মোঃ দেলোয়ার হোসেন সোনারগাঁ প্রতিনিধি নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার বৈদ্যার বাজার এলাকায় অবস্থিত আল-মোস্তফা গ্রুপের জাহাজ নির্মাণ প্রতিষ্ঠান। সেই প্রতিষ্ঠানটি প্রায় ১০থেকে ১৫ বছর যাবৎ ঐএলাকায় চালিয়ে আসছে। এই প্রতিষ্ঠানের মালিক আল মোস্তফা প্রভাবশালী হওয়ায় এলাকাবাসী ভয়ে মুখ খুলে কিছু বলতে চায় না । কিছু বললেই হামলা মামলা দেওয়ার হুমকি ধামকি দিয়ে থাকে। সোনারগাঁয়ে বিভিন্ন নেতা-কর্মীদের ও প্রশাসনের লোকদের ম্যানেজ করে তারা বৈদ্যার বাজার এলাকার মেঘনা নদীর সাথে শাখা নদী মেনিকালী নদীর প্রবেশদ্বারটি তাদের কোম্পানীর ঘাইট ওয়াল নির্মাণ করে দখল করে ফেলছে। এতে করে নদীর নাব্যতা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এলাকাবাসী জানিয়েছেন, প্রতিনিয়ত এভাবে দখল হতে থাকলে নদী তার নিজের অস্তিত্ব হারিয়ে ফেলবে। সেই সাথে আমরা সাধারণ জনগন না পারবো নদীতে গোসল করতে আর না পারবো অন্য কাজ করতে। চোখের সামনে আল -মোস্তফা কোম্পানী যেভাবে আস্তে আস্তে নদীর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে এতে করে মনে হয় একদিন এই নদী সম্পূর্ণটাই গিলে ফেলবে। এরূপ চলতে থাকলে আমাদের উপায় হবে কি? আমরা প্রশাসনের কাছে এর প্রতিকার চাই। এই আল -মোস্তফা গ্রুপ সোনারগাঁয়ের পিরোজপুর ইউনিয়নের ইসলামপুরে কিছু লোক হাত করে শত শত বিঘা সরকারি জমি দখল ও পিরোজপুরের আষাঢ়ি চর গ্রামের সাথে মেনার শাখা নদীর অনেক অংশ দখল করে নিয়েছে। অভিযোগ পাওয়া গেছে, প্রশাসনের অভিযানে মেঘনা নদী দখলদকারি আল -মোস্তফা গ্রুপের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। কিন্তু রহস্যজনক কারণে তাদের দখলকৃত নদীর জায়গা উদ্ধার করা হয়নি। বরং বছরের পর বছর প্রভাব খাটিয়ে গ্রুপটি যেভাবে নদী গিলে ফেলেছে তার চিত্র ফুটে উঠেছে বিভিন্ন গণমাধ্যমে। সংশ্লিষ্টরা জানান, আল -মোস্তফা গ্রুপের দখলে থাকা নদীর জায়গা দখলমুক্ত করতে একাধিকবার অভিযান শুরু হলেও মাঝপথে তা আটকে গেছে। এরপর আর সেখানে অভিযান পরিচালিত হয়নি। এতে করে অন্যান্য দখলদাররাও ছাড় পেয়ে গেছে। অতিশীঘ্রই স্থানীয় প্রশাসন এবং যথাযথ কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে আসু ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে সোনারগাঁও এবং তার আশেপাশের নদ নদী ও নালা সমূহের নাব্যতা ফিরিয়ে এনে, স্থানীয় কল্পে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে এমনটাই কামনা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।