মোঃ শহিদুল ইসলাম সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টারঃ মুমিনের হৃদয় আন্দোলিত করে তাকওয়ার পয়গাম নিয়ে এসেছিল মাহে রামাদান। মাসব্যাপী সিয়াম সাধনার মধ্য দিয়ে শাওয়ালের বাঁকা চাঁদ উঁকি মারলো আকাশ প্রাণে। বিদায় নিল রমাদান। বিদায় নিল ঈদ। প্রাপ্তির ঝুলিতে রইল টা কী? কিবা অর্জন হল আমার? পরপারের সঞ্চয়পাত্রে কিছু জমা হলো তো! নাকি ঈদের নতুন জামা, দামী জুতো, ঈদ কার্ড, আর সালামীর কিছু নতুন নোট। না এগুলো তো কেবল ঐ উপলক্ষ। বরং মুমিনের লক্ষ্য হচ্ছে ভিন্ন কিছু। আর তা হচ্ছে, তাকওয়া অর্জন। মূলত মাহে রমজান হচ্ছে ট্রেনিং টাইম। একমাস তাকওয়ার প্রশিক্ষণ নিয়ে, বাকি এগারো মাস তাকওয়া তথা খোদাভীতির পথে নিজেকে পরিচালিত করার প্রশিক্ষণ। মাহে রামাদান যেন এ পয়গাম দেয়, হে মুমিন যে মালিকের বিধান পালনার্থে এ মাসে দিনের নির্ধারিত সময়ে হালাল খাবার ও বৈধ স্ত্রী থেকে দূরে ছিলে। ঠিক তেমনি বাকি এগারো মাস সেই মালিকের বিধান মান্য করে, হারাম আহার্য হারাম কর্ম হতে নিজেকে বিরত রাখ। রবের অবাধ্যচারণে নিজেকে বিলিয়ে দিওনা। হৃদয়ের গহীনে যদি এই অনুভূতিটুকু জাগ্রত করতে পারি, তাহলে বুঝতে হবে আমার হৃদয়ের তাকওয়ার বীজ অঙ্কুরিত হয়েছে। সুতরাং একটি চারা গাছকে ফলে-ফুলে,পত্র-পল্লবে, সুশোভিত করতে যেমনি প্রয়োজন হয় পানি পরিচর্যা ও সার প্রয়োগ। ঠিক তেমনই হৃদয়ের মাটিতে সদ্য অঙ্কুরিত সেই তাকওয়ার চারাতেও নেক আমলের পানি,গুনাহের পোকা থেকে পরিচর্যা ও দোয়া-র সার প্রয়োগ যদি করতে পারি, তবেই তাকওয়ার এ বৃক্ষের ফল উপভোগ করব জান্নাতে।হ্যা৺ জান্নাত তো তৈরিই করা হয়েছে মুত্তাকীদের জন্য। এরশাদ হচ্ছে “তোমরা তোমাদের পালনকর্তার ক্ষমা এবং জান্নাতের দিকে ছুটে যাও যার সীমানা হচ্ছে আসমান ও যমীন, যা তৈরী করা হয়েছে মুত্তাকিনদের জন্য” (আল ইমরান – ১৩৩) আর যদি এমনটি না হয় তবে মাহে রমজানের লক্ষ্য হতে আমি ছিটকে পড়লাম। আর উপলক্ষ নিয়েই আনন্দে আত্মহারা হয়ে মূল লক্ষ্য কেই ভুলে গেলাম। যা আদৌ কাম্য নয়। তাই আসুন মাহে রমজানের পরবর্তী দিনগুলোতে তাকওয়ার পথেই হোক আমাদের পথ চলা আল্লাহ পাক আমাদের তাকওয়ার স্নিগ্ধতায় সিক্ত হওয়ার তৌফিক দান করুন।আমিন