আবীর আহমেদ হামিদ – রংপুর প্রতিনিধিঃ রংপুর মহানগরের হাজীরহাট মেট্রোপলিটন থানার অন্তর্গত কুটিপাড়ায় (রংপুর ক্যান্টনমেন্টের পিছনে) ঘাঘট নদী থেকে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন ব্যবহার করে বালু উত্তোলন ও বিক্রয় করা হয়। খবর পেয়ে রংপুরের স্থানীয় দৈনিক আখিরা প্রত্রিকার প্রতিনিধি এবং হাজীরহাট মেট্রোপলিটন প্রেসক্লাবের সদস্য সেখানে সংবাদের সত্যতা ও প্রমাণ সংগ্রহ করতে গেলে বালু উত্তোলনের মালিক পক্ষের সাথে জড়িত হামজা নামক এক ব্যক্তি সাংবাদিকের উপর চড়াও হয়। মোবাইলে পিকচার ও ভিডিও ধারণ করায় তিনি সাংবাদিককে ডেকে নিয়ে গিয়ে মোবাইল ফোনটি ছিনিয়ে নেয়। তারপরে সাংবাদিককে আটক করে ধাক্কাধাক্কি করে এবং নানান প্রকার হুমকিধামকি দিতে থাকে। হামজা সাংবাদিককে ভয় দেখানোর উদ্দেশ্যে বলে – আমার নামে ১৪ টি মামলা আছে আর একজন সাংবাদিককে খুন করলে কি আর শাস্তি হবে। আর কোটি টাকা দামের মেশিন ব্যবহার করে বালু উত্তোলন করছি – ক্ষমতা না থাকলে এখানে আসতাম না। এত হুমকিধামকি দিয়েও যখন কাজ হয় নি তখন সে কোদাল নিয়ে ছুটে আসে সাংবাদিক কে আঘাত করার জন্য। সেখানকার শ্রমিক ও ম্যানেজার তখন তাকে বাঁধা দেয়। অবশেষে তিনি ভিডিও ফুটেজ এবং পিকচার গুলো ডিলিট করে ছিনিয়ে নেয়া ফোনটি ফেরত দেন এবং হুমকি ধামকি ভয়ভীতি প্রদর্শন করে সাংবাদিককে ছেড়ে দেন। অনুসন্ধানে জানা যায় – পল্লব নামের একজন বালু ব্যবসায়ী এই বালু উত্তোলনের ড্রেজার মেশিন ও বালুর পয়েন্টের মালিক। আর হামজা হলো পল্লবের ঘনিষ্ঠ একজন লোক। এই হামজা তার বালুর পয়েন্ট ও ড্রেজার মেশিনের দায়িত্ব পালন করে।