মোঃ জুয়েল রানা
ফুলপুর উপজেলা প্রতিনিধিঃ
ময়মনসিংহ ফুলপুর নয় শুধু ,দেশের প্রায় সব জেলায় দ্রব্যমূল্যের যাঁতাকলে অসহায় খেঁটে খাওয়া দিনমজুর সহ সাধারণ মানুষ। বাজারে দ্রব্যমূল্যর উর্ধ্ব গতিতে মানুষের বোঁবা কান্নার যেন শেষ নেই। গত করোনার রেশ কাটতে না কাটতেই মানুষ অসহায় হয়ে পড়েছে দ্রব্যমূল্যের যাঁতাকলে।যে হারে বাড়ছে দৈনন্দিন জিনিসপত্র সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার নাগালের বাইরে চলে গেছে। সরকার কর্তৃক টিসিবি’র মালামাল বিক্রয় মানুষের জন্য চালু করলেও সেখানেও চলছে তেলেসমাতি কারবার। টিসিবি’র ডিলারগণ লোক দেখানো কিছু মালামাল বিক্রয় করে। সরেজমিনে জানা যায় রিক্সা- ভ্যান চালকসহ সাধারণ মানুষের সাথে কথা হলে তারা মনের মাঝে এক দূর্বিসহ যন্ত্রণার কথা বলতে থাকে। তারা জানায়, কি বিপদে আছি আমরা তা বলে বোঝাতে পারবনা। দিনে যা আয় করি তাতে চাল কিনলে আর টাকা থাকেনা। তৈল, পিয়াজ, রসুনসহ সব জিনিসের যে দাম তাতে আমাদের স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বেঁচে থাকা দায় হয়ে পড়েছে। আমরা কার কাছে বিচার দেব। অনেক স্থানে ঘুরে দেখা যায়, বড় বড় দোকানদারগণ সাধারণ জনগণের সাথে চালাকি করে সকল মালামাল বিক্রয় করছে। তেলসহ সব মালামাল যখন ক্রেতারা কিনতে যায় দোকানের নাম ঠিকানা বাদে একটি সাদা কাগজে হিসেব করে টাকা নেয়। কোন দোকানের নাম সিলসহ ক্রেতাদের হাতে মেমো দেয়না। যার জন্য মানুষ কোথাও বেশি মূল্যে নিলেও বিচার দিতে পারেনা। দেশের প্রায় সকল জনগণের অবস্থা নাকাল, দ্রবমুল্যে ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে । অসাধু ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে জনগণকে যাতাঁকলে ফেলে ব্যবসায়ীদের আংগুল ফুলে কলাগাছ হচ্ছে। সচেতন মহলের দাবি, জরুরিভাবে প্রশাসনের বাজার নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত মণিটরিং করা উচিৎ। অসাধু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দিতে না পারলে আগামী দিনগুলো সাধারণ জনগণের জন্য মরার উপর খাড়ার ঘা হয়ে দাড়াবে। রাজনৈতিক-সামাজিক-প্রশাসনসহ সবাইকে বাজার নিয়ন্ত্রণের জন্য এগিয়ে আসতে হবে।