মাহাবুব ইসলামঃ মেহেরপুরের গাংনীর ঈদ বাজার ক্রেতায় জমজমাট। দোকানগুলোতে ক্রেতাদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। কিন্তু গতবারের চেয়ে এ বছর তৈরি পোশাকের দাম বেড়েছে বলে অভিযোগ অনেকের। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, এখন পোশাকসহ নিত্যপ্রণ্যের দাম একটু বেশি, কিন্তু মানুষের আয় কম। তাই ব্যাপক দরকষাকষিতে বেচাকেনা ভালো হলেও লাভ হচ্ছে সীমিত৷ আজ রবিবার বেলা ১১ টার দিকে গাংনী বাজারে গিয়ে দেখা যায়, দোকান গুলো সাজানো হয়েছে বাহারি রঙে। অভিজাত বিপণি দোকানগুলোতে শোভা পাচ্ছে, মেয়েদের পাখি, আনার কলি, লেহেঙ্গা, শিলা, ঝিলিক, ফুলকি, স্কার্ট টপস, থ্রি-পিস, জিনস প্যান্ট, জামদানি শাড়ি, বেনারসি শাড়ি, কাতান, সিল্ক, জর্জেট সহ নানা পোশাক। ছেলেদের পাঞ্জাবি, ফতুয়া, টি শার্ট, প্যান্ট এবং বাচ্ছাদের জন্য রয়েছে বাহারি ডিজাইনের তৈরি পোশাক। ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে ও বিক্রি বাড়াতে অনেক দোকানে গেট ও কালারফুল লাইটে সাজানো হয়েছে। অনেক ব্যবসায়ী আবার দিচ্ছেন আকর্ষণীয় মূল্য ছাড়৷ বেচাকেনাও বেশ ভালো৷ গাংনী বাজারের সাদ্দাম ফ্যাশন বস্ত্রবিতানের প্রোপাইটার মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেন, দুই বছর কাটিয়ে এবার ব্যবসা বানিজ্য অনেক ভালো। পোশাকের দাম বেশি কিছুটা, বেচাকেনা ভালো হলেও লাভ হচ্ছে সীমিত। কালেকশন পয়েন্টের প্রোপাইটার মেহেদী হাসান বলেন, প্রথম দিকে তেমন বেচাকেনা ছিলো না। তবে ১৫ রোজার পর থেকে বেচাকেনা বেড়েছে৷ বেশ ব্যস্ত এখন ব্যবসায়ীরা। বাজারে পোশাক কিনতে আসা গাংনী উপজেলার ধানখোলা গ্রামের শাহানাজ আক্তার বলেন, সকালে বাজারে এসেছি, এবার ঈদে নতুন কি এসেছে তা দেখছি। যদি পছন্দ হয় তাহলে থ্রি-পিস ও গজ কাপড় কিনবো। গাংনী উপজেলার জুগিন্দা গ্রামের বিদ্যুৎ হোসেন বলেন, পোশাকের দাম একটু বেশি। ১২০০ টাকা দিয়ে একটা জিনস প্যান্ট ও ৮০০ টাকা দিয়ে একটা পাঞ্জাবি কিনেছি। এখন জুতা কেনা বাকি। গাংনী বাজার কমিটির সভাপতি মাহবুবুর রহমান স্বপন বলেন, দুই বছর করোনার পর এবার বাজার জমে উঠেছে, বেচাবিক্রিও বেশ ভালো। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার মূল্য নিয়ন্ত্রন রাখতে মনিটরিং সেল পরিচালিত হচ্ছে এবং কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে, সেজন্য সব সময় পুশিলের টহল অব্যাহত রয়েছে।