বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ০২:০৯ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
Logo বেনাপোল BUFC 2003 এর উদ্যোগে ইফতার অনুষ্ঠিত Logo ভোলা লালমোহনে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় উদযাপিত Logo বিএম ইউসুফ-মোস্তফা হেলাল কবিরের ভয়াবহ প্রতারণা ধ্বংসের পথেপপুলার লাইফ ইন্সুরেন্সে Logo বানারীপাড়ায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেত্রীর ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীতা ঘোষণা, Logo ফুলপুর মোটরসাইকেল এক্সিডেন্ট নিহত১_আহত১ Logo সৈয়দকাঠি ইউনিয়ন যুবদলের কমিটি গঠন হাবীবুর রহমান আহবায়ক, মহসিন সদস্য সচিব Logo বর্তমান সরকারের দিনবদলের অঙ্গীকার বাস্তবায়নে কারিগরি শিক্ষাকে গতিশীল করা জরুরি। Logo বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের ময়মনসিংহ বিভাগীয় সাংবাদিক সমাবেশের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা ও ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আমির সরকার আর নেই Logo মন কারিলা প্রথম দেখায়।
বিজ্ঞাপন
আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিন ।  যোগাযোগঃ 01977306839

নগর দারিদ্র হ্রাসে নারী-পুরুষের সম্মিলিত প্রয়াস জরুরী

Reporter Name / ১০২৫ Time View
Update : বুধবার, ৩০ মার্চ, ২০২২, ২:৫৩ পূর্বাহ্ণ

হাকিকুল ইসলাম খোকন ,সিনিয়র প্রতিনিধিঃজলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে রাজধানী ঢাকায় আগত উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ দরিদ্র বসতিতে দারিদ্রের দুষ্টুচক্রে হিমশিম খেতে হচ্ছে। সরকার বিভিন্ন সহযোগী সংস্থার সহয়তায় তাদের জীবনমানের উন্নয়নে নানামূখী কর্মতৎপরতা অব্যাহত রেখেছে। এর সুফল পেতে হলে অর্থাৎ নগর দারিদ্র হ্রাসে নারী-পুরুষের সম্মিলিত প্রয়াস জরুরী। আজ দুপুর ৩টায় ডিএনসিসি মিলনায়তনে “টেকসই আগামীর জন্য জলবায়ু অভিযোজনে নারী-পুরুষের সমতা জরুরী” শ্লোগানে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক “প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন” প্রকল্পের অধীনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষ্যে মাসব্যাপী বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচির সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তারা এই অভিমত ব্যক্ত করেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাপা’র যুগ্ম সম্পাদক স্থপতি ইকবাল হাবিব বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে অতিবন্যা, ঝড়-জলোচ্ছাস, খরা, নদী ভাঙ্গন ও লবনাক্ততার মতো সমস্যায় সর্বস্ব হারিয়ে পরিবার নিয়ে বেঁচে থাকার তাগিদে অনেকেই রাজধানী ঢাকায় পাড়ি জমিয়েছেন। এই শহরেও তাদেরকে আবাসন সুবিধা না থাকা, কর্মের অনিশ্চয়তা, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, জলাবদ্ধতা এবং সবুজের আচ্ছাদন না থাকায় দরিদ্র বসতিতে দূর্ভোগের শিকার হতে হয়। অনেকে দক্ষতার অভাবে ন্যায্য মজুরী থেকে বঞ্চিত। বিশেষ করে প্রায়শই অগ্নিকান্ডে দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে সর্বস্ব হারাতে দেখা যায়। এর অবসানে পদক্ষেপ জরুরী।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সেলিম রেজা বলেন, এই শহরে ধনী-দরিদ্র এক অপরের উপর নির্ভরশীল। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অন্তভুক্তিমূলক উন্নয়নে গুরুত্বারোপ করেছে। অর্থাৎ আগামী ২০৩০ পর্যন্ত সকল ধরনের উন্নয়ন কর্মকান্ডে কেউ যেন বাদ না পড়ে নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জাতিসংঘের আওতাভ‚ক্ত দেশগুলি কাজ করে যাচ্ছে। পূর্বের তুলনায় দরিদ্র বসতিতে কিছু কিছু নাগরিক সেবা যেমন পানি, পয়:নিস্কাশন, বিদ্যূৎ, গ্যাস ইত্যাদি সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি পেয়েছে। শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা কাজ করে যাচ্ছে। যা নগর দারিদ্র হ্রাসে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখছে।

অনুষ্ঠানে “প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন” প্রকল্পের অপারেশন্স কো-অর্ডিনেটর শাহীন পারভীন বলেন, বাংলাদেশ সরকার, এফসিডিও এবং ইউএনডিপির সহায়তায় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে দরিদ্র বসতিতে বসবাসরত জনগোষ্ঠীর টেকসই জীবন-জীবিকা ও তাদের জীবনমানের উন্নয়ন বিশেষ করে নারীদের শিক্ষা, পুষ্টি ও স্বাস্থ্যের উন্নয়ন, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ, দক্ষতা প্রশিক্ষণ প্রদান, ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা এবং সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ডিএনসিসির নারী ও শিশু বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাছিনা বারী চৌধুরী বলেন, নগরে দরিদ্র বসতিতে নারী, শিশু, বৃদ্ধ ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সামাজিক নিরাপত্তা জালের আওতায় আনতে হবে। তাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং বিনোদনের জন্য প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দিতে হবে। এই উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষকে বিবেচনায় নিয়ে যথাযথ কৌশল প্রণয়নের মাধ্যমে তাদের জীবনমানের উন্নয়ন করা গেলেই টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করা যাবে।

অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা বাংলা একাডেমীর সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা বলেন, নগরে অবস্থিত দরিদ্র বসতিতে সচেতনতার অভাব এবং অর্থিক সঙ্কটের কারণে বাল্য-বিবাহ, নারী নির্যাতন, শিক্ষা সুবিধা না পাওয়া, পুষ্টিকর খাবারের অভাব ছাড়াও নানা ধরনের সামাজিক অপরাধ সংঘটিত হতে দেখা যায়। এজন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নগর দরিদ্রদের মাঝে শিক্ষার প্রসার ঘটাতে হবে। দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে বিশেষ করে পোষাক শিল্পের মাধ্যমে দরিদ্র বসতিতে বসবাসরত নারীরা গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখছে। তাদেরকে কারিগরি শিক্ষা এবং পুষ্টি ও স্বাস্থ্য শিক্ষায় শিক্ষিত করে দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি করা গেলে সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে দেশের টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করা যাবে। সরকার এবং সকল অংশীজন বিশেষ করে নারী-পুরুষের সম্মিলিত প্রয়াসই এই লক্ষ্য অর্জনে সাহায্য করতে পারে।

ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং “প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন” প্রকল্প-ডিএনসিসির সদস্য সচিব মোহাম্মদ মামুন-উল-হাসান আলোচনা সমাপনী অনুষ্ঠানের আলোচনা পর্বে সভাপতিত্ব করেন। সভা সঞ্চালনা এবং প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন প্রকল্পের ডিএনসিসির টাউন ম্যানেজার মোঃ মারুফ হোসেন। এছারাও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ মাকসুদ হাসেম। এছাড়া নারীর অগ্রগতিতে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণের জন্য “বহ্নিশিখা” কে স্মারক সম্মাননা প্রদান করা হয়ে। সবশেষে দরিদ্র বসতির শিশু-কিশোরীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা উপস্থাপন করা হয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Design & Developed by : BD IT HOST