হাওর বন্ধু মোঃ ইকবাল হোসেন আহম্মদ খালী নাম পরিবর্তন হয়ে কিভাবে আম্মকখালী খাল হল – তা-ই হচ্ছে আজকের আলোচ্য বিষয়। ১৪০/১৫০ বছর পূর্বে ডিঙাপোতা হাওরে জলাশয় ছিল। জলাশয়ে ধান একেবারেই চাষ করা যেত না।ধান চাষ করা হত খিলক্ষেতে।নীচের জলাশয় থেকে কাঠের তৈরি /চাউ গছের তৈরি সেচ যন্ত্রের (খোন) মাধ্যমে পানি সেচ দিয়ে ধান আবাদ করতে হতো।সেই সময় সেলু মেশিন/পাওয়ার পাম্প ছিল না। একদা ছয়াশী গ্রামের আহম্মদ তালুকদার স্বপ্ন দেখতে লাগলেন ডিঙাপোতা হাওরের জলাশয়ের মধ্যে ধান চাষ করা যায় কিনা?পরে কামারগাঁও, ছয়াশীএবং জনদপুর গ্রামের লোকজন এর সাথে তিনি মত বিনিময় করেন।এতে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নেয়া হয় যে, ডিঙাপোতা হাওর থেকে সরকারি পতিত জমি নিয়ে একটি ফল্লা (চড়া) করা যেতে পারে।তাতে ডিঙাপোতা হাওরের জলাশয়ের পানি ধলাই নদীতে নেমে যাবে। ফলে বোর ধান চাষ করা যাবে অনায়াসে। তাই উপরোক্ত সিদ্ধান্ত মোতাবেক সকলের সহযোগিতায় একটি ফল্লা (চড়া) করা হলো।এতে ডিঙাপোতা জলাশয়ের পানি ধলাই নদীতে নেমে আসে।ফলে বোর ধান চাষ করা হয় এবং চড়া/ফল্লা দিয়ে পানি চলাচল করায় খালে পরিনত হলএবং এ খালের নাম দেয়া হল আহম্মদ খালী। কিন্ত দুঃখের বিষয় এতে করে কামারগাঁও, ছয়াশী,জনদপুর গ্রামের মানুষের লাভের চেয়ে ক্ষতি বেশী হয়ে গেল।উপরের খিলক্ষেতে আর রোপণ করা যায় না,পানি নীচে নেমে যায়। পক্ষান্তরে লাভ হয়ে গেল পাবই,নলজুরী,পালগাঁও,সেওরাতলী,মল্লিকপুর,তেতুলিয়া,নারাইচ,ভাটিয়াসহ অপরাপর গ্রামগুলোর।ফলে বিভিন্ন গ্রামের মানুষ বলাবলি করতে লাগল আহম্মদ তালুকদার আম্মকের কাজ করেছে। পরে এলাকার মানুষজন আহম্মদ খালী নাম পরিবর্তন করে বলতে লাগল আম্মকখালী খাল।তাই খালের নাম আম্মকখালী বলেই ডাকতে লাগল এবং তখন থেকেই আহম্মদ খালী খাল থেকে হয়ে গেল আম্মকখালী খাল।