ফুলপুর উপজেলা প্রতিনিধি জুয়েল রানা ঈদের আগেই দেশের বাজারে ভোজ্য তেলের দাম দিন দিন বাড়েই চলছে। ময়মনসিংহের ফুলপুরের চিত্র ঠিক একই রকম। মাত্র সপ্তাহের ব্যবধানে সয়াবিন তেলের দাম লিটারপ্রতি বেড়েছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। সাকল্যে ১ লিটার তেলের দাম এখন ১৯০ থেকে ২১০ টাকা। চাহিদার বিপরীতে জোগান ঠিক থাকার পরও কেন বাড়ছে তেলের দাম, তার কারণ খুঁজতে রীতিমতো হিমশিমে পরেছে সরকার। তবে মিল মালিক ও পাইকাররা বলছে উল্টো কথা। জোগান সীমিত বিধায় দাম বাড়ছে ভোজ্য তেলের। তবে মালিকদের সঙ্গে হিসাব-নিকাশ করে সরকার সয়াবিন ও পাম তেলের দর ঠিক করে দিলেও তা কোথাও কার্যকর হচ্ছে না। তাই শত চেষ্টা করেও দাম কমানো বা নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না ভোজ্য তেলের দাম। তবে ফুলপুরের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা বলছেন, বড় আড়ৎ বা মিল মালিকরা ভোজ্য তেলের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করেছে অধিক মুনাফার লোভে। দেশের বাজারে এমন নজির আগেও দেখা গেছে। কোনো দুর্যোগ, যুদ্ধবিগ্রহ বা আমদানি কমে গেলে এ ধরনের সংকট বারবার সৃষ্টি করা হয়েছে। কিছুদিন আগেও পেঁয়াজের আমদানি বন্ধ হওয়ায় দেশবাসীকে কেজিপ্রতি ১২০-১৫০ টাকায় পেঁয়াজ কিনতে হয়েছে। অথচ দেশীয় পেঁয়াজে চাহিদা মেটানো গেলেও আমদানি নেই বলেই সৃষ্টি করা হতো কৃত্রিম সংকট। ভোজ্য তেলের ক্ষেত্রেও তেমন হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ফুলপুরের বেশ কিছু বাজারে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দোকানগুলোতে এখন আর বোতলজাত সয়াবিন বেশি পাওয়া যাচ্ছে না। অতিরিক্ত মুনাফার লোভে দোকানিরা বোতলের তেল ঢালছেন ড্রামে। যে ক্রেতার একসঙ্গে পাঁচ বা এক লিটারের বোতল কেনার সামর্থ্য নেই তিনি কিনছেন ২৫০ মিলিলিটার। আর সেই সুবাদেই দিনে-দুপুরে ভোজ্যতেলের বাজার নিয়ে চলছে এই নৈরাজ্য। ব্যবসায়ীদের এই জালিয়াতি কে ঠেকাবে, প্রশ্ন সাধারণ মানুষের। ফুলপুরের বাস-স্টেশন, ভাইটকান্দি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অনেকেই এখন প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ১৯০-২১০ টাকা দরে বিক্রি করছেন। ফুলপুরের রিকশাচালক ভেন চালকরা বলছেন, ‘এখন আর বোতলের তেল কেনার সামর্থ্য নেই। যখন যেটুকু লাগে সেটুকু কিনি। এতে খরচ কম হয়।’ ভোজ্যতেলের কোনো ঘাটতি না থাকলেও ডিলারদের কারসাজিতে বাজারে সয়াবিন তেলের ‘কৃত্রিম সংকট’ তৈরি হয়েছে। তেলের দাম আরো বাড়বে, এই আশায় মজুদ করে রাখছেন অনেক ব্যবসায়ী। সাধারণ মানুষের দাবি দ্রুত ঈদের আগেই ছোট,বড় সকল ব্যবসায়িদের গোডাউনে প্রশাসনের দ্রুত অভিযান পরিচালনা করার ।