কুমিল্লা লাকসামে যথাযোগ্য আয়োজনে উপজেলা-পৌরসভা, স্থানীয় প্রশাসন, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংস্থাসহ বিভিন্ন সংগঠন বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী যথাযথ মর্যাদায় জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচীর মাধ্যমে পৃথক পৃথক ভাবে এ দিনটি পালন করেছে।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকালে এ দিনটির স্মরণে স্থানীয় প্রশাসন ও রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠনের উদ্যোগে লাকসাম পৌরশহরের মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের সামনে স্থাপিত জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের মুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ, র্যালী, কেক কাটা, ৭ই মার্চের ভাষন প্রচার, ডকুমেন্টারী প্রদর্শণ, কবিতা আবৃত্তি ও সাংস্কৃতিক অনুৃষ্ঠান, আলোচনা সভা এবং পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠান পৃথক পৃথক ভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
স্থানীয় প্রশাসনসহ বিভিন্ন সংগঠন পৃথক-পৃথক আলোচনা সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, জাতিরজনক বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রাম জীবনের লক্ষ্যই ছিলো বাংলাদেশের স্বাধীনতা। সে স্বাধীনতা অর্জনের জন্য একটি রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ বাঙ্গালী জাতি করতে হবে তা তিনি অনুধাবন করতে পেরেছেন। মূলতঃ বঙ্গবন্ধুর ৭১ সালের মার্চের প্রথম সপ্তাহ থেকে শুরু করে নানাহ আন্দোলন ও ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষন ও স্বাধীনতা সংগ্রামের নানাহ আন্দোলন এ দেশের মানুষকে নতুন মানচিত্রের এক স্বপ্নের আন্দোলিত করান। কারন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জীবন ও রাজনীতির দর্শন ছিলো মানব প্রেম। তিনি ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্টের ২১ দফা থেকে শুরু করে ১৯৭৫ এর ১৫ আগষ্টের পূর্বদিন পর্যন্ত দেশের গণমানুষের উন্নয়নের কথা বলে গেছেন। স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের পক্ষে ছিলো তার রাষ্ট্রনীতি।
ওইদিন বঙ্গবন্ধুর মুরালে পুস্পস্তবক অর্পণ অনুষ্ঠানে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এড. ইউনুছ ভূঁইয়া, পৌর মেয়র অধ্যাপক আবুল খায়ের, উপজেলা নির্বাহী অফিসার একেএম সাইফুল আলম, উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান ও উন্নয়ন সমন্বয়কারী মহব্বত আলী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পড়শী সাহা, লাকসাম থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেজবাহ উদ্দিন ভূঁইয়া, নব-নির্বাচিত জেলা আইনজীবি সমিতির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আবু তাহের, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এড. রফিকুল ইসলাম হিরা ও গোবিন্দপুর ইউপি চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন শামীমসহ জাতীয় শিশু দিবস ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ১০২তম জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন পৃথক পৃথক কর্মসূচীতে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন, পৌর প্রশাসন, থানা পুলিশ, মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক, শিক্ষক, স্কাউট, উপজেলা-পৌরসভা আ’লীগ ও অঙ্গসংগঠন, রাজনৈতিক- সামাজিক ও বিভিন্ন পেশাজীবি সংগঠন অংশ গ্রহন করেন।