মোঃ শহিদুল ইসলামসিনিয়র স্টাফ রিপোর্টারঃচট্টগ্রাম নগরীর ইপিজেড থানাধীন ৩৯ং ওয়ার্ড লেবার কলোনীর চার রাস্তার মোড় এলাকায় ছুরিকাঘাতে নিহত আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল রহিম বাচনের হত্যার প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়
নিহতের পরিবার ও আত্মীয় স্বজনের উপস্থিতিতে এই মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়ে। ইপিজেড থানার জাতীয় শ্রমিক লীগ নেতা মোঃ নুর কবিরের ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধনে হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান আব্দুর রহিম বাচনের পরিবার।
উক্ত মানববন্ধনে উপস্থিতছিলেন নিহতের স্ত্রী রোজি আক্তার নিহতের মেয়ে মীম ছোট মেয়ে চিমী,কনা মোঃতাহসিন।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন,
আলমগীর,সালাউদ্দিন,সুমন,রহিম, রাসেল,রাকিব,সুজন,ইপ্তি, রাব্বি,অনিক,হৃদয়,শুভ,শাহআলম,শাওন,ইন্তি,রনি,সাগর,আকাশ,সবুজ প্রমুখ।
আব্দুল রহিম বাচন এর স্ত্রী রোজী আক্তার কান্না সুরে আবারো বলেন বলেন আমার স্বামীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে কারণ এখানকার লোকজন ইয়াবা মদ গাঁজা ফেনসিডিল এগুলো ব্যবহার করত আমার স্বামী সেগুলো থেকে বিরত থাকার কারণেই তাদের পক্ষে ভাগাভাগি কম হবে বলে আমার স্বামীকে সরিয়ে দেওয়ার জন্যই এই হত্যা করেছেন এই চক্র মূল হোতারা।
তিনি আরো বলেন এই হত্যা কান্ডের সাথে যারা জড়িত আছেন তাদেরকে আইনের আওতায় এনে কঠিন শাস্তি দেওয়া হোক,আমার স্বামী একজন সৎ নিষ্ঠা ও ভদ্রলোক সে দীর্ঘদিন যাবৎ রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন।আমার স্বামী আব্দুর রহিম বাচন,সবার সাথে সুসম্পর্ক ও সবার সুখে দুঃখে সবসময় ঝাপিয়ে পড়তেন এইসব খারাপ কাজগুলো বাধা দিতেন, খারাপ কাজে বাধা দেওয়ার কারনে মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসী বাহিনীরা আমার স্বামীকে ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত করেন,তৈসিব,রনি আকাশ,কাদের ওরফে ইসমাত,আসিফ মহিউদ্দিন৷ নওশাদ৷ সাব্বির৷ জসিম মোটা রুবেল সহ আর ও অনেকেই।এরা সকলে মিলে আমার স্বামীকে হত্যা করেছে,
এদের কঠিন শাস্তি দেওয়া হোক এদের শাস্তি দেখে আর কেউ যেন ভবিষ্যতে কাউকে এভাবে খুন করতে না পারে এটাই হচ্ছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও প্রশাসনের কাছে অসহায় পরিবারের পক্ষ থেকে জোড়দাবি।
উক্ত মানববন্ধনে,আলমগীর ও সালাউদ্দিন বলেন,আব্দুল রহিম বাচনকে যারা এইভাবে খুন করেছে, আর এই খুনের সাথে যারা জড়িত আছে তাদেরকে আইনের আওতায় এনে কঠিন বিচার করা হোক, এটাই প্রশাসন মহলের কাছে আমার দাবি বর্তমানে খুনীরা সবসময় মোবাইল ফোনে হুমকি দিতেছে,যে বাচন খুন হয়েছে,আর ও খুন হবে বলে হুমকি ধামকি দিতাছে বলে জানান তার পরিবারের সদস্যরা।
বাচনের খুনের ব্যাপারে কাউন্সিলর হাজী জিয়াউর হক সুমনের কাছে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন,বাচন যেদিন খুন হয়,সেইদিন রাত ৩টা নাগাদ আমি ইপিজেড থানায় ছিলাম মামলা হয়েছে এবং মামলা হওয়ার পরে আমি চলে এসেছি,ইপিজেড থানা পুলিশের অভিযানে দুইজনকে গ্রেফতার করেছে আশাকরি বাকি সব খুনীদেরকে গ্রেফতার করতে ইপিজেড থানা পুলিশ সক্ষম হবেন,আমি চাই এই খুনীদের সাথে যারা জরিত রয়েছেন তাদেরকে আইনের আওতায় এনে কঠিন বিচার দেওয়া হোক।