নওগাঁ ও যশোর প্রতিনিধি: গত ১লা ফেব্রুয়ারী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা উত্তম কুমার, রফিকুল ইসলাম ও ডাবলু সরকার যশোর শিক্ষা বোর্ডের সচিব প্রফেসর মো আব্দুল খালেকের বিরুদ্ধে তৎকালীন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিবির ক্যাডার থাকা অবস্থায় ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের উপর অত্যাচার- নিরযাতন করার তথ্য প্রমানসহ শিক্ষামন্ত্রী ও শিক্ষা সচিব বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেন। এরপরই গত ০৯ই ফেব্রুয়ারী প্রফেসর মো: আব্দুল খালেক সরকারকে রাজশাহী অঞ্চলের পরিচালক করে আদেশ জারি করে শিক্ষামন্ত্রণালয়। এতে তিব্র নিন্দা ও দুঃখ প্রকাশ করেছে ছাত্রলীগের সাবেক ঐ তিন নেতা। রফিকুল ইসলাম বলেন, শিবিরের অধ্যষিত এলাকা রাজশাহীতে বহু অত্যাচার-নিরযাতন সহ্য করে ছাত্রলীগের রাজনীতি করেছি। আব্দুল খালেক সরকার আমাদের ম্যাচে হামলা করতো। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী বইটি পরযন্ত ছুড়ে ফেলে দিয়েছিল। আজ তাকে আবার রাজশাহীতে পদায়ন করা হলো। আমরা শিক্ষা মন্ত্রনালয়ে গিয়েছিলাম কিন্তু মন্ত্রীকে পাই নি। পরবর্তীতে আমরা লিখিত অভিযোগ দিয়ে আসি। এবিষয়ে আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে লিখিত অভিযোগ দিব। স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, প্রফেসর মো: আব্দুল খালেক সরকার আওয়ামী পরিবারের সন্তান হলেও ছাত্র জীবনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিবির ক্যাডার ছিলেন। এমনকি বর্তমান সময়েও সংগঠনে অতি গোপনে মাসিক ইয়ানত (চাাঁদা) প্রদান করে আসছেন বলে জানা যায়। ইতিমধ্যে যশোর পৌর আওয়ামীলীগের এক সদস্য তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, প্রফেসর মো: আব্দুল খালেক সরকার বিএনপি ও জামায়াতপন্থী কর্মকর্তাদের যোগসাজসে একটি সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করেন এবং তার অধিনস্থ জামায়াত পন্থী কর্মকর্তা কর্মচারীদের পদোন্নতি দেওয়ার জন্য বিভিন্ন ভাবে সাহায্য ও তদবির করেন। ৮০’র দশকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিষয়ে পড়াশোনার সময়ে বিশ্ববিদ্যারয়ের পার্শ্ববর্তী এলাকা শিবির ঘাটি বলে খ্যাত বিনোদপুরের শিবিরের ম্যাচে অবস্থান করে রাজনৈতিক দায়িত্ব পালন করতেন। তার নিজ এলাকা নওগাঁ জেলার সাপাহার উপজেলায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তিনি ত্যাগী আওয়ামী পরিবারের সন্তান। কিন্তু রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখার সময় বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবিরের রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পড়েন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মাত্র ৫/৬ মাস চাকুরির মেয়াদ থাকাকালীন সময়ে জামায়াত-শিবির অধ্যষিত রাজশাহী অঞ্চলের পরিচালক হয়ে সরকার বিরোধী আন্দোলনে একটি গোষ্টিকে চাঙ্গা করার জন্য তিনি মন্ত্রণালয়ে তদবির করে রাজশাহীতে পদায়ন হয়েছেন। গোপনসুত্রে জানা গেছে, শিক্ষামন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা যশোর শিক্ষা বোর্ডে পূর্ণনিয়ন্ত্রণ করার জন্য বোর্ডের সচিবসহ তার পছন্দের কর্মকর্তাদের পদায়নের জন্য প্রফেসর মো: আব্দুল খালেক সরকারের সাথে আতাত করে এই বদলী বাস্তবায়ন করছেন।