হাফিজুর শেখ কেশবপুর যশোর জেলা প্রতিনিধিঃব্যাপক লোডশেডিং আর ভেলকিবাজির কারণে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন কেশবপুর পৌরসভা ও উপজেলাবাসী।এলাকাবাসী জানান, রমজান শুরুর পর থেকেই এ উপজেলায় তীব্র লোডশেডিং চলছে। ফলে বিদ্যুৎ পাচ্ছেন না গ্রাহকরা। আর রমজানের সেহরি, ইফতার ও তারাবিতে একেবারেই বিদ্যুৎ মিলছে না বলে অভিযোগ গ্রাহকদের। বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও চলছে তোলপাড়। কেউ কেউ বলছেন, কেশবপুরে বিদ্যুৎ যায় না, মাঝে মাঝে আসে।বিদ্যুতের অভাবে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে ব্যবসায়ী ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। অব্যাহত লোডশেডিংয়ের কারণে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। এছাড়া বিদ্যুৎ নির্ভর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো প্রায়ই বন্ধ রাখতে হচ্ছে। লোডশেডিং বর্তমানে কেশবপুর উপজেলাবাসীর নিত্যদিনের সঙ্গী। যে কারণে মানুষ প্রতিনিয়তই ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। পৌরসভা-ইউপিতেও বিদ্যুতের তীব্র লোডশেডিংয়ে নাকাল উপজেলাবাসী। ইফতারি সেহরী ও তারাবির সময় বিদ্যুৎ না থাকায় ভোগান্তিতে থাকতে হচ্ছে। কেশবপুর বাজারের ব্যবসায়ী বুল মোড়ল বলেন, বিদ্যুতের ভেলকিবাজিতে আমরা দিশেহারা। লোডশেডিংয়ের কারণে কাজ তো করতেই পারি না, বরং ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রপাতিও নষ্ট হচ্ছে। বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ব্যবস্থাপনায় অদক্ষতার কারণেই এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।পল্লী বিদ্যুৎ কেশবপুর অফিসের জোনাল ম্যানেজার (ডিজিএম) আব্দুল লতিফ বলেন, সারাদেশের গ্যাসের সমস্যাজনিত কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন কিছু জায়গায় আংশিক বন্ধ অবস্থায় রয়েছে। ফলে চাহিদামত বিদ্যুৎ বিতরণে সমস্যা হচ্ছে। এ পরিস্থিতি থেকে বিদ্যুৎ বিতরণ স্বাভাবিক পর্যায়ে যাওয়ার বিষয়ে নিদিষ্ট সময় জানা নেই। তবে বিদ্যুতের এ অবস্থা থেকে সমাধানের চেষ্টা চলছে