মোঃ মিলন আকতার ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি তীব্র লোডশেডিংয়ের কবলে পড়েছে ঠাকুরগাঁওসহ রংপুর বিভাগের আট জেলা। অভিযোগ রয়েছে, লোডশেডিং হয়ে তা কখনও কখনও তিন থেকে চার ঘণ্টা পর্যন্ত স্থায়ী হয়। অব্যাহত লোডশেডিংয়ের কারণে রংপুর বিভাগের শত শত কারখানায় উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে। এছাড়া ঈদকে সামনে রেখে বেচাকেনার ভরা মৌসুমেও শপিং মল ও বিভিন্ন দোকানে ক্রেতার দেখা নেই। এদিকে প্রচণ্ড গরমে জনজীবন অচল হয়ে পড়েছে। রবিবার (৩ জুলাই) রংপুরে সর্বোচ্চ ৩৫ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, জাতীয় গ্রিড থেকে চাহিদার তুলনায় অনেক কম বিদ্যুৎ পাওয়ায় ঘন ঘন লোডশেডিং দিতে হচ্ছে। তবে অবস্থা স্বাভাবিক হতে কত সময় লাগবে তা জানাতে পারেননি কোনও কর্মকর্তা। রংপুর বিদ্যুৎ বিভাগের নর্দান ইলেক্ট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানির (নেসকো) নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রকৌশলী বলেন, রংপুর বিভাগে পিক আওয়ারে বিকাল ৫টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত নেসকো ও পল্লী বিদ্যুৎ মিলিয়ে চাহিদা রয়েছে ৭০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। সেখানে পাওয়া যাচ্ছে সর্বোচ্চ ৫০০ মেগাওয়াট। ফলে বাধ্য হয়ে লোডশেডিং করে রেশনিংয়ের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে হচ্ছে। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা বলেন, রংপুর জেলাসহ পুরো বিভাগে তিন দিন ধরে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টার বেশি বিদ্যুৎ সরবরাহ সম্ভব হচ্ছে না। এদিকে রংপুর নগরীতে আরও ভয়াবহ অবস্থা। বিদ্যুতের অভাবে শপিং মলসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, কলকারখানা বন্ধ হয়েছে। প্রচণ্ড গরমে মানুষ প্রয়োজন ছাড়া বাসা থেকে বের হচ্ছে না। বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার টেইলাস ব্যবসায়ী মোঃ কামরুজ্জামান জানান, বিদ্যুৎ যায় কিন্তু কখন আসবে তা কেউ বলতে পারে না। একদিকে প্রচণ্ড গরম, অন্যদিকে লোডশেডিংয়ের কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত। এদিকে লোডশেডিংয়ের কারণে লেখাপড়া বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন অনেক অভিভাবক ও শিক্ষার্থী। সার্বিক বিষয়ে জানতে নেসকোর প্রধান প্রকৌশলী শাহাদত হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘রংপুর বিভাগে নেসকো আর পল্লী বিদ্যুতের চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে লোডশেডিং দিতে হচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘দিনের বেলায় রংপুর বিভাগে বিদ্যুতের চাহিদা ৬০০ মেগাওয়াট। সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে সর্বোচ্চ ৪০০ মেগাওয়াট। সন্ধ্যার পর থেকে চাহিদা ৭০০ মেগাওয়াট। পাওয়া যাচ্ছে সর্বোচ্চ ৫০০ মেগাওয়াট।’ এ অবস্থা সাময়িক দাবি করে নেসকোর ওই প্রকৌশলী আরও বলেন, ‘আশা করি দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে ।