আবীর আহমেদ হামিদ – রংপুর: রংপুর জেলার পীরগাছা থানার অন্তর্ভুক্ত ৬নং তাম্বুলপুর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডে পুর্বদেবু (নেকমামুদ বাজারের পাশে) গ্রামের দিনেশ রায় (৬০) নামক এক বৃদ্ধ অসহায় লোক ও তার স্ত্রীর উপর হামলা করে সুদ-ব্যবসায়ী মানিক রায় (৫০), তার ছেলে বিশ্বজিৎ (২৫) এবং তার দুই তিন জন সাঙ্গপাঙ্গসহ। ভুক্তভোগী দিনেশের স্ত্রী জানায় – তার মেয়ের বিয়ের জন্য ৫ বছর পূর্বে সুদ-ব্যবসায়ী মানিকের নিকট মাসিক সুদের ভিত্তিতে ১৫০০০/- ( পনের হাজার) টাকা দাদন নেন। বৃদ্ধ দিনেশ নিয়মিত সুদ প্রদান করলেও পাঁচ বছরেও পরিশোধ করতে পারছিলো না দাদনের টাকা। অবশেষে কিছুদিন আগে তার সুদের টাকা বকেয়া পড়ে যায় এবং সুদের পরিমাণ দাড়ায় পাঁচ হাজার টাকা। এমতাবস্থায় দিনেশ আসল ১৫০০০ টাকা ফেরত দিয়ে দেয় এবং বলে কয়েকদিন পরে সুদের ৫০০০ টাকা পুজার পুর্বে দিয়ে দিবে। কিন্তু পুজা চলে আসলে দাদন ব্যবসায়ী মানিক টাকার জন্য চাপ দেয়। পুজা উপলক্ষে বৃদ্ধের মেয়ে বাড়িতে বেড়াতে আসলে মানিক সুদের টাকা আদায়ের জন্যে দিনেশের বাড়িতে যায় – কিন্তু দিনেশ জানায় পুজার পরে টাকা পরিশোধ করে দিবে – মানিক মানে না এবং নানান রকম অকথ্য ভাষায় কথা বলে। মানিক এক পর্যায়ে বৃদ্ধের মেয়েকে নিয়ে নোংরা প্রস্তাব এবং দেহ-ব্যবসা করে তার টাকা ফেরত দিতে বলে। দিনেশ ও তার স্ত্রী এই কথায় প্রতিবাদ করলে মানিক, তার ছেলে বিশ্বজিৎ এবং আরও কয়েকজন সহ দিনেশকে মারধর শুরু করে। দিনেশের স্ত্রীকেও ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। তারপরে মারধর শুরু করে এবং পরণের কাপড়-চোপড় ছিঁড়ে শ্লীলতাহানি করে। দিনেশকে মারধর করে বুকের হাড় ফেটে গেছে এবং হাটুর মালাই নড়েচড়ে গেছে বলে জানায় ভুক্তভোগীর স্ত্রী। দিনেশ রায়কে গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত অবস্থায় পীরগাছা হাসপাতালে ভর্তি হয়। সেখানে ৬ দিন চিকিৎসারত অবস্থায় ছিলো। চিকিৎসার খরচ চালাতে ব্যর্থ হওয়ায় বর্তমানে তিনি নিজ বাড়িতেই চিকিৎসারত আছেন।এরপরেও দাদন ব্যবসায়ী মানিক খ্যান্ত হয় নি – নিয়মিত হুমকি ধামকি দিয়ে যাচ্ছে ভুক্তভোগী পরিবারকে। যাতে করে তারা মামলা মকদ্দমা করতে না পারে সেজন্য পায়তারা চালাচ্ছে মানিক। এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় – সুদের টাকা দিতে না পারায় এমন ঘটনায় তারা হতবাক। তারা বলেন – মানিক ও তার সাঙ্গপাঙ্গের সঠিক বিচার হওয়া প্রয়োজন। এলাকাবাসী মানিক ও তার ছেলের কঠোর শাস্তির দাবী করেন। ভ্রাতৃত্বের বন্ধন সামাজিক সংগঠনের সভাপতি এডভোকেট আসাদুল ইসলাম জিহাদ সহ নয় জনের একটি দল ভুক্তভোগী পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন এবং সমবেদনা জানান। পাশাপাশি ন্যায় বিচারের জন্য পাশে থাকা এবং পর্যাপ্ত সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি দেন। মানিকের ছেলে বিশ্বজিৎ বলেন – আনিত সকল অভিযোগ সম্পুর্ন ভিত্তিহীন।