বৃহস্পতিবার, ০১ জুন ২০২৩, ০৫:৩০ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
Logo বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট শুভ উদ্বোধন Logo বঙ্গবন্ধু’র জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি উদযাপনে চট্রগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার Logo “ফুলপুরে মিটার চোর চক্রের দুই সদস্য ১৪ টি মিটার সহ গ্রেপ্তার। Logo ভাঙ্গায় ২ সপ্তাহ পরও থেমে নেই ভাংচুর ও লুটপাট, খাবার পানির তীব্র সংকট, মানবতার জীবন যাপন Logo সাপাহারে বঙ্গবন্ধুর “জুলিও কুরি” শান্তি পদক প্রাপ্তির অর্ধশত বর্ষ উদযাপন Logo বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর শান্তি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত Logo খানসামায় বঙ্গবন্ধুর জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন Logo খানসামায় বাইসাইকেল,ঘরের চাবি হস্তান্তর,শিক্ষাবৃত্তি প্রদান,ভেড়া বিতরণ ও স্কুলে দুধ পান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত Logo পরানগঞ্জে স্বামী পরিত্যক্তা আছমা খাতুনকে উচ্ছেদের জন্য সন্ত্রাসী হামলা ; রাতের আঁধারেই গুঁড়িয়ে দেয় টিনের ঘর Logo রায়পুরা প্রেসক্লাবের সভাপতি নুর উদ্দিন সম্পাদক রফিক কোষাধ্যক্ষ হারুনুর রশিদ
বিজ্ঞাপন
আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিন ।  যোগাযোগঃ 01977306839

বরিশালে মিথ্যা মামলায় সাংবাদিককে হয়রানী,তিন ডিবি পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে আইজিপি’র কাছে অভিযোগ

Reporter Name / ৪৬৬ Time View
Update : শুক্রবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১১:২৭ পূর্বাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক : মিথ্যা মামলায় জাতীয় দৈনিক দি নিউ নেশন ও প্রতিদিনের সংবাদ পত্রিকার প্রতিনিধি মাসুদ রানাকে হয়রানী করায় বরিশাল মহানগর গোয়েন্দা শাখার তিন ডিবি পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে আইজিপি দপ্তরে অভিযোগ করা হয়েছে। একইসাথে পরিবারসহ তার নিজের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সোমবার (১৭-০৪-২০২২ইং) বেলা ১২টায় পুলিশ হেডকোয়াটার্সে উপস্থিত হয়ে ওই লিখিত অভিযোগ করেন। মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে এজাহার সাজানো ও ঘুষ গ্রহন করায় ডিবির এসআই মসরুদ উদ্দিন বিপি (৮৪১৩১৫৪১১১) এবং এএসআই মোঃ ইছহাক হোসেন’র বিরুদ্ধে মেট্রো পুলিশ কমিশনা’র কাছে অভিযোগ দেয়ার জের ধরে নিজ সহকর্মিদেরকে বাঁচাতে অপর ডিবি সদস্য ফিরোজ আলম (বিপি-৮৬১৩১৫২৬৭১) অনৈতিকভাবে সাংবাদিককে ঘটনার মদদ দাতা হিসেবে উল্লেখ করে ওই মামলার চার্জসীটে আসামি হিসেবে অর্ন্তভূক্ত করা হয়েছে বলে অভিযোগে করেছেন ওই ভূক্তভোগি সাংবাদিক । অনুসন্ধানে জানা গেছে, ওই মামলার এজাহার ভূক্ত আসামির বাইরে অজ্ঞাত বা পলাতক আসামি নেই। পাশাপাশি আসামিদের রিমান্ড কিংবা ১৬৪ ধারায়ও জবানবন্দী নেই । বিশেষজ্ঞ আইনজীবীরা বিস্ময় প্রকাশ করে জানিয়েছেন, এধরনের ঘটনায় কাউকে চার্জসীটে অর্ন্তভূক্ত করলে সেটা ন্যায় সংগত হয় না। হয়রানী করা হয়। তথ্যসুত্রে জানা যায়, বরিশাল নগরীর নথুল্লাবাদ বাসটার্মিরনাল সংলগ্ন ইসলামিয়া হোসেনিয়া মাদ্রাসা রোডস্থ অভিযোগকারী সাংবাদিকের পরিবারের মালিকানাধীন মেসার্স জীবন মেডিকেল হল নামে একটি ফার্মেসি রয়েছে। ০৫/১১/২০২১ ইং তারিখ সকাল ১১.২৩ মিনিটের সময় তার ছোট ভাই মোঃ মাহমুদুল হাসান জীবন ফার্মেসীতে বিক্রয় কাজে নিয়োজিত ছিল। সিসি ক্যামেরার ভিডিওতে দেখা যায়, ঐ সময় একজন ক্রেতা তার ভাইয়ে নিকট হইতে ২/৩ পিছ ড্রাগ ইন্টার ন্যাশনাল কোম্পানী এর এএইচ-৪০০ এ্যালবেন্ডাজোল গ্রæপের কৃমির ঔষধ ক্রয় করে নিয়ে যায়। এর ১৩ মিনিট পরে ঠিক ১১.৩৬ মিনিটে ঐ ক্রেতা সহ বরিশাল মহানগর ডিবির মসরুদ উদ্দিন (বিপি- ৮৪১৩১৫৪১১১) নীল বর্ণের পলিথিন ব্যাগে মোড়ানো কিছু ঔষধ নিয়ে আমার দোকানে প্রবেশ করে এবং দোকানের সিসি ক্যামেরা বন্ধ করে দেয় এবং নেশার ইঞ্জেকশন বিক্রি করছো বলে হুমকি দিয়ে দোকানের ক্যাশ বাক্সে থাকা নগদ আনুমানিক ১৬ থেকে ১৭ হাজার টাকা তুলে নেয়। পাশাপাশি ডিবি পুলিশ ওষুদ প্রশাসনের কোন কর্মকর্তা ছাড়াই দোকানে তল্লাশির নামে ওষুদপত্র এলোমেলো করতে থাকে। বিক্রেতা মাহমুদুল হাসান জীবন ডিবি পুলিশ’র এই কাজের প্রতিবাদ করায় তাকেসহ সোহেল নামে ক্রেতাকেও ডিবি অফিসে নিয়ে যায়। তবে ডিবি অফিসে চলে যাওয়ার ঠিক আগ মুহুর্তে সাংবাদিক মাসুদ রানা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিবি অফিসে দেখা করার কথা বলে চলে যান। পরে ডিবি অফিসে বসে ফার্মেসির বিক্রেতা মাহমুদুল হাসান জীবনের মোবাইল ফোন দিয়ে অভিযান টিমের সাথে থাকা ডিবির এএসআই মোঃ ইছহাক হোসেন সাংবাদিক মাসুদ রানা কে ডিবি অফিসে আসতে বলে। সেখানে যাওয়ার পর বিকাল ৩.০০ টার সময় সাংবাদিকের কাছ থেকে এ এস আই ইছাহাক নগরীর আমতলার মোড় পানির ট্যাংকি মডেল মসজিদের সামনে নিয়ে আসামি ছাড়ার কথা বলে ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকা ঘুষ নেয় । কিন্তু টাকা নেওয়ার পরে আসামি না ছেড়ে অপরেশনর রোগীদের অপসোনিন ফার্মার ঘুমের ইজিয়াম ও ইনসেপটা কোম্পানির ব্যাথার নেলবান ইঞ্জেকশন উদ্ধার দেখিয়ে মাহমুদুল হাসান জীবন ও সেহেল নামেও ওই ক্রেতাকে উল্টো চালান করে দেয়। মামলা নং-জিআর-৮৩৫/২০২১ইং। পরে আমি ১৬ নভেম্বর ২০২১ ইংরেজি তারিখ ডিবি সদস্য এ এস আই ইছহাক’র কাছে ফোন করে টাকা ফেরত চাইলে তিনি “এজাহার ভূক্ত ২ নং আসামির কাছে কিছু না পেয়েও ৯ পিচ দিয়ে চালান দিয়েছে এবং ১নং আসাসমী আমার ভাইকে রিকভারী না দেখিয়ে দোকানের থাকের নিচে উদ্ধার দেখিয়েছি, দু’বছর পর আদালতের বিচারে সুফল পাওয়া যাবে, টাকা যা খেয়েছি হালাল করে খেয়েছি”। সিসি ফুটেজের দৃশ্য ও এএস আই ইছহাকের অডিও রেকডিং কথা অনুযায়ী দোকান থেকে নিষিদ্ধ কোন কিছু উদ্ধার হয়নি পাশাপাশি ক্রেতার পকেট থেকে রিকভারি দেখানো সবই ছিলো নাটকীয়তা। ভুক্তভোগী সাংবাদিক মাসুদ রানা জানান, দুই ডিবি পুলিশের এই প্রতারনার শিকার হওয়ায় ০৭-১২- ২০২১ ইংরেজি তারিখ বরিশাল মেট্রোপলিটন (বিএমপি) পুলিশ কমিশনারের কাছে বিচার চেয়ে আবেদন করি। আবেদনকৃত এই অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা’র কাছে প্রমাণ স্বরুপ ভিডিও ,অডিও রেকডিং এবং লিখিত ও মৌখিক জবান-বন্দী জমা দেই। কিন্তু অভিযোগ’র প্রেক্ষিতে তদন্ত করে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল কিনা তা জানা যায়নি। বরং পুলিশ কমিশনারের কাছে কেন এই অভিযোগ দেওয়া হয়েছে তার জের ধরে আমার আবেদনের অভিযুক্ত এস আই মসরুদ উদ্দিন আহমেদ এবং এ এস আই ইছহাক তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই ফিরোজ আলমের সাথে যোগসাজস করে চার্জসীটে অনৈতিক ভাবে মদদ দাতা ও মামলার গতিপথ পরিবর্তনের চেষ্টার তথ্য জুড়ে দিয়ে ৩৬(১) এর টেবিল ৮(গ)/১৪(ক)/৩৩(ক) দুটি ধারায় অপরাদ দেখিয়ে আসামি হিসেবে উল্লেখ করেছেন। অথচ মামলার কোথাও অজ্ঞাত/পলাতক আসামি নেই এবং এজাহারভুক্ত আসামিদের রিমান্ড কিংবা ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি নেই। ভূক্তভোগি ওই সাংবাদিক মাসুদ রানা আরো বলেন, যদি এজাহারভূক্ত আসামিদের ভাষ্য বা জবান বন্দী অনুযায়ী অপরাদের মদদ দিয়ে থাকি একইসাথে মামলার গতিপথ পরিবর্তনের চেষ্টা করে থাকি তাহলে দোকানে অভিযানের দিন কিংবা মামলা এজাহারের সময় আমাকে কেন গ্রেফতার করেনি ডিবি পুলিশের এই টিম? । মুলত ডিবি পুলিশ সদস্য এস আই মসরুদ উদ্দিন আহমেদ ও এ এস আই ইছহাক হোসেনের বিরুদ্ধে পুলিশ কমিশনারের কাছে যে অভিযোগ দিয়েছি তার রেশ হিসেবে তদন্তকারি কর্মকর্তা ফিরোজ আলমের সাথে যোগসাজশ করে হয়রানী করার উদ্দেশ্যে মামলার আসামি হিসেবে আমাকে অন্তর্ভূক্ত করেছেন। এছাড়াও তাকে ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে নানা ধরনের মামলার ষড়যন্ত্র ও বিভিন্ন থানার মামলায় আসামি হিসেবে নাম ঢুকিয়ে দিয়ে হয়রানী করতে পারেন বলে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম থেকে তথ্য পেয়ে আইজিপির কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানান সাংবাদিক মাসুদ রানা।এ বিষয়ে বারিশাল মেট্রো পুলিশ কমিশনার সাহাবুদ্দিন খান জানান, আমার কাছে অভিযোগ এসেছিলো আমি তদন্ত করতে একজনকে দায়িত্ব দিয়েছিলাম । কোন অন্যায় কাজ হয়ে থাকলে আমি অবশ্যই ব্যবস্থা নেব।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Design & Developed by : BD IT HOST