নিউ আমেরিকান ডেমোক্রেটিক ক্লাব, ইয়ুথ এবং ওমেন্স ফোরামের ১০তম ডিনারেরইউএস সিনেটর মেজরীটি লিডার চাক শ্যুমার নিজেকে বাংলাদেশিদের বন্ধু বললেন। নিউইয়র্কে মুলধারার ৩টি বাংলাদেশি সংগঠন- নিউ অ্যামেরিকান ডেমোক্রেটিক ক্লাব, নিউ অ্যামেরিকান উইমেন ফোরাম ও নিউ অ্যামেরিকান ইয়ুথ ফোরাম-এর উদ্যোগে দশম বার্ষিক ডিনার এবং মিট অ্যান্ড গ্রিট-২০২২ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গত ১৮ মার্চ,শুক্রবার সন্ধ্যায় লাগোর্ডিয়া ম্যারিয়ট হোটেল বলরুমে এই আয়োজন সম্পন্ন হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউএস সিনেট মেডরীটি লিডার ও ডেমক্র্যাটিক পার্টির সিনেটর চাক শুমার। ইউএস সিনেটের ম্যাজরিটি লিডার সিনেটের চাক শুমার বলেছেন, করোনায় স্থবির হয়ে পড়া ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া আরও বেশি গতিশীল করতে উদ্যোগ নেবে সরকার। কারণ করোনার জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আসতে ইচ্ছুক ইমিগ্র্যান্টদের স্বজনরা উদ্বিগ্ন সময় পার করছেন।
বার্ষিক ডিনারে তিনি নিজেকে বাংলাদেশ কমিউনিটির একজন নিবেদিতপ্রাণ ব্যক্তি হিসাবে উল্লেখ করে বলেন, একদিন এই কমিউনিটির মানুষ চিন্তা করবে, ভাববে আমি তাদেরই একজন ছিলাম।
বাংলাদেশ কমিউনিটিকে শক্তিশালী কমিউনিটি উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাদের প্রয়োজনে সম্ভব সবকিছুই করব। এ সময় করোনাকালে নাগরিকদের সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্র সরকারের গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচির কথা তিনি তুলে ধরেন। বাংলাদেশি কমিউনিটির মানুষ এসব সুযোগ পেয়েছে বলেও মনে করেন তিনি।
বিশেষ অতিথি কমগ্রেসম্যান টম সুয়াজি বলেন, শক্তিশালী যুক্তরাষ্ট্র বিনির্মাণে বাংলাদেশ কমিউনিটি যথাযথ ভূমিকা পালন করছে। তিনি সুন্দর এই আয়োজনের জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান।
বিশেষ অতিথি স্টেট সিনেটর জন ল্যু বলেন, দিন দিন বাংলাদেশ কমিউনিটির কলেবর বৃদ্ধি পাচ্ছে। সিটি কাউন্সিলওম্যান শাহানা হানিফ, কুইন্স ডিস্ট্রিক্ট ফেডারেল জাজ সোমা সাঈদের নির্বাচিত হওয়ার মধ্য দিয়ে এই কমিউনিটি নির্বাচিত প্রতিনিধি পেয়েছে। তিনি বলেন, এটা কেবল শুরু। ভবিষ্যতে বাংলাদেশ কমিউনিটি অনেক দূর যাবে।
আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে বক্তৃতা করেন কুইন্স ব্যুরো প্রেসিডেন্ট ডোনাভান রিচার্ডস,স্টেট সিনেটর লিরয় কমরি,এসেম্বলি মেম্বার ভিভিয়ান কুক, এসেম্বলি মেম্বার জোরান মান্দানি, এসেম্বলি মেম্বার ক্যাটালিনা ক্রুজ, এসেম্বলি মেম্বার জেফ অরবি, সিটি কাউন্সিলম্যান শেখর কৃষ্ণ,কাউন্সিলওম্যান লিন্ডা লি, কাউন্সিলওম্যান সান্দ্রা উং,ডিস্ট্রিক্ট লিডার এন্থনী লিমা, মোফাজ্জল হোসাইন,এমটিএ ইউনিয়ন প্রেসিডেন্ট টনি উটানো, স্টেট কমিউনিটিম্যান ড.জিন ফেলাপস।
এর আগে অনুষ্ঠানের শুরুতে উপস্থিত সুধীকে শুভেচ্ছা জানান নিউ অ্যামেরিকান ডেমেক্রেটিক ক্লাবের প্রেসিডেন্ট প্রবীণ ডেমোক্রেট নেতা মোর্শেদ আলম। তিনি বলেন,বাংলাদেশি কমিউনিটিকে মুলধারার রাজনীতিতে সম্পৃক্ত করতে আমার সংগঠন ৩০ বছর ধরে কাজ করছে। মুলধারার রাজনীতিতে আমাদের প্রতিনিধি নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের কঠোর পরিশ্রমের ফল ভোগ করতে শুরু করেছি।
একে নিউ অ্যামেরিকান উইমেন ফোরামের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট শিরিন কামাল বলেন, বাংলাদেশ কমিউনিটির নারীদের মুলধারার রাজনীতিতে এগিয়ে নিয়ে আসার ক্ষেত্রে আমাদের সংগঠন নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়া নারীর অধিকার নিয়ে সচেতনতা গড়ে তুলতেও আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
এতে তারুণ্যের পক্ষে শুভেচ্ছা বক্তৃতা করেন অনুভা শাহীন।
নিউ অ্যামেরিকান ইয়ুথ ফোরামের প্রেসিডেন্ট আহনাফ আলম বলেন, তিনটি সংগঠনের এই আয়োজন দশম বছরে পদার্পণ করেছে। এই আয়োজনে মুলধারার রাজনীতিবিদদের সঙ্গে বাংলাদেশি কমিউনিটির সব শ্রেণী-পেশার মানুষকে সম্পৃক্ত করতে পেরেছি। আমি মনে করি আমাদের তিনটি সংগঠন দুই কমিউনিটির মানুষের মধ্যে সেতুবন্ধন হিসাবে কাজ করছে। আমাদের এ অগ্রযাত্রায় আমাদের এই অকুণ্ঠ সমর্থন ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে- এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
সবশেষে ছিল মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠা। নৈশভোজের মাধ্যমে ভাঙ্গে এ মিলনমেলা।