বিশেষ প্রতিনিধিঃউপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতির বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ আ. লীগের
বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আসাদুজ্জামান আসাদ হাওলাদারের বিরেুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে খোন্তাকাটা ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ। চাাঁদাবাজি, জমি দখল, আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ওপর হামলাসহ নানা অপরাধ কর্মকাণ্ডের অভিযোগ তুলে ধরা হয় তার বিরুদ্ধে।
গত (২৩জুলাই) খোন্তাকাটা ইউনিয়নের ১নম্বর ধানসাগর-বানিয়াখালী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি ও ইউপি সদস্য মো. জসিম উদ্দিন সিদ্দিক গাজীর ওপর হামলা চালায় ছাত্রলীগ সভাপতির ভাগ্নেরা। সে ঘটনার নেপথ্যে ছাত্রলীগ সভাপতি আসাদারে ইন্ধন রয়েছে দাবি করে সোমবার (২৫ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে শরণখোলা প্রেস ক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন করেন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ছাত্রলীগের সভাপতি আসাদ হাওলাদার বিএনপি পরিবারের সদস্য। তার আত্মীয়-স্বজন, বোন-ভগ্নিপতি ও ভাগ্নেরা সবাই বিএনপির কর্মী-সমর্থক। এ ছাড়া তিনি হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামি। একটি নারীঘটিত বিষয় নিয়ে ছাত্রলীগ সভাপতি আসাদের নির্দেশে তার বোন ভগ্নিপতি ও ভাগ্নেরা গত শুক্রবার ও শনিবার দুই দফা ধানসাগর এলাকার বাবুল হাওলাদার ও ছিদ্দিক হাওলাদারকে বেধড়ক মারপিট করে। মারপিট ঠেকাতে গেলে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি সদস্য জসিম উদ্দিন সিদ্দিক গাজীকেও মারপিট করে তারা।
খোন্তাকাটা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন খান মহিউদ্দিন তার বক্তব্যে বলেন, খোন্তাকাটা ইউনিয়নের মানুষ ছাত্রলীগের সভাপতি আসাদের কাছে একপ্রকার জিম্মি। তার বেপরোয়া আচরণে সবাই আতঙ্কে থাকে। তার নির্দেশে তার ভাগ্নেরা আমার পরিষদের মেম্বর ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জসিম উদ্দিন সিদ্দিক গাজীজে মেরে আহত করে। আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে গেলে ছাত্রলীগ সভাপতি আসাদ মোবাইল ফোনে সিদ্দিক গাজীকে হুমকি দেয়। পরে পুলিশের সহায়তায় চিকিৎসা নেন তারা। বিষয়টি উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দকে জানানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে শরণখোলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমল হোসেন মুক্তা বলেন, খোন্তাকাটা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন খান মহিউদ্দিন বিষয়টি জানিয়েছেন। অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে প্রমাণিত হলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জানতে চাইলে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আসাদুজ্জামান আসাদ হাওলাদার তার বিরেুদ্ধে আনিত অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করে বলেন, মারামারির সাথে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। প্রতিপক্ষরা আমাকে উদ্দেশ্য মূলকভাবে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছেন। আমার বাবা আওয়ী লীগের একজন সদস্য। কিন্তু আমার বোন-ভগ্নিপতি ও ভাগ্নেরা কে কোন দল করে সেটা আমার দেখা বিষয় না।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা আওয়ামী লীগ নেতা এম সাইফুল ইসলাম খোকন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান স্বপন, অওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু জাফর জব্বার, প্রভাষক সাব্বির আহম্মেদ মুক্তা, খোন্তাকাটা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. তাজু সরদারসহ খোন্তাকাটা ইউনিয়নের সকল ওয়ার্ডের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ও সকল ইউপি সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।