সাগরিকা আক্তার মৌসুমীঃ ঢাকা শ্রমিক ও জনস্বার্থ বিরোধী দুর্ণীতিবাজ, অটোরিক্সা মালিক ও ট্রাফিক পুলিশের হয়রানীর বন্ধের দাবি ও ঢাকা মহানগরীতে ড্রাইভিং লাইসেন্সধারী চালাকদের নামে ৫(পাচঁ) হাজার সি.এন.জি, অটোরিক্স নতুন নিবন্ধন প্রক্রিয়াসহ শ্রমিকদের ৯ দফা দাবি আাদয়ের লহ্ম্যে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সকলা ১১.০০ টায় মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত হয় উক্ত মানব বন্ধনে সভাপতিত করেন ঢাকা সংগঠনের সহ-সভাপতি, মোঃ বাদল আহম্মেদ, উপস্থাপনা, কারনে সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন দুলাল। বক্তব্য রাখেন এম.এ হাসেম রমজন আলী, মনির হোসেন প্রধান ও জামির শেখ। উপস্থিত বক্তারা বলেন, আপনারা জানেন, অটোরিক্সা চালকদের বিভিন্ন দাবি আদায়ের লক্ষে আমরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছি। সি.এন. জি. অটোরিক্সা শ্রমিকগণ বিভিন্নভাবে নির্যাতিত হচ্ছে। আমরা আমদের ইউনিয়নের পক্ষ থেকে বরাবরই শ্রমিকদের পক্ষে পুলিশ প্রশাসনসহ বিআরটি এ’র কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ আলোচনা করে আসছি।অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে- আজো পর্যন্ত শ্রমিকদের অধিকাংশ দাবিই পুরুন করা হয়নি। সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী সি.এন.জি, অটোরিক্সা দৈনিক জমা ৯০০/-( নয় শত) টাকা নির্ধারণ থাকলেও মালিকরা দৈনিক ১১০০/১২০০ টাকা এক হাতে নিচ্ছেন এবং আইনে সিফটিং পদ্ধতি না থাকলেও মালিকরা দুই সিফটে/ তিন সিফটে গাড়ি চালান। দুই সিফটে ১৬০০/১৭০০ টাকা আদায় করছেন কোন শ্রমিক অসন্তোষ জানালে চাবি রেখে দেওয়া ও চাকুরি হারানো নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঢাকা সিটিতে পার্কিং এর কোন ব্যবস্থা নেই। কিন্তু নো পার্কিং এর মামলা, কথায় কথায় র্র্যাকারিং এবং ট্রাফিক পুলিশের চাঁদাবাজি, সিটি টোলের নামে মহানগর দক্ষিণে চাঁদাবাজি চলছে ৭০ টির অধুক পয়েন্ট এ।২০১৫ ইং এর পর ৫ ধাপে গ্যাসের মূল্য বৃবৃদ্ধি পেলেও মিটার রিডিং বাড়ানো হয়নি অটোরিক্সা সি.এন.জি চালকরা ৯ দফা দাবি জানিয়েছেন। (১) ঢাকা মহানগরীতে বসাবাসরত চালকদের নামে ৫ হাজার সি.এন.জি অটোরিক্সা নতুননিবন্ধন প্রক্রিয়া অবিলম্বে কার্যকর করতে হবে (২) মিটারের ভাড়া প্রথম ২ কিলো ১৫০ টাকা পরবর্তি প্রতি কিলো ৬০ টাকা এবং ওয়েটিং প্রতি মিনিট ০৫ টাকা নির্ধারন করতে হবে। (৩) চালকদের নিয়োগ পত্র, দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে (৪) পার্কিং এর ব্যবস্থা না করা পযন্ত পার্কিং মামলা দেওয়া যাবে না, (৫) ড্রোপ টেষ্টের নামে পেশাদার অপেশাদার বৈসম্য দূর করে সবার জন্য ড্রোপ টেষ্ট বাধ্যতামূলক করতে হবে এবং পেশাদার চালকদের ড্রোপ টেষ্ট সরকারি হাসপাতলে বিনামূল্যে করতে হবে। (৬) সি.এন.জি. অটোরিক্সা রাইড শেয়ারিং এর আওতাধীন নয়। অথচ ‘ওবাই নামের একটি এ্যান্স কোম্পানি সি.এন.জি., অটোরিক্সা মালিকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়ায় নিয়ে রাইড শেয়ারিং এ চালাচ্ছে। এটা সম্পূ্র্ণ বেয়ানি এবং অবশ্যই বন্ধ করতে হবে (৭)সিটি কর্পোরশনের টোলের নামে সি.এন.জি. অটোরিক্স থেকে চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে। (৮)অটোরিক্সসহ সকল চালকদের জন্য প্রতিটি সরকারি হাসপাতালে আলাদা ওয়ার্ড বরাদ্দ দিতে হবে। (৯)সকল চালাকদের জন্য স্থায়ী বাসস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। এবং সি.এন.জি. অটোরিক্স চালকরা বলেন আমদের (৯)দফা দাবী দ্রুত বাস্তবায়ন না হলে রাজ পথে কঠিন আন্দোলনের কর্মসূচি দিতে বাধ্য থাকব।