মোঃ শহিদুল ইসলাম সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টারঃ ভূয়া ফেসবুক পেইজ ও ওয়েবসাইটে লোভনীয় বিজ্ঞাপনে অস্বাভাবিক মূল্য ছাড়ে নামিদামি ব্য্যান্ডের মোবাইলে দেওয়ার কথা বলে মোবাইল ব্যাংকিং-এ লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ প্রতারণার দায়ে যুবককে গ্রেফতার করেছে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা এলাকা থেকে র্যব-৭,চট্টগ্রাম। র্যাব সূত্রে জানা যায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অদ্য ২৪ জুলাই রাত আনুমানিক ০৩ঃ৪৫ টায় আভিযানিক দল বর্ণিত জায়গায় অভিযান পরিচালনা করে আসামী মশিউর রহমান(১৯)আটক করতে সক্ষম হয়। গ্রেফতারকৃত আসামী দেশের স্বনামধন্য ও খ্যাতনামা মোবাইল ব্র্যান্ড কোম্পানী গুলোর ব্যাপক জনপ্রিয়তাকে পুঁজি করে বর্ণিত গুলোর নাম ব্যবহার করে ১৩টির অধিক ভুয়া ফেইসবুক পেইজ/ওয়েবসাইট খুলে নোয়াখালী জেলার সুধারাম থানাধীন মাস্টারপাড়া পাটোয়ারী বাড়ী মসজিদ সংলগ্ন একটি বিল্ডিংয়ে অবস্থান করে দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন মোবাইল ফোনের চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে অস্বাভাবিক মূল্য ছাড়ের প্রলোভন দেখিয়ে নগদ এ্যাপসের মাধ্যমে গ্রাহকদের নিকট থেকে বিপুল পরিমান অর্থ আতœসাৎ করে আসছে। সেই সাথে দেশের স্বনামধন্য ও খ্যাতনামা মোবাইল ব্র্যান্ড কোম্পানী গুলোর সুনাম ক্ষুন্ন করছে। ক্রেতা/ভুক্তভোগীদের মাধ্যমে উক্ত বিষয়টি রিয়েলমি কোম্পানীর কর্তৃপক্ষ জানতে পেরে তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে উল্লেখিত প্রতারনার ব্যাপারে সতর্কতামূলক পোষ্ট দেওয়া হয়। সেখানে বলা হয় একটি চক্র অনেক ভূয়া ফেইজবুক পেইজ খুলে নগদ এ্যাপস এর মাধ্যমে অবৈধভাবে অর্থ গ্রহন করছে। বিভিন্ন ভুক্তভোগীদের নিকট হতে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী উক্ত আসামী গ্রাহকের নিকট থেকে আনুমানিক ২৪,০০,০০০/- টাকা আত্মসাৎ করেছে। উল্লেখিত আসামী প্রতারনার মাধ্যমে বিভিন্ন মোবাইল ফোন কোম্পানীর সুনাম নষ্ট করা সহ ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে ভূয়া ফেইজবুক পেইজ ও ওয়েবসাইট খুলে সাধারন গ্রাহকের অর্থ আত্মসাৎ করায় উক্ত বিষয়ে আইনগত প্রতিকার চেয়ে ’’রিয়েলমি মোবাইল ফোন কোম্পানী’’ কর্তৃপক্ষ র্যাব-৭, চট্টগ্রাম বরাবর অভিযোগ করে। উক্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গত ২৩ জুলাই ২০২২ খ্রিঃ রাত আনুমানিক রাত ১১ঃ ০৫ ঘটিকায় উল্লেখিত জায়গায় অভিযান পরিচালনা করে আসামী পলাতক থাকায় তার কক্ষ থেকে ০২ টি আইপি টেলিফোন, ০১ টি রাউটার, ০১টি মনিটর, ০১ টি সিপিউ, ০১টি কীবোর্ড, ০১টি মাউস, ০১টি চেকবই, ০১টি ইসলামী ব্যাংক ভিসা কার্ড, ০১টি কারব্যাগ, ০২টি ভিজিটিং কার্ড ও নগদ ১৩,১৯০/- টাকা উদ্ধার করে এবং আসামী পলাতক থাকায় আসামীকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে অভিযান অব্যাহত রাখে। এরই প্রেক্ষিতে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে যে, উল্লেখিত আসামী মশিউর রহমান চট্টগ্রাম জেলার উত্তর পতেঙ্গা এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত পরবর্তীতে উপস্থিত স্বাক্ষীদের সামনে আটককৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে উপরোক্ত আসামীর অনুরূপ নাম ঠিকানা প্রকাশ করে এবং উল্লেখিত প্রতারনার ঘটনায় জড়িত থাকার কথা অকপটে স্বীকার করে এবং তার হেফাজতে থাকা ০১টি অপ্পো এফ ১৭ প্রো এন্ড্রয়েড মোবাইলের মাধ্যমে বিভিন্ন ভূয়া ফেসবুক পেইজ খুলে বাংলাদেশের স্বনামধন্য মোবাইল কোম্পানীর সুনাম নষ্ট সহ নগদ এ্যাপের মাধ্যমে গ্রাহকদের অর্থ আতœসাৎ করেছিল মর্মে জানায়। গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায়, আসামী মশিউর রহমান গত ৪/৫ মাস আগে আইয়ারল্যান্ডে বসবাসকারী একজন প্রবাসী বাংলাদেশী নাগরিকের কাছ থেকে অনলাইনের মাধ্যমে ফেসবুক মার্কেটিং এবং ওয়েব ডিজাইনের কাছ শিখে। উক্ত কাজকে অপব্যবহার করে সে ১৩টির অধিক ভূয়া ফেইজবুক পেইজ এবং ওয়েবসাইট ব্যাবহার করে বিভিন্ন ধরনের বিভিন্ন ধরনের মোবাইল ফোনের বিজ্ঞাপন দিয়ে অস্বাভাবিক মূল্য ছাড়ের প্রলোভন দেখিয়ে নগদ এ্যাপসের মাধ্যমে দীর্ঘদিন যাবৎ গ্রাহকদের নিকট থেকে বিপুল পরিমান অর্থ আত্মসাৎ করে আসছে। উল্লেখিত আসামী বিভিন্ন নামী দামি মোবাইলের বিজ্ঞাপন দিয়ে গ্রাহকদের সাথে ডিজিটাল ডিভাইস ফেইজবুক পেইজ এবং ওয়েবসাইট ব্যবহার করে গ্রাহকদের অর্থ গ্রহনের পর তাদের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। ধৃত আসামী মশিউর রহমান(১৯) রিয়েলমি মোবাইল কোম্পানী,বাংলাদেশের এর ফেইক ফেসবুক পেইজ ব্যবহারের মাধ্যমে উক্ত পেইজ এবং ওয়েবসাইট হতে রিয়েলমি মোবাইল প্রকৃত মূল্য অপেক্ষা অস্বাভাবিক কম মূল্যে বিক্রয়ের বিজ্ঞাপনের বিভিন্ন পোষ্ট দিয়ে ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে আসামীর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে নগদ এ্যাপসের মাধ্যমে প্রতারণামূলকভাবে অর্থ আত্মসাৎ করত বলে জানা যায়। গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।