মোঃ সোহেল রানা স্টাফ রিপোর্টার। ঢাকা জেলা সাভার উপজেলা তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন। রাজফুলবাড়ীয়া বাজার থেকে ২০০ গজ সামনে গেলেই গনেস এর বাড়ী। ঐ বাড়ীতে প্রায় ২ যাবত তারা বসবাস করছিলেন। স্বামী ও স্ত্রী দুজনেই তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন AKH GARMENTS এ চাকুরী করতেন। সুখে শান্তিতে বসবাস করতে থাকেন। বিয়ের ১ বছর পার হওয়ার পর তাদের ঘরে একটি পুএ সন্তান জন্ম গ্রহন করে। পুএ সন্তান জন্ম গ্রহন হওয়ার পর মাস তিনেক এর মধ্যে ইতির স্বামী মামুন সংসারে বিভিন্ন কথাপ্রসঙ্গে অশান্তি সৃষ্টি করে। বাড়ি ওয়ালা গনেশ বিসয় টি জানতে পারে ও মামুনের বাবা আবু বক্কর সিদ্দিক তলক করেন। পরদিন সকালে মামুনের বাবা ও ইতির মা গনেশ এর বাড়িতে উপস্থিত হয়। মামুনের বাবা উপস্থিত হওয়ার কিছুখনের মধ্যে মামুন বাসা থেকে বের হয়ে আসে ও তার মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেয়। অনেক চেষ্টা করে কোনো যোগাযোগ করা গেলো না মামুনের সাথে। সংসারের অশান্তির বিসয় গুলো জানানো হয় মামুনের বাবা আবু বক্কর সিদ্দিক কে। তিনি সব জানতে পেরে সিদ্ধান্ত নেয় তার ছেলের বউ কে বাড়ি নিয়ে যাবে। এই কথায় সবাই ইচ্ছা প্রকাশ করে ও মামুনের বাবা তার পুএ বধূ কে তার বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলায় উলিপুর থানা যাদুপরদার গ্রামে নিয়ে আসে। শশুরবাড়ী বাড়িতে গিয়ে থাকতে ছিল মামুনের বউ ইতি। প্রায় ২ মাস যাবত মামুনের কোনো যোগাযোগ পাচ্ছিল না। কোনো উপায় না পেয়ে কুড়িগ্রাম থেকে রাজফুলবাড়ীয়া এলাকায় গনেশ এর বাড়িতে উপস্থিত হয় মামুনের বউ ইতি। বাসায় এসে দেখতে পায় মামুন অফিস শেষ হলে ঠিক মতো বাসায় আসতো না। বাইরে সময় দিতো ও নেশা করতো। ঘরের ভিতর সব কিছু উলট পালট করে দেখতে পায় মামুন বাসায় বসেও নেশা করতো। এরকম প্রমান পায় ইতি। দেখতে পায় কাগজে পেঁচানো থাকতো। কাগজটি খুলতে গিয়ে দেখতে পায় সিদ্ধি / গাজা ছিল ভিতরে। এবিষয়ে বাড়ির সকলকে জানায়। মামুন কে জিজ্ঞাসা করলে মামুন রেগে গিয়ে মার ধর শুরু করে ইতিকে। ইতি সব মুখ বুজে সজ্জ করতে না পেরে তার মা ও খালা আত্বীয়জনদের ডাক দিলে মামুন তখনি বাসা থেকে বের হয়ে যায়। তাকে সবাই ডাক দিলে মামুন উপস্থিত হয় নি কারো কথায়। কোনো পরিস্থিতি না পেয়ে নিরীহ নির্যাতিত নারী মোসাঃ ইতি আইনকে বিসয় টি জানায়। আশাবাদী সাভার মডেল থানা নির্যাতিত নারীকে আইনি সহযোগিতা দিয়ে দূত বিচার কার্য করতে সহায়তা করবে।