দীর্ঘ ১২ বছর পর সময়ের অবসান ঘটিয়ে, দেশের অন্যান্য পৌরসভার ন্যায়, যশোরের বেনাপোলে অনুষ্ঠিতব্য হতে চলেছে সেই কাঙ্খিত পৌরসভা নির্বাচন। আর এ নির্বাচনে অন্যান্য বাহিনীর পাশাপাশি নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন সহ ভোট কেন্দ্রেস্থলে সশস্ত্র টহলে থাকবে আনসার বাহিনীর সদস্যরা। ১৭ জুলাই (সোমবার) তারিখে অনুষ্ঠিতব্য হতে চলেছে যশোরের বেনাপোল পৌরসভা-২০২৩ এর সাধারণ নির্বাচন। এ নির্বাচনে ৪ জন মেয়র প্রার্থী ও সংরক্ষিত পদে ১৭ জন এবং সাধারন কাউন্সিলর পদে ৫৩ পদপ্রার্থী তাদের আসনের জন্য মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। জানা গেছে, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই সহ প্রার্থীদের প্রত্যাহার এবং আপিল শেষে ৩ জন মেয়র প্রার্থী ও ৬২ জন কাউন্সিলর প্রার্থী সহ সর্বমোট মোট ৬৫ জন প্রার্থীকে আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়। সেই প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে ইতিমধ্যেই প্রচার প্রচারণার গণসংযোগ শেষ করেছেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা। আগামীকাল ১৭ জুলাই (সোমবার) সেই কাঙ্খিত পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। এ পৌরসভা-টি ৯টি ওয়ার্ড দ্বারা গঠিত এবং ভোটার সংখ্যা সর্বমোট ৩০ হাজার ৩ শত ৮৫ জন। প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কন্ট্রোলরুম মনিটরিংয়ের মাধ্যমে, প্রতিটি ওয়ার্ডকে সংযুক্তির মধ্য দিয়ে এবং এছাড়াও সিসি ক্যামেরার আওতায় ১২ কেন্দ্রে ইভিএমের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।ভোটগ্রহণ সফল করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে অন্যান্য বাহিনীর পাশাপাশি আইন শৃঙ্খলা রক্ষায়, ১২টি কেন্দ্রে প্রতিটি কেন্দ্রে ৯ জন করে সর্বমোট ১০৮ জন আনসার ও ভিডিপি সদস্য মোতায়েন করা হবে। এ বিষয়ে শার্শা উপজেলা আনসার ও ভিডিপি ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল রাসেল জানান, অন্যান্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি ভোট কেন্দ্রর আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় এবং ভোটারদের র্নিবিঘ্নে ভোট দানে সহায়তায়। বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালকের মহোদয়ের নির্দেশনা মোতাবেক এবং যশোর জেলা কমান্ড্যান্ট সনজয় কুমার স্যারের সার্বিক তত্ত্বাবধানে, বেনাপোল পৌরসভার ১২টি কেন্দ্রে প্রতিটি কেন্দ্রে ৯ জন করে সর্বমোট ১০৮ জন আনসার ও ভিডিপি সদস্য মোতায়েন থাকবে। এছাড়াও বেনাপোল পৌরসভা নির্বাচন উপলক্ষে, যশোর জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (ভিসি) জনাব মোঃ তমিজুল ইসলাম খান স্বাক্ষরিত প্রশাসনের এক গণবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে যে, আগামী ১৭ জুলাই বেনাপোল পৌরসভা নির্বাচন উপলক্ষে, সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮, এর ৩০ ধারা অনুযায়ী দিবসের পূর্ববর্তী রাত অর্থাৎ ১৬ জুলাই দিনগত মধ্যরাত ১২টা হতে ট্রাক, বাস, মিনিবাস, মাইক্রোবাস, জীপ, পিকআপ, কার , ইজিবাইক চলাচল বন্ধ থাকবে ১৭ জুলাই মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত। একইসাথে এছাড়াও ১৫ জুলাই দিবাগত মধ্যরাত হতে ১৮ জুলাই রাত ১২টা পর্যন্ত মোটর সাইকেল চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এ নিষেধাজ্ঞা রিটানিং অফিসারের অনুমতি সাপেক্ষ প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী, তাদের নির্বাচনী এজেন্ট, দেশি বিদেশি পর্যবেক্ষকদের (পরিচয় পত্র থাকতে হবে) ক্ষেত্রে শিথিলযোগ্য। তাছাড়া নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহ কাজে নিয়োজিত দেশি/বিদেশি সাংবাদিক (পরিচয় পত্র থাকতে হবে) নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারি, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, নির্বাচনের বৈধ পরিদর্শক এবং কতিপয় জরুরী কাজ যেমন, এ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ, গ্যাস, ডাক, টেলিযোগাযোগ ইত্যাদি কার্যক্রমে ব্যবহারের জন্য উল্লেখিত যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে উক্ত নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না। এছাড়া জাতীয় সহাসড়ক, বন্দর ও জরুরী পণ্য সরবরাহসহ অন্যান্য জরুরী প্রয়োজনে এরুপ নিষেধাজ্ঞা শিথিলযোগ্য।