বরিশাল প্রতিনিধি// বরিশালের বানারীপাড়ায় নিজেদের ভোগদখলীয় সম্পত্ত্বিতে বালু ফেলতে গিয়ে বার বার প্রতিপক্ষের কাছে হয়রানীর স্কিকার হতে হচ্ছে একটি অসহায় পরিবারের। পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের আরজ আলী খানের ছেলে রশিদ খান বিগত ১৯৭২ সাল হতে ভোগ দখলীয় জমির পুকুরে বর্তমানে রসিদ খানের ছেলে আতিকুর রহমান মিঠু ও তার ওয়ারিসগন বালু ফেলতে গেলে প্রতিপক্ষ মোয়াজ্জেমের স্ত্রী বিউটি বেগম গংদের বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে বারং বার। রশিদ খানের ছেলে আতিকুর রহমান মিঠু ও তার ওয়ারিশরা জানায় দীর্ঘ ৫২ বছর ভোগ দখলে থেকেও প্রতিপক্ষ মোয়াজ্জেমের স্ত্রী বিউটি বেগম অগেতুক সমস্যার সৃষ্টি করতেছে। তারা জানায় বাড়ির ৪৭৪ নং খতিয়ানের ৪৬৫,৪৬৯, ৪৮২,৪৮৩ তে ৮.৫ শতক জমি এবং ভিটার ৩৬ নং খতিয়ানে ৪৮০,৪৭৭,৪৮১, নং দাগে ১৪.৫ শতক জমি ১৯৭২ সালের ২৭ অক্টোবর ৩২৬৮ নং এ হাজেরা খাতুনের কাছ থেকে সাব কবলা দলিল মুলে আরজ আলী খানের ছেলে আঃ রসিদ খান ভোগ দখলে রয়েছে। ঐ সময় বাড়ির জমির মূল্য বেশি থাকায় মোয়াজ্জেমের স্ত্রী বিউটি বেগমের পক্ষদ্বয় বাড়ি থেকে জমি বুঝে নেয় এবং ডোবা নালার জমির দাম কম হওয়ায় সেখান থেকে আমাদের জমি দেয়। কালের বিবর্তনে ঐ ডোবা নালা পাশ দিয়ে পাকা রাস্তা হওয়ায় বর্তমানে ঐ জমির দাম বৃদ্ধি পেযেছে। দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় লোভ সংবরহন করতে না পেরে বিউটি বেগম ও তার ওয়ারিশদের লোলুপ দৃষ্টি পড়ে ঐ জমির উপর। তাই আমাদের জমি ভোগ দখলের জন্য মোয়াজ্জেমের স্ত্রী বিউটি বেগম ও তার ওয়ারিশরা পায়তারা করতেছে। ২০১১ সালে মোয়াজ্জেমের স্ত্রী বিউটি বেগম স্থানীয় কাউন্সিলর সহ গন্যমান্য ব্যক্তির কাছে আঃ রশিদ খানদের ভোগ দখলে বেশি সম্পত্ত্বি রয়েছে মর্মে আবেদন করে। সে মোতাবেক সবার উপস্থিতিতে মাপ দিলে দেখা যায় আঃ রশিদ খানের ভোগ দখলে তাদের প্রাপ্যের চেয়ে বেশি নয় বরং কম জমি রয়েছে। শালিসদারগন সবাইকে সবার জমি বুঝিতে দিবে এমন সময় কারো কারো যোগসাজেশে বিউটি বেগম দাগে দাগে জমি ভোগ করবে বলে দাবী করলে শালিশগন সে মোতাবেক রোয়েদাত করে দেন। সে মতে ঘর ভাঙ্গার বিষয় হলে সবাই ভাঙ্গতে নারাজ হওয়ায় মোয়াজ্জেমের স্ত্রী ও তাদের ওয়ারিস গং পুনরায় অতিরিক্ত জমি ভোগ দখলের পায়তারা করলে আঃ রসিদ খান জমি বুঝে পেতে ২০১৩ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারী এম পি নং১০৪৪/ ২০১২ এবং ১৪৫ ধারায় কোর্টে মামলা দায়ের করেন। ২০১৪ সালের ৩০ নভেম্বর বিবাদী বিউটি বেগম গং কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হলে কোর্ট বাদী আঃ রশিদ গংদের পক্ষে রায় দিয়ে দেন এবং বিবাদী পক্ষ দ্বয়দের ঐ জমিতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। মামলার রায়ের পরও প্রতিপক্ষের বার বার হয়রানী জুলুম অব্যহত থাকলে আঃ রশিদ গং দেওয়ানী মোকদ্দমা ১৫/ ২০১৬ এ বন্টন মামলা দায়ের করেন। বর্তমানে আঃ রশিদ গং তাদের ভোগ দখলীয় সম্পত্ত্বিতে কোন কাজ করতে গেলেই বার বার হয়রানীর সম্মূখীন হতে হচ্ছে প্রতিপক্ষ মোয়াজ্জেমের স্ত্রী বিউটি বেগম ও তার ওয়ারিশদের দ্বারা। এই সমস্যার সুষ্ঠ সমাধান চান আঃ রসিদ খান ও তার পরিবার।