক সচেতনতা কার্যক্রমকে আরও সম্প্রসারিত করা যাবে। যাঁর ফলে সামনের দিনগুলোতে আরো অধিক সংখ্যক মানুষকে সচেতন করা যাবে” আসুন ফুল ছেঁড়া থেকে বিরত থাকি, ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য বজায় রাখি ।