বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ০২:০৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
Logo ফরিদপুরের মধুখালীতে ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের ধাক্কায় চালক নিহত Logo ঝিনাইদহে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযান Logo নওগাঁ’র রাণীনগরে ঔষধ ব্যবসায়ীদের দোকান বন্ধ রেখে সকাল-সন্ধা প্রতিকী ধর্মঘটঃ Logo বানারীপাড়ায় নিজেদের সম্পত্ত্বিতে বালু ফেলতে গিয়ে প্রতিপক্ষের কাছে হয়রানীর স্কিকার একটি অসহায় পরিবার Logo বোয়ালমারীতে ওয়েসিস বেকারী এন্ড পেস্ট্রি শপের শাখার উদ্বোধন  Logo আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সাংবাদিকদের সহযোগিতা চাইলেন শেরপুরের নবাগত পুলিশ সুপার Logo শাজাহানপুরে টানা ৪র্থ বারের মতো শ্রেষ্ঠ শ্রেণী শিক্ষক ( কারিগরী ) নির্বাচিত হলেন Logo বিশ্বমুক্ত গণমাধ্যম দিবস Logo রায়পুরা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ১০ প্রার্থীর মনোনয়ন দাখিল Logo বানারীপাড়ায় ন্যাশনাল সার্ভিসের কমিটি গঠন। সুমন দেবনাথ সভাপতি, সজল চৌধুরী সম্পাদক
বিজ্ঞাপন
আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিন ।  যোগাযোগঃ 01977306839

সাপাহারে অবৈধভাবে চলছে ২২টি স’মিল

Reporter Name / ১১৩৯ Time View
Update : মঙ্গলবার, ২৮ জুন, ২০২২, ১:০৭ অপরাহ্ণ

! হারুনুর রশিদ,সাপাহার (নওগাঁ) প্রতিনিধি: নওগাঁর সাপাহারে অবৈধভাবে চলছে ২২টি কাঠ ফাঁড়া স’মিল। যত্রতত্র ভাবে গড়ে ওঠা স’মিলগুলোর একটিরও নেই লাইসেন্স এমনকি নেই পরিবেশ সনদ। অনুমোদনবিহীন দেদারছে চালিয়ে যাচ্ছে লাইসেন্স বিহীন মিলগুলো। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলা সদরের পৌনে ১ কিলোমিটারের মধ্যে ১১টি স’মিল চলছে বিনা লাইসেন্সে। এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন স্থানে আরো ১১টি স’মিল চলছে অনুমোদন বিহীন। যার ফলে জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের উপর ব্যাপক ভাবে ক্ষতির প্রভাব পড়ছে। স’মিলে কাঠ জোগান দিতে গিয়ে অনেক সময় উজাড় হচ্ছে বন বিভাগের সরকারি গাছ। যার কারনে মোটা অংকের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। সাপাহার-সরাইগাছী প্রধান সড়কের কোল ঘেঁসে দু’পাশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসানো হয়েছে এসব স’মিল। শুধু তাই নয় সড়ক ও জনপথের সরকারী জায়গা অধিগ্রহন করে গাছের গুঁড়ি ফেলে রাখার অভিযোগ রয়েছে মিলারদের বিরুদ্ধে। সড়কের পাশে কাঠের গুঁড়িগুলো ফেলে রাখার ফলে যান বহন চলাচলে অনেকটা ব্যাহত হচ্ছে বলে জানান বিভিন্ন যানবহন চালকেরা। যার ফলে বাড়ছে জনভোগান্তি। শুধু তাই নয়, খড়ি কিনতে বা নামাতে আসা গাড়ীগুলো সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকার ফলে যানবহন চলাচলে চরম বিঘœ ঘটছে বলে জানান এলাকাবাসীরা। আইনানুযায়ী সকাল ৬টা থেকে সন্ধা ৬টা পর্যন্ত স’মিল পরিচালনা করার নিয়ম থাকলেও অসাধু মিলাররা রাতের আঁধারে কাঠ ফাঁড়ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। উপজেলার স’মিল মালিক আব্দুস সালামের ছেলে নিয়ামুল হকের কাছে লাইসেন্স আছে কি না জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের তথ্য না দিয়ে উগ্রতার সাথে বলেন “ যা লেখার লেখেন। মামলা খেয়ে আছি। জেল খাটি আবার জামিন পাই। এতো তথ্য দেবার সময় নেই।” অপরদিকে আরেক মিল মালিক স্বপনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, “আমরা লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে কিন্তু দীর্ঘদিন হয়ে গেছে লাইসেন্স পাইনি”। এবিষয়ে উপজেলা বন কর্মকর্তা জাহিদুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, “সাপাহার উপজেলায় মোট ২২টি স’মিল আছে। যার মধ্যে একটিরও লাইসেন্স নেই। এছাড়াও এরা লাইসেন্স পাবার মতো যোগ্য না”। লাইসেন্স পাবার যোগ্য কেন নয় এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “ফরেষ্ট ল্যান্ডের ১০ কিলোমিটারের মধ্যে এবং আন্তর্জাাতিক সীমানার ৫ কিলোমিটারের মধ্যে স’মিল থাকলে আইনানুযায়ী কোন ভাবেই লাইসেন্স পাবার যোগ্য নয়”। এছাড়াও স’মিলের লাইসেন্স করার আগে পরিবেশ সনদ করতে হবে। আর পরিবেশ সনদ ছাড়া মিলাররা কোনপ্রকার লাইসেন্স পাবেন না বলেও জানান ওই কর্মকর্তা। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্যাহ আল মামুনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্ঠা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Design & Developed by : BD IT HOST