মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:১৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
Logo খানসামায় মুক্তিযোদ্ধাদেরকে কটুক্তি ও গালিগালাজ করায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ Logo নরসিংদীতে বৃষ্টির প্রার্থনায় ইসতিসকার নামাজ আদায় Logo তারাকান্দায় মাজিয়াল ছেঁড়া ১০টাকা নিয়ে হত্যা কান্ডে ঘটনায় জড়িত দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে তারাকান্দা থানা পুলিশ Logo চট্টগ্রাম নগরীর সিএমপির ইপিজেড থানা পুলিশের অভিযানে (১০) জন, জুয়াড়ি গ্রেফতার। Logo নওগাঁর সাপাহারে ইসতিসকার সালাত ও বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। Logo সাংবাদিকদের সাথে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী সোহরাব হোসেনের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত Logo শোক সংবাদ Logo তালতলীতে বৃষ্টির জন্য ইস্তিস্কার নামাজ আদায় Logo চাটরা স্টুডেন্টস ফোরাম আলোকিত মানুষ গড়তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে বার্ষিক কুইজ বিজয়ী ও উত্তীর্ণদের পুরস্কার বিতরণ Logo অভয়নগরের হাইওয়ে পুলিশের চাঁদাবাজি- হয়রানি বন্ধে দুই ঘন্টা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ
বিজ্ঞাপন
আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিন ।  যোগাযোগঃ 01977306839

আবদুল গাফফার চৌধুরীর মৃত্যুতে বিএমএসএফ গভীর শোকাহত

Reporter Name / ১০৬৪ Time View
Update : শুক্রবার, ২০ মে, ২০২২, ৩:১২ পূর্বাহ্ণ

 শামীম তালুকদার, নেত্রকোণা বিশিষ্ট সাংবাদিক, গীতিকার, কলামিস্ট ও সাহিত্যিক আবদুল গাফফার চৌধুরী আর নেই। স্থানীয় সময় বুধবার রাতে লন্ডনে মারা যান তিনি। তাঁর মৃত্যুতে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম বিএমএসএফ প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি চেয়ারম্যান আহমেদ আবু জাফর কেন্দ্রীয় সভাপতি সোহেল আহমেদ সাধারণ সম্পাদক শিবলী সাদিক খান গভীর শোক ও তাঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। তিনি ভাষা আন্দোলনের স্মরণীয় গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’র রচয়িতা। ১৯৩৪ সালের ১২ ডিসেম্বর বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জের উলানিয়ার চৌধুরীবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন আবদুল গাফফার চৌধুরী। তাঁর বাবা হাজী ওয়াহিদ রেজা চৌধুরী ও মা জহুরা খাতুন। ১৯৫০ সালে গাফফার চৌধুরী পরিপূর্ণভাবে কর্মজীবন শুরু করেন। এ সময়ে তিনি ‘দৈনিক ইনসাফ’ পত্রিকায় সাংবাদিক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। মহিউদ্দিন আহমদ ও কাজী আফসার উদ্দিন আহমদ তখন ‘দৈনিক ইনসাফ’ পরিচালনা করতেন। ১৯৫১ সালে ‘দৈনিক সংবাদ’ প্রকাশ হলে গাফফার চৌধুরী সেখানে অনুবাদকের কাজ নেন। এরপর তিনি বহু পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত হন। মাসিক সওগাত, দিলরুবা, মেঘনা, ইত্তেফাক, আজাদ, জেহাদ ও পূর্বদেশসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করেন বরেণ্য এই সাংবাদিক। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে সপরিবারে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে আগরতলা হয়ে কলকাতা পৌঁছান। সেখানে মুজিবনগর সরকারের মুখপত্র সাপ্তাহিক জয়বাংলায় লেখালেখি করেন। এ সময় তিনি কলকাতায় দৈনিক আনন্দবাজার ও যুগান্তর পত্রিকায় কলামিস্ট হিসেবেও কাজ করেন। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর দৈনিক জনপদ বের করেন। ১৯৭৩ সালে তিনি বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে আলজিয়ার্সে ৭২ জাতি জোট নিরপেক্ষ সম্মেলনে যান তিনি। দেশে ফেরার পর তার স্ত্রী গুরুতর অসুস্থ হলে তাকে চিকিৎসার জন্য প্রথমে কলকাতা নিয়ে যান। সেখানে সুস্থ না হওয়ায় তাকে নিয়ে ১৯৭৪ সালের অক্টোবর মাসে লন্ডনে যান। এরপর তার প্রবাসজীবনের ইতিহাস শুরু হয়। সাংবাদিকতার পাশাপাশি গল্প, উপন্যাস, স্মৃতিকথা, ছোটদের উপন্যাসও লিখেছেন তিনি। ‘চন্দ্রদ্বীপের উপাখ্যান’, ‘সম্রাটের ছবি’, ‘ধীরে বহে বুড়িগঙ্গা’, ‘বাঙালি না বাংলাদেশী’সহ তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থসংখ্যা প্রায় ৩০। এছাড়া তিনি কয়েকটি পূর্ণাঙ্গ নাটক লিখেছেন। এর মধ্যে আছে ‘পলাশী থেকে বাংলাদেশ’, ‘একজন তাহমিনা’ ও ‘রক্তাক্ত আগস্ট’। কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ বহু পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন গাফফার চৌধুরী। ১৯৬৩ সালে ইউনেস্কো পুরস্কার পান তিনি। এছাড়া বাংলা একাডেমি পদক, একুশে পদক, শেরেবাংলা পদক, বঙ্গবন্ধু পদকসহ আরও অনেক পদকে ভূষিত হয়েছেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Design & Developed by : BD IT HOST