মোঃ আকতার আলী ( মিলন) ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি ঠাকুরগাঁয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে পল্লীবন্ধু হুইসেন মুহাম্মদ এরশাদের তৃতীয় মৃত্যু বার্ষিকী আজ (১৫ জুলাই ) পালন অনুষ্ঠিত হয়েছে । উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও জাতীয় পার্টি বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা শাখার সম্মানিত সভাপতি জনাবা নুরুন নাহার বেগম । সভাপতিত্ব করেন মোঃ শামসুদ্দীন কৃষক পার্টি বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা । অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ সাধারণ সম্পাদক জাতীয় পার্টি বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা । এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন মোহাম্মদ আলমগীর হক সদস্য সচিব জাতীয় ছাত্রসমাজ ঠাকুরগাঁও জেলা, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার জাতীয় ছাত্রসমাজের সভাপতি ছাত্রনেতা মোঃ আকতার আলী ( মিলন) ও বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা জাতীয়পার্টির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন । প্রধান অতিথি, জনাব নুরুন নাহার বেগম তার বক্তব্যে বলেন – ৪২টি মহকুমাকে জেলায় পরিণত করেন এরশাদ। এতে বাংলাদেশের জেলার সংখ্যা হয় ৬৪টি।উপজেলা পরিষদ সৃষ্টি ১৯৮২ সালের ৭ নভেম্বর থেকে ১৯৮৩ সালের ৭ নভেম্বর-এর মধ্যে ৪৬০ উপজেলা পরিষদ সৃষ্টি করে ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণ করেছেন হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ।শান্তি মিশনে সৈনিক পাঠানো। সব রাজনৈতিক দলের বিরোধিতা উপেক্ষা করে জাতিসংঘ শান্তি মিশনে সৈন্য পাঠিয়ে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বিশ্বদুয়ারে উজ্জ্বল করেন এরশাদ। শুক্রবারকে সাপ্তাহিক ছুটি ঘোষণা, রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম ঘোষণা।দীর্ঘ ৯ বছর বাংলাদেশের রাষ্ট্রপ্রধান থাকাকালে সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, ক্রীড়া এবং সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে তার নেয়া কার্যক্রম ও সংস্কারমূলক কর্মকাণ্ড দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে বাংলাদেশের ইতিহাসে। সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবুল কালাম আজাদ বলেন, দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির ক্ষেত্রে জাতীয় পার্টির যে ভূমিকা ছিল তা বাংলাদেশের ইতিহাসে অমর হয়ে থাকবে । বিভিন্ন দল ক্ষমতায় আসবে যাবে কিন্তু এরশাদের উন্নয়নের সমকক্ষ কেউ হবে না । আলোচনার পরে, বিশেষ মোনাজাতের মধ্য দিয়ে উক্ত অনুষ্ঠানটির পরিসমাপ্তি ঘটে । উল্লেখ্য, জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও প্রয়াত সাবেক রাষ্ট্রপতি পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ ২০১৯ সালের ১৪ জুলাই মৃত্যু বরণ করেন। পরে তাকে রংপুর নগরীর দর্শনাস্থ পল্লী নিবাসে সমাহিত করা হয়। মৃত্যু কালে তিনি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় নেতা ছিলেন।