জুয়েল রানা বিশেষ প্রতিনিধি ফুলপুর মানুষ কি মানবেতর জীবন যাপন করছে,কিভাবে মানুষ দু’বেলা দুমুঠো খাবার যোগাতে দিনকে রাত মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও মিলছেনা খাবার। কিভাবে মানুষের মৌলিক অধিকার অন্ন, বস্ত্র,বাসস্থান, চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হয়ে দুমড়েমুচড়ে রোগের তাড়নায় ছটফটিয়ে দুঃখে কষ্টে মরছে? তার খোঁজ হয়ত এই সুশীল সমাজের উচ্চবিলাসী বিত্তমাণরা রাখেনা। বুঝেনা তাদের মনের ব্যাথা শুনতে পায়না তাদের আত্নবিলাপ, তাদের প্রতি কেউ করুণার দৃষ্টিও দেয়না কারণ এরা অসহায় নিঃস্ব। এদের টাকা পয়সা নেই যে সোনালী হরিণ সরকারী সুযোগ সুবিধা ভোগ করবে। এমনি এক ভিক্ষুক ফুলপুর উপজেলার সাবেক ১০ নং ও বর্তমান ৮ নং রুপসী ইউনিয়নের ডনডনিয়া বড়ইকান্দির বাসিন্দা মৃত রহমত আলীর পুত্র মোঃ ইদ্রিস আলী (৬০) উরফে ইঞ্জিল মিয়ার দুঃখের কথা যে তার শরীরে হাজারো রোগের যন্ত্রণায় কাঁতর হয়েও হাঁশি মুখে মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়িয়ে জীবনের অন্তিমসময়ে উপনীত হয়েছে। যে জীবনের শুরু থেকে ভূমিহীন ,আজ পর্যন্ত তার থাকার মত একটি ঘর উঠাতে পারেনি, কেমনেই বা উঠাবে সারাদিন বালিয়া বাজার চষে এই স্টল থেকে ঐ স্টলের টুকটাক কাজ করে নিজের চা,পানের ব্যাবস্থা করেন৷ দু’বেলা ভাতের যোগাড় যার নেই তার আবার ঘরের চিন্তা? আর ঘরই বা তুলবে কোথায় সে তো ভূমিহীন যেখানে রাইত সেখানেই কাইত তার অবস্থা৷ আমি ছোট কাল থেকে যেই লোকটার এই দুঃখ হতাশা আর দূর্দশা দেখে আসছি তার প্রতি আমার অনেক করুণা সাধ্যমত আমি চাল, ডাল, ও নিজের খরচের টাকা হতে দান করে নিজেকে দায়মুক্ত ভেবে পেট পুরে খেয়ে আরামের ঘুমে নিমজ্জিত হয়ে ভূলে যায় যার আত্নবিলাপ৷ তবে সে আজ হঠাৎ আমার বাড়িতে এসে হাজির আমাকে দেখে বললো বাবা তোমাকে অনেকদিন যাবৎ খোঁজছি আমি, উত্তরে বললাম কেনো কি হয়েছে আপনার? সে বললো শরীরে রোগে বাসা বেঁধেছে ঘরে খাবার মত চাল নেই আজ অনেকদিন যাবৎ উপোষ কয়েকদিন আগে তুমি যে চাল দিয়েছিলে তা শেষ, কি খাবো কার কাছে যাবো কিছুই বুঝতেছিনা তুমি যদি একটা ছবি তুলে তোমার আইডিতে দিতা তাহলে হয়ত আমার কোনো একটা ব্যাবস্থা হত।। তার কথা গুলো শুনে আমার চোখ জ্বলে টলমল করে উঠলো বিছানা থেকে উঠেই একটা ছবি নিলাম, তারপর জিজ্ঞেস করলাম মাননীয় দেশরত্ন মানবতার মা জননেত্রী শেখ হাসিনা এত শত প্রকল্প আর কার্ড দিচ্ছে গৃহহীনদের তুমি কি তার কিছুই পাওনা?? সে বললো, জন্মের পর থেকে আজ পর্যন্ত সরকারি সুযোগ সুবিধা তো দূরের বিষয় ১ কেজী চালও পায়নি কখনো। তার এই হৃদয় বিদারক কথা গুলো আমার হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়ে যাচ্ছিলো বেশিক্ষণ কথা না বলে তাকে বিদায় দিলাম। রুপসী ইউনিয়নের দায়িত্বশীলদের কাছে আমার প্রশ্ন এই গৃহহীন লোকটি কি আদৌও সরকারি কোনো সুযোগ সুবিধার যোগ্য ছিলোনা? উপজেলা প্রশাসন ফুলপুর ময়মনসিংহসহ এলাকার বিত্তমাণদের কাছে আমার আবেদন এই ইদ্রিস আলী উরফে ইঞ্জিল মিয়ার দিকে একটু নজর দেন নিশ্চয়ই সৃষ্টিকর্তা আপনাদের মঙ্গল করবেন৷