শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০২৩, ০৩:৩৪ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
Logo শার্শায় পরিচর্যা খরচ ও রোগবালাই কম হওয়ায় ভুট্টা চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের Logo ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম ৮ মাস বেনাপোল স্থল বন্দরে ২৫৬ কোটি ৪৩ লাখ টাকা কম রাজস্ব আদায় Logo শার্শা জামতলা সীমান্তে থেকে এক কেজি ১৬৭ গ্রাম ওজনের ১o পিস স্বর্ণের বারসহ আটক-২ Logo পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সাংবাদিক মোঃ শহিদুল ইসলাম Logo বেনাপোল বাজার স্বাভাবিক রাখতে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান, ২টি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা। Logo শার্শায় উন্মুক্ত কারিগরি ফ্রি ট্রেনিং সেন্টার উদ্বোধন ও গুণীজন সংবর্ধনা Logo যশোর শার্শা রুদ্রপুর সীমান্তে বিওপি টহলদল ভারতীয় ইয়াবা ট্যাবলেট আটক Logo নেত্রকোণায় “সবুজ বাংলা সমবায় লিঃ ” এর পরিচালক সুমনের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ Logo যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী পরিবার যথাযথ মর্যাদায় ঐতিহাসিক ৭,১৭ ও ২৬ মার্চ পালন করেছে Logo নেত্রকোণার মোহনগঞ্জে ধামাইল উৎসব অনুষ্ঠিত
বিজ্ঞাপন
আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিন ।  যোগাযোগঃ 01977306839

সাপাহারে আলুচাষে অধিক ফলনের আশা করছে কৃষক

Reporter Name / ২৪৫ Time View
Update : রবিবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২২, ৮:৫৮ পূর্বাহ্ণ

 হারুনুর রশিদ,সাপাহার (নওগাঁ) প্রতিনিধি: কৃষি প্রধান উপজেলা হিসেবে ইতিমধ্যে দেশে নাম কুড়িয়েছে নওগাঁ জেলার সীমান্তবর্তী উপজেলা সাপাহার। এই এলাকার মাটির গুণগত মান অনুকূলে থাকায় সব ধরণের কৃষিজপণ্য উৎপাদন হয়ে থাকে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে আলু চাষ। এই উপজেলায় অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি আলু চাষে বেশ আগ্রহ দেখা গেছে কৃষকদের মাঝে। কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, অনেক কৃষক অধিক মুনাফার আশায় আগাম জাতের আলু চাষ করেছেন। যেগুলো বাজারজাত করে বেশ ভালো দাম পেয়েছেন। এরই ধারাবাহিকতায় মৌসুমী ফসল হিসেবে আলু চাষে ব্যাপক আগ্রহ লক্ষ্য করা গেছে কৃষকদের মাঝে। মাটির উর্বরতা ভালো হবার ফলে জমি তৈরী করতে তেমন কোন বেগ পেতে হয় না। এছাড়াও স্থানীয় বাজারে আলুর বীজ সহজে পাওয়া যায় বলে আলু চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের মাঝে। এই উপজেলায় কৃষকরা সবচেয়ে বেশী চাষ করছেন কার্ডিনাল জাতের আলু। এ ছাড়াও স্থানীয় জাতের লাল পাঁপড়ি, ডায়মন্ড, এ্যাস্টোরিক এবং ষাইটা জাতের আলু চাষ করছেন কৃষকরা। স্থানীয় আলু চাষী বকুল হোসেন জানান, “আমি স্থানীয় বাজার থেকে আলু বীজ সংগ্রহ করে ২বিঘা জমিতে কার্ডিনাল জাতের আলু চাষ করেছি। আলু গাছের অবস্থা এখনো পর্যন্ত ভালো। কোন পোকা মাকড়ের আক্রমণ না হলে আলু চাষ করে ভালো লাভ হবে। এছাড়াও বাড়িতে সারা বছরের আলুর চাহিদা পূরণ করেও বাজারে বিক্রি করতে পারবো।” আরেকজন আলুচাষী বলেন, “আমি আগাম জাতের আলু চাষ করেছিলাম ১বিঘা জমিতে। উৎপাদন ভালো হয়েছে। বাজারে বেশ ভালো দাম পেয়েছি। প্রতিকেজি আলু পাইকারীদরে বিক্রয় করেছি ৪৮-৫২ টাকা পর্যন্ত। সামনেবার আরো বেশি চাষ করার ইচ্ছে আছে।” উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কৃষিবিদ মনিরুজ্জামান টকি বলেন “ চলতি বছরে এই উপজেলায় ৮৫০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হচ্ছে। যার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি হেক্টরে ১৪ মেট্রিক টন।” তিনি আরো বলেন “ বর্তমানে আলুর তেমন কোন রোগ বালাই নেই। এই উপজেলায় বেশিরভাগ চাষ হচ্ছে কার্ডিনাল জাতের আলু। তবে ডায়মন্ড,পাকড়ী সহ দেশীয় জাতের আলু চাষ হচ্ছে। এছাড়াও স্ব-স্ব ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের মাধ্যমে কৃষকদের উন্নত বীজ এবং প্রয়োজনীয় সার ও কীটনাশক ব্যবহারের সার্বক্ষণিক পরামর্শ প্রদান করাসহ তদারকি করা হচ্ছে।” এই উপজেলায় অন্যান্য ফসলের ন্যায় আলু চষেও ব্যাপক বিস্তার লাভ করবেন বলে আশাবাদী এলাকার কৃষকগন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Design & Developed by : BD IT HOST