মো:সাব্বির হোসেন রনি। গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি: আধুনিক যুগের অন্যতম যোগাযোগ মাধ্যম হলো ট্রেন। আমরা অনেকেই দৈনন্দিন জীবনে ট্রেনে যাতায়াত করে থাকি। ট্রেন ব্যবহার করলেও আজও আমরা ট্রেন সম্পর্কে অনেক কিছুই জানিনা। এই যেমন স্টেশনে ট্রেন দাঁড়িয়ে থাকলেও তার ইঞ্জিন কখনও বন্ধ করা হয়না। এর কারণ কিন্তু ৯৯% মানুষের কাছে অজানা। চলুন জেনে নেওয়া যাক এর পিছনের কারন কি – ট্রেনের ইঞ্জিন চালু করতে অন্ততপক্ষে পাঁচ থেকে ছয় মিনিট সময় লাগে। কোনো স্টেশনে ট্রেন ইঞ্জিন বন্ধ অবস্থায় দাঁড়িয়ে থাকার সময়ে হলুদ বা সবুজ সিগন্যাল এলে ট্রেন ছাড়তে সময় লেগে যাবে। এই দেরীর জন্য দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই ট্রেনের ইঞ্জিন কখনও বন্ধ করা হয় না। ট্রেনের ইঞ্জিনে এয়ার কম্প্রেসর ব্রেক থাকে। এই এয়ার কম্প্রেসর ব্রেক বাতাসের চাপে কাজ করে। তার জন্য ইঞ্জিন চালু থাকা দরকার। নাহলে এয়ার কম্প্রেসর ব্রেক কাজ করবেনা। আমরা অনেকেই জানিনা ট্রেনের আলো, পাখা বিদ্যুতে নয় ব্যাটারিতে চলে। আবার ডিজেল ট্রেনের ইঞ্জিনও ব্যাটারিতে চলে। ডিজেল ট্রেনের ইঞ্জিন চালু করার জন্য ব্যাটারিতে ফুল চার্জ থাকা প্রয়োজন। কিন্তু ট্রেনের আলো, পাখা ব্যাটারিতে চলায় ব্যাটারি ফুল চার্জে থাকেনা। তাই ট্রেনের ইঞ্জিন বন্ধ করলে তা আবার চালু করা খুব মুশিকল। এজন্য ডিজেল ট্রেনের ইঞ্জিন কখনও বন্ধ করা হয়না। হোটেলের বিছানার চাদর বালিশ সাদা রঙের হয় কেন? 99% মানুষ জানেন না। আসলে ডিজেল ট্রেন চালু করার জন্য তাপমাত্রাকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যেতে হয়। এইজন্য প্রচুর জ্বালানি প্রয়োজন হয়। বারবার ইঞ্জিন বন্ধ ও চালু করা হলে অতিরিক্ত জ্বালানি খরচ হয়। অতিরিক্ত জ্বালানি খরচ এড়াবার জন্য ট্রেনের ইঞ্জিন সবসময় চালু রাখা হয়।