মোঃমকবুল হোসেন (কুড়িগ্রাম জেলা) প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামের রাজারহাটে শুক্রবার ১৮ নভেম্বর বিকেল ৪ঃ০০ঘটিকায় রাজারহাট উপজেলার নাজিমখান ইউনিয়ন পরিষদের ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার মাইদুল ইসলামের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারে দাবীতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন করেন এলাকাবাসী। জানা যায়, গত ১১/১১/২২ ইং তারিখে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে নাজিমখান ইউপির ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার মাইদুল ইসলামের বড় ভাই আমিনুল ইসলাম লালের সাথে বারসুধাই গ্রামের আব্দুল আখের বসুনিয়ার সাথে সকাল ১১ঃ০০ঘটিকায় তাদের বাড়ি হতে বাছড়া বাজার গামী রাস্তায় কথা কাটা কাটির এক পর্যায়ে উভয়ের মধ্যে মারামারি হয়। এসময় আমিনুল ইসলামের ছোটো ভাই নাজিমখান ইউনিয়ন পরিষদের ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার মাইদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন না। তবুও তার নামে মামলা দায়ের করা হয়। এরই পরিপেক্ষিতে এলাকাবাসী বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন করেন। মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা মাইদুল ইসলামের বিরুদ্ধে এই মিথ্যা মামলা অনতি বিলম্বে প্রত্যাহারের দাবী জানান স্থানীয় প্রশাসনের কাছে। সেই সাথে কোন নিরাপরাধ মানুষ কে যেন হয়রানি করা না হয়, সেই দাবীও জানান বক্তারা। উক্ত বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধনে নাজিমখান ইউনিয়ন পরিষদের (৬)জন ইউপি সদস্য অংশ গ্রহণ করেন। তারা হলেন মোসলেম উদ্দিন ইউপি সদস্য,শফিকুল ইসলাম ইউপি,নজির হোসেন ইউপি সদস্য,শহিদুল ইসলাম সাজু সমাজসেবক এবং ১,২,৩নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা সদস্যর স্বামী মোফাছেল হোসেন ও ৭ নং ওয়ার্ডের ইপি সদস্য মইদুল ইসলাম। সমাবেশে উপস্থিত এলাকাবাসী ও বক্তাগন বলেন, ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার মাইদুল ইসলাম ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন না বলে দাবী করেন এবং সেই সাথে রাজারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুল্লাহিল জামানের কাছে ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ মাইদুল ইসলামের বিরুদ্ধে সাজানো মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানান। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন বলেন, আব্দুল আখের বসুনিয়ার ছেলের বউয়ের সাথে আমিনুল ইসলাম লালের ছেলে বেলালের পরকিয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। আমিনুল ইসলামের ছেলে বেলাল হোসেন আখের বসুনিয়ার ছেলের বউকে ভাগিয়ে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করেন। এরই জের ধরে গত ১১ই নভেম্বর মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে আহত হন আখের বসুনিয়ার ছেলে জাফর আলী। পরে তাকে রংপুরে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এঘটনায় আখের বসুনিয়ার স্ত্রী জাহানারা বাদী হয়ে আমিনুল ইসলাম সহ ৫ জনের নাম উল্লেখ করেন তৎসঙ্গে ৫/৭ জন অজ্ঞাত ব্যক্তির নামে মামলা করেন। তবে এঘটনার সময় ইউপি সদস্য মাইদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন না। এ বিষয়ে নাজিমখান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক পাটোয়ারী নয়ার সঙ্গে মুঠোফোনে অসংখ্যবার যোগাযোগ করা হলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি। রাজারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুল্লাহিল জামান বলেন,মামলা তদন্ত প্রক্রিয়াধীন অবস্থায় আছে সে অপরাধী কিনা পরবর্তীতে তদন্ত শেষে জানানো হবে।