ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলায় ভুবনেশ্বর নদীর গতিপথের মুল পদ্মার পানি ঢোকার উৎসমুখ বা প্রবেশ পথ বন্ধ করে বালু ভরাটের অভিযোগ উঠেছে। অপরিকল্পিত এ বালু ভরাটের ফলে পাশের চর হাজীগঞ্জ হাট-বাজার নদী ভাঙনের হুমকিতে পড়ছে বলে দাবী ওই এলাকার মানুষের। এভাবে নদীর মূল গতিপথ বন্ধ করে বালু ভরাটের প্রতিবাদে ও তা বন্ধের দাবীতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী ও চর হাজীগঞ্জ হাট-বাজারের ব্যবসায়ীরা। রবিবার (০৫ ফেব্রুয়ারী) উপজেলার চরহাজিগঞ্জ বাজারের পাশের বালুভরাটের স্থানে কয়েকশত এলাকাবাসী ও ব্যবসায়ীরা এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেন। এসময় বক্তব্য রাখেন, চরভদ্রাসন উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান কাওসার ব্যাপারী, চর হাজীগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি কবিরুল আলম, সহ-সভাপতি মো. লুৎফর রহমান, স্থানীয় অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক খবিরুদ্দিন আহমেদ, ৪নং গাজীরটেক ইউনিয়নের ইউপি সদস্য সরোয়ার হোসেন ,চর হাজীগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী আবুল খন্দকার, খলিল ব্যাপারী, শেখ আব্দুস সালাম প্রমূখ। এসময় বক্তব্যে তারা বলেন, ভুবনেশ্বর নদীর মূল উৎস পথ বন্ধ করে স্থানীয় প্রভাবশালীরা তাদের ব্যক্তি স্বার্থে প্রশাসন ও বিআইডব্লিউটিএ’কে ভুল বুঝিয়ে ব্যক্তি মালিকানা ও রেকর্ডীয় জমির উপর দিয়ে নদীর গতিপথ পরিবর্তন করছে। এতে চর হাজীগঞ্জের হাট-বাজার বর্ষা ও জোয়ারের পানিতে ভাঙনের হুমকিতে পড়বে বলে অভিযোগ তাদের। অতি দ্রুত তারা নদীর মূল গতিপথ ফিরিয়ে পেতে প্রশাসন ও সরকারের কাছে জোর দাবী জানান। এব্যাপারে চরভদ্রাসন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানজিলা কবির ত্রপা জানান, বিষয়টি আমার জানা ছিলোনা। যেহেতু আপনাদের মাধ্যমে জানলাম সেহেতু অতিদ্রুত আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সাথে পরামর্শ করে ও সরেজমিনে পরিদর্শন করে এব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা জনগণের ক্ষতি হোক ও হাট-বাজার হুমকিতে পরুক এমন কিছু করতে দিবো হবেনা। এব্যাপারে বিআইডব্লিউটিএ এর নির্বাহী প্রকৌশলী ঋদ্ধি রুবাইয়াৎ বলেন, ফরিদপুর জেলা ড্রেজ ম্যাটেরিয়াল ব্যবস্থাপানা কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়ে যেখানে আমাদের বালু ভরাট করতে বলেছেন আমরা সেখানে বালু ফেলাচ্ছি। এখানে আমি নিজ ইচ্ছায় বালু ভরাট করছিনা। তবে, স্থানীয়দের ক্ষতি করে তো কাজ করা যায়না। যেহেতু স্থানীয়রা বালু ভরাট বন্ধে মানববন্ধন করেছেন। সেটা স্থানীয় প্রশাসন ও জেলা ড্রেজ ম্যাটেরিরাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সাথে কথা বলে এবিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে, স্থানীয়দের মানববন্ধনের পরে চরভদ্রাসনের ইউএনও’র মৌখিক নির্দেশে আপাতত কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি। উল্লেখ্য, ঐতিয্যবাহী হাজীগঞ্জের বাজার জন্য ২০১৪-১৫ অর্থ বছরে বাজার রক্ষার বীপরীতে সরকারের বরাদ্দকৃত ৪০০ কোটি টাকার সিসি ব্লক ডাপিং মাটি বালু দিয়ে বাধঁ তৈরীর কাজটি এখনও চলমান। হাজীগঞ্জের বাজার ব্যাবসায়ী মোঃ কবির উদ্দীন, রমজান খালাশি, জয়নাল মোল্যা ইনকিলাবকে বলেন, সরকার বাজারটি রক্ষার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করলেও বর্তমানে একজন প্রভাবশালী চেয়ারম্যানের ব্যাক্তি উদ্দেশ্য হাচিল এবং তার জ্ঞাতিগোষ্ঠীর নামে লিজ পাইয়ে দিতে ড্রেজার মেশিনো পুড়ছে বিআইডব্লুটিএর লাখ লাখ টাকার তেল। বাজার রক্ষা কাজটি বন্ধ হয়ে এখন নদীর উৎসমুখটিও এখন বন্ধ করার পায়তারা চলছে। উক্ত এলাকা সরেজমিন পরিদর্শনে দেখাযায়,চরভদ্রাসন গাজীরটেক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এর আপনজনরা পাকা ইমারত তৈয়ারি করছেন। পাশা-পাশি দখল করা হয়েছে আরো ৪০/৫০ ঘর তোলার স্হান। এলাকাবাসীর সাফ কথা সরকারের উন্নয়নকাজে আমরা খুব খুশী কিন্তু স্হানীয় রাঘববোয়ালরা সরকারে সম্পদ ও সম্মান দুটোই নিজের ব্যাক্তিগত সম্পদে তৈয়রি করছেন। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক