ডেস্ক নিউজঃ তিনি ছিলেন কাজিপুরের শতবর্ষীয় ঐতিহ্যবাহী মানিকপোটল গ্রামের তালুকদার পরিবারের গর্বিত সন্তান।চল্লিশ দশকের তুখোর শিক্ষার্থী। এরপর পড়ালেখা শেষ করে সাবরেজিস্টার পদে চাকুরি করেন। সরকারী মনসুর আলী কলেজের প্রতিষ্ঠাতাকালিন সময় অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন। ২ মার্চ তার ২১ তম মৃত্যুবার্ষিকী। দিনটি তার সন্তানেরা দোয়া ও কোরানখানির মধ্য দিয়ে পালন করেছেন। তাঁর সন্তান উপদেষ্টা সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপি,যুগ্ম আহ্বায়ক কাজিপুর উপজেলা বিএনপি,তহজিবুল ইসলাম তুষার পিতার সম্পর্কে সামাজিক মাধ্যমে বিস্তারিত লিখেছেন। আমার শৈশব-কৈশোর-যৌবনের স্মৃতিপটে চির ভাস্মর,আমার বাবার আজ ২১তম মৃত্যু বার্ষিকী। প্রয়াত এফাজ উদ্দিন তালুকদার ১৯২৬ সনে ততকালিন পাবনা জেলার সিরাজগঞ্জ মহুকুমার কাজিপুর থানার মানিক পোটল গ্রামের ঐতিহ্যবাহী মুসলিম তালুকদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ওনার বাবা প্রয়াত রিয়াজ উদ্দিন তালুকদার ও দাদা সুলতান মাহমুদ তালুকদার ছিলেন বৃটিশ উপনিবেশের রাণী দিনু মনীর অধীন জমিদারি প্রথার তালুকদার। পারিবারিক বিদ্যালয় মেঘাই ইউসুফ উদ্দিন ইসলামিয়া বিদ্যালয় থেকে ১৯৩৯ ইং সনে ম্যাট্রিকুলেশনে প্রথম, ১৯৪১ইং সনে বগুড়া আজিজুল হক কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েটে প্রথম, ১৯৪৩ইং সনে বগুড়া আজিজুল হক কলেজ থেকে বিএ, ডিসট্রিংসন ও ১৯৪৬ইং সনে কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি বিষয়ে এমএ, তে দ্বিতীয় স্থান লাভকরেন। ছাত্র অবস্হায়ই উনি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন সিরাজগঞ্জ মহুকুমার রতন কান্দি ইউনিয়নের গজারিয়া গ্রামের আমির হোসেন মুন্সীর একমাত্র কন্যা খুরশিদ জাহানের সাথে। ওনার প্রয়াত শশুর ছিলেন বাগবাটি জমিদারের নায়েব ও একমাত্র শুমুন্দি প্রয়াত আবুল হোসেন মুন্সী ছিলেন প্রভাবশালী মুসলিমলীগের নেতা ও রতন কান্দি ইউনিয়নের ২৫ বছরের এক নাগারে চেয়ারম্যান। পড়া লেখা শেষ করে প্রথমে সাবরেজিস্টার এরপর সার্কেল অফিসার। তিনি মেঘাই কলেজ প্রতিষ্ঠাকালিন সময়ে তিনি প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ছিলেন কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ শুরুতে কলেজের নামকরণ করা হয় মেঘাই কলেজ পরে মুনসুর আলি কলেজ। সমাজের সবাইকে নিয়ে গড়ে তুলেছেন এই কলেজ। অবসরে যাবার পর তিনি সিরাজগঞ্জ জেলা অবসরপ্রাপ্ত কল্যান সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হন। তিনি শজীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের প্রথম দল জাগদলের সভাপতি ও গ্রাম সরকারের দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০২ইং সনের ২রা মার্চ দিবাগত রাতের এই দিনে ৮ ভাই, ৪ বোনকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে যান। তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে কাজিপুরস দেশবাসির কাছে দোয়া চেয়েছেন ।