শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৭:২১ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
Logo সাংবাদিক জুয়েল খন্দকারের বিরুদ্ধে কাউন্সিলর সাহেদ ইকবাল বাবুর মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে প্রতিবাদ সভা অনুষ্টিত Logo জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের ঠিকাদারদের সাথে লিরা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ”র মতবিনিময় সভা-সম্পন্ন Logo হোসনাবাদ উপ-নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে যে যেই প্রতীক পেলেন। Logo অভয়নগরে মাছের ঘের ভয়ভীতি দেখিয়ে জবরদখল করার অভিযোগ : রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা। Logo চট্টগ্রাম মেডিকেলে  দালাল চক্রের ৩ সদস্য আটক Logo বেনাপোল পুলিশের অভিযানে সাজাপ্রাপ্ত আসামীসহ ১৪ জন গ্রেফতার Logo রায়পুরায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের পুরস্কার বিতরণ Logo ঝালকাঠিতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইটবাটা প্রস্তুতের কাজ ও গাছ কাটায় প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ভায়োলেশন মামলা Logo “ইন্টারন্যাশনাল প্রেস ক্লাব এন্ড হিউম্যান রাইটস” এর কেন্দ্রীয় কমিটির চূড়ান্ত প্রার্থিতা গ্রহণ। Logo সাংবাদিকদের বিতর্কিত করায় লাকীর বিরুদ্ধে এক হাজার কোটি টাকার মানহানী মামলা করার ঘোষণা-বিএমইউজে”র মানববন্ধন
বিজ্ঞাপন
আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিন ।  যোগাযোগঃ 01977306839

আমতলীতে মেয়র ও চেয়ারম্যানের

Reporter Name / ১১১৯ Time View
Update : রবিবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ৪:৪৮ পূর্বাহ্ণ

 

মাসুম বিল্লাহ জাফর বরগুনা জেলা প্রতিনিধি

আমতলী উপজেলার ভারপ্রাপ্ত উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও পৌর আওয়ামিলীগ সভাপতি মোঃ মুজিবুর রহমান এবং আমতলী পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামিলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মতিয়ার রহমানের বিরুদ্ধে করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল-সমাবেশ করেছেন উপজেলা আওয়ামিলীগ, যুবলীগ,ছাত্রলীগ সহ সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীরা। শনিবার বিকেল ৪ টায় আমতলী পৌরসভা চত্বর থেকে শুরু হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে আমতলী চৌরাস্তার মোরে এক সংক্ষিপ্ত বিক্ষোভ সমাবেশের মধ্যদিয়ে শেষ হয়।
সভায় উপজেলা আওয়ামিলীগ সভাপতি এডভোকেট এম এ কাদের মিয়া প্রকৃত দোষীদের গ্রেফতার করে আমতলী উপজেলা চেয়ারম্যান ও পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার দাবি করেন।
এছাড়া সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামিলীগের সহ সভাপতি মোতাহার উদ্দিন মৃধা, সহ সভাপতি নুরুল ইসলাম মৃধা,ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন মাসুম তালুকদার, রিপন, আসাদুজ্জামান মিন্টু মল্লিক,এডভোকেট নুরুল ইসলাম মিয়া, পৌর যুবলীগ সাধারন সম্পাদক তাজুল ইসলাম তিঠু, জুয়েল কমিশনার, ছাত্রলীগ সভাপতি মাহবুবুর রহমান সহ আওয়ামিলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

এর আগে আমতলী উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো: মজিবুর রহমান ও পৌরসভার মেয়র মতিয়ার রহমান সহ ৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যা চেষ্টা,গুরুতর আঘাত ও হত্যার হুকুমদাতা হিসেবে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

আমতলী সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালতে মোঃ কবির হোসেন খান বাদী হয়ে আজ বৃহস্পতিবার এই মামলা দায়ের করেন।

মামলার বাকি আসামিরা হলেন, মোঃ সবুজ মেলকার, মোঃ শাহাব উদ্দিন শিহাব, মোঃ ইশফাক আহম্মেদ ত্বোহা,মোঃ রুহুল আমিন,মোঃ রাকিবুল ইসলাম রাকিব, মোঃ মুজিবুর রহমান, মোঃ মতিয়ার রহমান, মোঃ জাকারিয়া হোসেন।

এর আগে গত ১৬ আগষ্ট আমতলী উপজেলা সেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন খানের উপর হামলা করে দূর্বিত্তরা। এই ঘটনার ১৬ দিন পর এই মামলা দায়ের করা হলো।

মামলা সূত্র জানা যায়, আমতলী উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ মুজিবুর রহমান ও পৌর মেয়র মতিয়ার রহমানের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করায় গত ১৬ আগষ্ট রাত (আট)০৮ ঘটিকার সময় আমতলী আলহেলাল মোড়, সাকিব প্লাজার সামনে দিয়ে উপজেলা সেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন খান যাওয়ার সময় সবুজ মেলকার সহ অন্যান্য আসামীরা তার উপর দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রসহ ঝাপিয়ে পরে গুরুতর আঘাত করে পালিয়ে যায়, এসময় মোয়াজ্জেম হোসেনকে স্থানীয় লোকজন আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে দ্রুত বরিশাল স্থানন্তর করে। বর্তমানে তিনি বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

আমতলী থানায় মামলা না নেয়া ও চিকিৎসার কারনে মামলায় বিলম্ব হয়েছে বলে যানান আহতর ভাতিজা ও মামলার বাদী মোঃ কবির হোসেন।

আমতলী উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) পৌর মেয়র মোঃ মতিয়ার রহমান বলেন,
আমাকে রাজনৈতিকভাবে হয়রানী করতেই মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানান তিনি।

মোয়াজ্জেম হোসেন খানের আইনজীবি মোসাঃ জাকিয়া আক্তার বলেন, মোয়াজ্জেম হোসেন খাঁন কুপিয়ে জখমের বর্বরোচিত ঘটনায় আমতলী পৌর মেয়র মোঃ মতিয়ার রহমান ও তার বড় ভাই মোঃ মজিবুর রহমানসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আদালতের বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে আমতলী থানার ওসিকে এজাহার হিসেবে গ্রহন করে দ্রুত কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দিয়েছেন।

আমতলী থানার ওসি একেএম মিজানুর রহমান বলেন, মামলার আদেশের নথি পাইনি। আদালতের আদেশের প্রাপ্তি সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Design & Developed by : BD IT HOST