মোঃ রাশেদুল ইসলাম (নিজস্ব প্রতিবেদক- নোয়াখালী) ফেনী গার্লস ক্যাডেট কলেজের সহকারী অধ্যাপক মিজান বিন মজিদ নিজের বাস্তব অভিজ্ঞতা আমাদের কে জানান- ঈদের আগে মাইজদি থেকে বাড়ি গিয়েছি সিএনজি ভাড়া ৯০০ টাকা। দূরত্ব চল্লিশ কিলোমিটার। বাংলাদেশের অন্য কোন জেলায় এটা অসম্ভব। ঈদের আগে-পরে পুরো জেলায় যে যেভাবে পেরেছে ডাকাতি করেছে পরিবহন খাতে। বাসে প্রাইভেট কারে সিএনজিতে অটো রিক্সায় উঠবেন তো আপনার মেজাজ খারাপ হবেই। বিধিবদ্ধ ভাড়ার তোয়াক্কা না করে যখন তখন ভাড়া বৃদ্ধি হরহামেশাই ঘটে। রাত হলেই দ্বিগুণ তিনগুণ ভাড়া চেয়ে বসবে। মনে হয় রাত হলে কাজ করতে তার দ্বিগুণ তেল গ্যাস বা শক্তি ব্যয় করা লাগে। ফোরলেন রাস্তার ধুলোর সঙ্গে ভাড়ার অনিয়ম যুক্ত হয়ে আপনার যদি রাগ চরমেও ওঠে গিলে ফেলুন! এতদঞ্চলের একজন সিএনজি ড্রাইভার আপনার চেয়ে দশগুণ স্মার্ট ওরফে দস্যু। তার ব্যবহার বক্তব্য চোখরাঙানি ও অনড় মনোভাবের কাছে আপনি নস্যি। হিমাচল ঢাকার পথে তুফান গতিতে ধাবমান। যাত্রীসেবা কথাটায় এই পরিবহন কর্তৃপক্ষের আস্থা জিরো। একুশে পরিবহন ৫২ চেতনায় খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলে। ওদের বাসের চাক্কা ফাংচার হবেই! লালসবুজ পতাকার রঙ নিয়ে তামাশায় ব্যস্ত। দেশের অন্য পরিবহনগুলো গ্রীনলাইন,সিল্কলাইন,হানিফ,সৌদিয়া,এনা,দেশ,স্টার লাইনের সঙ্গে তুলনা করবেন? রুচি চানাচুর খেয়ে রুচি ফেরাতে হবে। ধরেন এক স্টার লাইনের পেশাদারিত্বের জন্য ফেনী-ঢাকা-চট্টগ্রাম এই দুই রুটের বিপুল যাত্রীরা অত্যন্ত স্বচ্ছন্দ নিয়ে যাতায়াত করতে পারেন। এমনকি শাহী সার্ভিসের জন্য লক্ষ্মীপুর-ঢাকা-চট্টগ্রাম পথের যাত্রীদের ভুগতে হয় না নোয়াখালীবাসীর মতন। চৌমুহনী থেকে অজস্র মানুষের চট্টগ্রামের পথে এক নম্বর পছন্দ এই শাহী সার্ভিস। ভাড়াও বেশি কিন্তু আচরণিক কারণে মানুষ এই পরিবহনের প্রতি আস্থাশীল। জেলার এমপিগণ,জেলা প্রশাসক, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ,মেয়রগণ, পুলিশ প্রশাসন কী এই বিষয়ে কাজ করতে অক্ষম? মনে হয় না। আমাদের আকুতি আহবান আহাজারি মনোবেদনা পৌঁছে যাক তাদের টেবিলে। সাধারণ মানুষের ভোগান্তি,ছাত্রছাত্রীদের দুঃখ,মান প্রত্যাশী যাত্রীদের চাপাকষ্ট লাঘবের পথ তৈরি হোক। জেলা শহর থেকে উপজেলাগুলোয় যোগাযোগ ও আন্তঃজেলাসহ রাজধানী আর চট্টগ্রামের পথে পরিবহন দস্যুতা বন্ধ হোক। দেশের সার্বিক পরিবহন ব্যবস্থাপনার সঙ্গে আমাদের পরিবহন ব্যবস্থার এই যে ফারাক তার জন্য কে দায়ী? নিচে প্রদত্ত টিকেটে বেশি ভাড়া গ্রহণের অরাজকতা কে রুখবে। কর্মজীবনের ১৪ বছর নোয়াখালীর বাইরে কাটানোর অভিজ্ঞতায় বলতে পারি আমাদের প্রিয় নোয়াখালী জেলার ৯০% পরিবহন খাত সংশ্লিষ্ট লোকজন প্রকৃত অর্থে দস্যুই। বিহিত চাই। নিস্তার চাই। আচরণ ও ভাড়া দুটোতে ভয়াবহ অবস্থা।