নিজস্ব প্রতিবেদকঃ আমরা বীর মুক্তিযোদ্ধারা ১৯৭১ সালে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সারা দিয়ে অস্ত্র হাতে নিয়ে একটি সুশিক্ষিত সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র যুদ্ধে অবতীর্ন হয়েছিলাম৷ দীর্ঘ নয় মাস সশস্ত্র যুদ্ধের মধ্য দুয়ে পৃথিবীর মানচিত্রে একটি নতুন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছি৷ আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের জন্য মরন পন লড়াই করেছি৷ লড়াই এর মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠিত আজ এই স্বাধীন বাংলাদেশ মাত্র সাড়ে তিন বছর যেতে না যেতে স্বাধীনতা বিরোধীরা ও সেনাবাহিনীর কতিপয় পথভ্রষ্ঠ অফিসার ক্ষমতা লিপ্সু জেনারেল জিয়াউর রহমানের বিশ্ববিখ্যাত বেইমান খন্দকার মোস্তাকের সহযোগীতায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারের হত্যা করে। হত্যাকান্ডের মূল নায়ক জেনারেল জিয়া অবশেষে ক্ষমতা দখল করে অপর দিকে দল গঠনের উদ্দেশ্য তিনি বঙ্গবন্ধুর সময় গ্রেফতারকৃত সাড়ে ১১ হাজার রাজাকার দলবদর দালাল যাদের বিরুদ্ধে খুন ধর্ষণ অগ্নি সংযোগ ও লুন্ঠনের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে তিনি বঙ্গবন্ধু খুনিদের বিদেশি দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পূনর্বাসিত করেছন ইনডেমানিটি অধ্যদেশ জারী করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার রহিত করেন মুক্তিযুদ্ধকালে রনঙ্গনে যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা কর্নেল তাহেরকে ক্যামেরা ট্রায়ালের মাধ্যমে প্রহসন মূলক বিচার করে ফাঁসি দিয়ে হত্যা করেছে তার সময় বহু বীর মুক্তিযোদ্ধারা নানাভাবে অপমানিত লাঞ্ছিত ও বঞ্চিত হয়েছেন ১৯৯১ ও ২০০১ সালে জেনারেল জিয়ার স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ক্ষমতায় আসেন স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াত ইসলামকে ক্ষমতার অংশীদার করে ২০১৩ ২০১৪ ও ২০১৫ শেখ হাসিনার সরকার উৎ খাতের নামে নামে পেট্রোল বোমা দিয়ে পুড়িয়ে পিটিয়ে কুপিয়ে অসংখ্য মানুষ হত্যা করেছে ১০০০ যানবাহন পুড়িয়েছে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির নির্বাচন বন্ধ জন্য সন্ত্রাস ও নাশকতা করেছে তারা প্রিজাইডিং অফিসার হত্যা করেছে বিএনপি পূর্বের সন্ত্রাসী চেহারা চাদরে ঢেকে এখন বলছে বিএনপি সন্ত্রাস করে না বিএনপি সন্ত্রাসীদের দল নয় সাত খোপের কবুতর খেয়ে বিড়াল হয়েছে সাধু তাদের চেহারা বাংলার মানুষ চেনে তারা ১৯৭১ ও ১৯৭৫ এর খুনিদের নিয়ে রাজনীতি করেছে খুনিদের লালন পালন করেছে সেই কারণে বিএনপির মহাসচিব বলেন আমরা পাকিস্তানে ভালো ছিলাম তিনি আরো বলেন খালেদা জিয়া প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা তারেক জিয়া শিশু মুক্তিযোদ্ধা এসব কথা বলে তিনি প্রকৃতপক্ষে মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি প্রহসন করেছে। বিশেষ করে ২০১৫ সালে বিএনপি জামায়াত লাগাতার অবরোধ আন্দোলনের নামে পেট্রোল বোমা মেরে যানবাহন ও ড্রাইভার হেল্পার সহ অসংখ্য মানুষ হত্যা করেছে সাতক্ষীরায় দুইজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে ২০১৩ সালে বিএনপি জামায়াত মিলে নতুন নতুন রেল গাড়িতে আগুন দিয়েছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ২০১৮ সালের ১৬ই ডিসেম্বর থেকে নির্বাচনের পূর্ব দিন পর্যন্ত দেশব্যাপী বিজয় মঞ্চ করে আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেছিলাম দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগামী ২০১৪ সালের জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচনের আগে বিএনপি নতুন পদ্ধতিতে সন্ত্রাস ও নাশকতা সৃষ্টির কৌশলপত্র প্রণয়ন করছে তারা দেশে এক রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টির জন্য উঠে পড়ে লেগেছে সম্মিলিত মুক্তিযোদ্ধা সংসদ দেশের ৮ টি বিভাগ ও ২ টি প্রস্তাবিত বিভাগে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের সন্তানদের নিয়ে সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর মধ্যো ঢাকায় মহাসমাবেশ প্রধান অতিথি থাকবেন,মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা।