শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১:০১ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
Logo সাংবাদিক জুয়েল খন্দকারের বিরুদ্ধে কাউন্সিলর সাহেদ ইকবাল বাবুর মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে প্রতিবাদ সভা অনুষ্টিত Logo জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের ঠিকাদারদের সাথে লিরা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ”র মতবিনিময় সভা-সম্পন্ন Logo হোসনাবাদ উপ-নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে যে যেই প্রতীক পেলেন। Logo অভয়নগরে মাছের ঘের ভয়ভীতি দেখিয়ে জবরদখল করার অভিযোগ : রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা। Logo চট্টগ্রাম মেডিকেলে  দালাল চক্রের ৩ সদস্য আটক Logo বেনাপোল পুলিশের অভিযানে সাজাপ্রাপ্ত আসামীসহ ১৪ জন গ্রেফতার Logo রায়পুরায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের পুরস্কার বিতরণ Logo ঝালকাঠিতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইটবাটা প্রস্তুতের কাজ ও গাছ কাটায় প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ভায়োলেশন মামলা Logo “ইন্টারন্যাশনাল প্রেস ক্লাব এন্ড হিউম্যান রাইটস” এর কেন্দ্রীয় কমিটির চূড়ান্ত প্রার্থিতা গ্রহণ। Logo সাংবাদিকদের বিতর্কিত করায় লাকীর বিরুদ্ধে এক হাজার কোটি টাকার মানহানী মামলা করার ঘোষণা-বিএমইউজে”র মানববন্ধন
বিজ্ঞাপন
আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিন ।  যোগাযোগঃ 01977306839

গাইবান্ধায় স্ত্রীকে জবাই করে হত্যা মামলায় স্বামী-শ্যালকের মৃত্যুদণ্ড।

Reporter Name / ১২৫২ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ৩০ জুন, ২০২২, ১২:৪৮ অপরাহ্ণ

 মো:সাব্বির হোসেন রনি। গাইবান্ধা জেলা প্রতনিধি: প্রতিবেদন:গাইবান্ধায় দ্বিতীয় স্ত্রীকে জবাই করে হত্যার দায়ে স্বামী ও প্রথম স্ত্রীর ভাইকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে এ মামলার ওপর তিন আসামিকে খালাস দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) দুপুরে গাইবান্ধা অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ফেরদৌস ওয়াহিদ আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, সাঘাটা উপজেলার কামালেরপাড়া গ্রামের সাইফুল ইসলাম ও একই উপজেলার বসন্তেরপাড়া গ্রামের করিম মিয়া। করিম মিয়া সাইফুলের প্রথম স্ত্রীর ভাই। তারা সম্পর্কে শ্যালক-দুলাভাই হন। এ মমামলায় খালাস পাওয়া ওপর তিনজন হলেন, সাইফুলের প্রথম স্ত্রী পারভীন আক্তার, মা কোহিনুর বেগম বুলি ও শ্যালক কুদ্দুস রানা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (অতিরিক্ত পিপি) আবু আহম্মেদ আব্দুল্লাহ কনক। আসামি পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন আবু আলা সিদ্দিকুল ইসলাম ও শাহ মো. জামিল। মামলার এজাহারের বরাতে অতিরিক্ত পিপি আবু আহম্মেদ আব্দুল্লাহ কনক জানান, ২০১৫ সালে সাইফুল ইসলামের সাথে পারভীন বেগমের বিয়ে হয়। এটি ছিল সাইফুলের ২য় বিয়ে। বিয়ের পর সংসার করলেও তাদের কোনো সন্তান হয়নি। সাইফুলের প্রথমপক্ষের স্ত্রী থাকায় প্রায়ই সাংসারিক বিভিন্ন বিষয়ে ২য় স্ত্রী পারভীনের সঙ্গে ঝগড়া লেগেই থাকতো। এ পরিস্থিতিতেই একটি মাদক মামলায় গ্রেফতার হয়ে জেল হাজতে যায় সাইফুল। তখন পারভীন সাইফুলের বাড়ি ছেড়ে তার বাবার বাড়িতে চলে যান। সাইফুল জামিনে বেড়িয়ে পারভীনকে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। কিন্তু হঠাৎ করেই ২০১৭ সালের ২৬ জুলাই থেকে পারভীন বেগমের আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিলো না। এরপর, ৩০ জুলাই সাইফুলের প্রথম স্ত্রীর খালা শাশুড়ির বসন্তেরপাড়ার বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে পারভীনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় পারভীনের ভাই আজিজুল রহমান বাদি হয়ে সাঘাটা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় পাঁচ জনকে আসামি করা হয়। পরে তদন্ত শেষে পুলিশ আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। এ মামলায় সাইফুল ও করিমকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। অ্যাডভোকেট আবু আহম্মেদ আব্দুল্লাহ কনক আরও বলেন, এটি একটি নৃশংস হত্যাকাণ্ড। আদালতে সাইফুল ও তার প্রথম স্ত্রীর ভাই করিম পারভীনকে হত্যা করে লাশ সেপটিক ট্যাংকিতে ফেলে রাখার কথা স্বীকার করেন। আদালতে সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয়া দুই জনের সর্বোচ্চ শাস্তি হয়েছে। তবে মামলার বাকি তিন আসামি নিরাপরাধ হওয়ায় তাদের খালাস দিয়েছে আদালত। আদালতের এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Design & Developed by : BD IT HOST