নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি: তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে উত্তরের জেলা নীলফামারী। গত দুই সপ্তাহ ধরে এ অবস্থা বিরাজ করছে। টানা অগ্নিদহনে যেন বিবর্ণ হয়ে উঠেছে সবুজ প্রকৃতি! রুক্ষ আবহাওয়ায় গাছের পাতাও যেন নড়ছে না। তীব্র দাবদাহে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। একটু বৃষ্টি ও শীতল হাওয়ার পরশ পেতে সাধারণ মানুষ যেন ব্যাকুল হয়ে উঠে উঠেছে। কিন্তু বৃষ্টির দেখা নেই।পানির অভাবে ফেটে যাচ্ছে ফসলের ক্ষেত, নষ্ট হচ্ছে বীজতলা। প্রখর রোদে শুকিয়ে যাচ্ছে খাল বিল পুকুর নদী ও নালা। অসহনীয় গরমে হাঁসফাঁস করছে প্রাণীকূল। আগুন ঝরা রোদ আর প্রচন্ড গরমে স্থবিরতা নেমে এসেছে কর্মজীবনেও। বাসা, অফিস কিংবা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান সবখানেই যেন গরম আর গরম। একটু স্বস্তি মিলছে না কোথাও। পথঘাটে চলাচল কমেছে মানুষজনের। নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আব্দুর রহিম জানান, তাপমাত্রা যেন বেড়েই চলেছে । এতে করোনার মধ্যে ঘরে ঘরে আবার ডায়রিয়া, হিটস্ট্রোক, হিস্টিরিয়া, জ্বর, সর্দি-কাশিসহ বিভিন্ন উপসর্গে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এসব রোগে বৃদ্ধ-বৃদ্ধা ও শিশুরাই বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। পাশাপাশি উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্তদের দুর্ভোগ বেড়েছে এ তীব্র গরমে। তাই এ সময় বয়বৃদ্ধ ও শিশুদের রোদে না বের হয়ে ঠান্ডা পরিবেশের মধ্যে থাকার জন্য বলেন। এছাড়া বিশুদ্ধ পানি, ডাব ও দেশি ফলমূল বেশি খাওয়ার পরামর্শ দেন এই চিকিৎসক