নিজস্ব প্রতিবেদক ঈদুল ফিতরের পরের দিন স্থানীয় গুটি কয়েক লোকের প্ররোচনায় একটি কোম্পানিতে নিয়মবহির্ভূতভাবে অনুপ্রবেশকারীরা আলোচনার নাম দিয়ে আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্দ ইউপির বাসিন্দা মাওলানা ওবায়দুল হক চৌধুরীর বাড়িতে প্রবেশ করে হুজুরের অনুমতি ছাড়াই।আলোচনাতে তারা প্রমাণ দিতে ব্যর্থ হয় এবং মিনছার চৌধুরীর প্রমাণ সাপেক্ষের কথার সামনে টিকে থাকতে না পেরে তাকে ফিল্মি স্টাইলে জিম্মি করতে ঝাঁপিয়ে পড়ে।মহান আল্লাহ পাকের অশেষ রহমত থাকাতে হয়ত সে নিজেকে তাদের থেকে মুক্ত করতে পারে এবং মারামারি না করে সরে পড়ে। তারপর সকলে মিলে চড়াও হয় নিরপরাধ মিশকাত চৌধুরীর উপর যার এই বিষয়গুলোর সাথে কোনো সম্পর্ক ছিল না।মানবাধিকারকর্মী মাওলানা মিজান চৌধুরী তাকে বাঁচাতে চেষ্টা করলেও একপর্যায়ে তার পায়ে লাঠি দিয়ে প্রচন্ড জোরে আঘাতে করা হয় যার ফলে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিতে হয় এবং তারপরও চলাফেরা করতে কিছুটা কষ্ট হয়। অতীতে তাকে আরও একবার রাস্তা থোকে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল পরে স্থানীয় কয়েকজন লোক তাকে বাঁচায়। পরে তারা নিরপরাধ মাওলানা ওবায়দুল হক চৌধুরীকে জিম্মি করার চেষ্টা করে।জিম্মি করার জন্য মানবাধিকারকর্মী মাওলানা মিজান চৌধুরীর গবাদি পশু লুঠ করে নিতে চেষ্টা করলে কয়েকজন যুবলীগ/ছাত্রলীগ কর্মী প্রতিরোধ করার চেষ্টা করলেও তারা কিছু না নিয়ে যেতে চায় না।তারা জোরপূর্বক মাওলানা মিজান চৌধুরীর বাবার নিকট থেকে চল্লিশ হাজার টাকা দাবি করে এবং কয়েকদিনের সময় দেয়। যদি না পরিশোধ করে তাহলে তারা পূণরায় হামলা করবে বলে হুমকি দেয়। পরবর্তীতে কয়েকজন সালিশকারকের সাথে মাওলানা ওবায়দুল হক চৌধুরী যোগাযোগ করলে তারা ও বলে টাকা দিয়ে দিতে।বলে যে না দিলে সে আরও বাড়াবাড়ি করতে পারে। এছাড়া তারা মাওলানা ওবায়দুল হক চৌধুরীর মোটরসাইকেল, মানবাধিকারকর্মী মাওলানা মিজানুর রহমান চৌধুরীর মোটরসাইকেল জোর করে নিয়ে যাওয়ারও হুমকি দিয়েছিল। মনিয়ন্দ ইউপির চেয়ারম্যান দীপক চৌধুরীর সাথে মাওলানা ওবায়দুল হক চৌধুরী যোগাযোগ করলে তিনি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন এবং তিনি বলেন যে বিষয়টি যেহেতু কোম্পানি সম্পর্কিত সেজন্য তদন্ত ছাড়া কিছুই বলা সম্ভব নয়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, কয়েকজন বিপথগামী পরিচালকের মাধ্যমে তারা কোম্পানিতে অনুপ্রবেশ করে কোম্পানির মান ক্ষুন্ন করে পরবর্তীতে কোম্পানির বিরুদ্ধে তারা অবস্থান নিলে কোম্পানি ঝামেলার ভয়ে বন্ধ করে দেয়। কোম্পানিতে যে প্যাকেজে তারা প্রবেশ করেছে বলে দাবি করে এই রকম কোনো ম্যানুয়াল ছিল না এবং ছিল বলেও প্রমাণ অতীতেও করতে পারেনি এবং ঐদিন ও পারেনি। মিনছার চৌধুরী কোম্পানির নিয়মবিরোধী কাজ করেছেন যে ঐটাও তারা প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়। মিনছার চৌধুরীর বিতর্কিত কর্মকান্ডের দায়িত্ব তার বাবা নিতে পারবে না বলে মাওলানা ওবায়দুল হক চৌধুরী আইনগত ব্যবস্থা আগে নিয়েছিলেন।কারণ, এ বয়সে তাঁর এগুলো বহন করা সম্ভব নয়।এ নিয়ে দুই উপজেলার সালিশদের নিয়ে সমঝোতাও হয়েছিল। এজন্য মিনছার চৌধুরী বাড়িতে থাকে না। তিনি ঈদুল ফিতর উপলক্ষে মেহমান হিসেবে বেড়াতে এসেছিলেন।একজন মার্ডার আসামীর উপর হামলা করলেও বাড়ির মালিকের অনুমতি লাগে।অথচ মিনছার চৌধুরীর অপরাধ এখনও সুস্পষ্ট নয়।বরং অনুপ্রবেশকারীরা তার মান-সম্মান ক্ষুন্ন করেছে। আলোচনার নামে স্থানীয় যুবদল নেতা রিপনের নেতৃত্বে যুবদল নেতা মামুন, ফোরকান এবং ওলামা দল নেতা রাসেল মোল্লাসহ আরও কয়েকজন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্ম দেয় যাতে ভিক্টিমরা ধৈর্য না ধরলে প্রানহানীসহ মারাত্মক হতাহতের ঘটনা ঘটতে পারত।