সাইদুর রহমান আকাশঃঃ তালা উপজেলার খেশরা ইউনিয়নের হরিহরনগর গ্রামের দাড়ার আবাদ এলাকায় নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে সরকারী রাস্তার ধারের গাছ কেটে নিয়ে যাওয়া অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ দায়সাড়া বক্তব্য দিয়ে আসল ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়া বৃথা চেষ্টা করছেন বলে জানা গিয়েছে। গত জুন মাসের ১১ তারিখ দুপুর আনুমানিক ১২ টার দিকে রাস্তার উপর থাকা ৪ টি শিশু গাছ স্থানীয় এক প্রভাবশালী নেতার কথায় কর্তন করে নিয়ে বিক্রয় করেছেন কিছু জনৈক ব্যক্তিরা। গাছ কর্তন করে বিক্রয় করা ব্যক্তিরা হলেন, খেশরা ইউনিয়নের হরিহরনগর গ্রামের মৃত কপিল উদ্দীন সরদারের পুত্র গোলাপনবী সরদার, সিদ্দিক সরদার ও কালাম সরদার। সরকারী আইন মোতাবেক কোন গাছ কর্তন করিলে সংশ্লিষ্ট আইনে সাজা বা জরিমানা অথবা সরকার যদি সংরক্ষণযোগ্য কোন গাছ কাটার অনুমতি দেয় তবে শর্ত হিসেবে প্রতি একটি গাছ কাটার বিপরীতে তিনটি গাছ লাগানোর শর্ত দিতে হবে। কিন্তু এসকল আইনের তোয়াক্কা করেননি ওই জনৈক ব্যক্তিরা। স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, এলাকার কপিল উদ্দীন সরদারের তিন ছেলে গত কয়েকদিন আগে সরকারী রাস্তার উপর থাকা ৪টি শিশু গাছ কেটে বিক্রয় করে দেন। তাদের কাছে সরকারী গাছ কাটার বিষয়ে জিঙ্গাসা করলে তারা বলেন,আমার ওই(প্রভাবশালী) নেতার কথায় গাছ কেটেছি এবং সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের উৎকোচ প্রদান করেছি। বর্তমান বাজারে ৪ টি শিশু গাছের মূল্য প্রায় আশি-একলক্ষ টাকার মতন। এমন করে যদি সরকারী গাছ গুলো কেটে সাবাড় করা হয় তাহলে একসময় দেশে আর গাছ থাকবে না। অভিযুক্ত কালাম সরদারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,গাছ গুলো আমি কেটে ফেলি নাই। গাছ গুলো কেটেছে আমার বড় ভাই গোলাপনবী সরদার। অভিযুক্ত গোলাপনবী সরদার বলেন, গাছ গুলো আমাদের লাগানো তাই কেটে নিয়েছি রাস্তার প্রস্থত করা হবে বলে। এছাড়া গাছ গুলো কাটার জন্য এলাকার এক নেতার কথামত সংশ্লিষ্ট কর্তাদের উৎকোচও প্রদান করেছি। এবিষয়ে খেশরা ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা নায়েব অসীম হালদার বলেন, আমি এখন এসিল্যান্ড স্যারের বিদায় অনুষ্ঠানে আছি। আর আপনারা বলছেন গাছের দাম আশি-একলক্ষ টাকা কিন্তু সরেজমিনে গিয়ে তেমন তথ্য তো পায় না।যায় হোক আমি খোঁজ নিয়ে আপনাকে জানাবো।