বেতাগী বরগুনা প্রতিনিধি: ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। সোমবার দুপুরে দেশত্যাগ করেন তিনি। এরপর থেকে আতঙ্কে রয়েছেন দলটির নেতাকর্মী ও মন্ত্রী- এমপিরা। একই অবস্থা বেতাগীতেও । শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর চলমান পরিস্থিতিতে আত্মগোপনে চলে গেছেন উপজেলার আলোচিত নেতারা। অভিভাবকশূন্য সংকটময় এ দিনগুলোতে বাড়ি ঘরে হামলা- ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনায় চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন আওয়ামীলীগের কর্মী- সমর্থকরা। একাধিক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। সর্বশেষ দ্বাদশ জাতীয় সংসদে বরগুনা জেলার সংসদীয় দুইটি আসনের সব কয়েকটিতে আধিপত্য ছিল আওয়ামী লীগের। তবে শেখ হাসিনার পতনের পর তাদের কেউ পালিয়ে গেছেন বিদেশে। কেউবা রয়েছেন আত্মগোপনে। আত্মগোপনে রয়েছেন দলের ছোট- বড় সব নেতাকর্মী। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, আত্মগোপনে চলে গেছেন বেতাগী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বেতাগী পৌরসভা মেয়র এবিএম গোলাম কবির, সাধারান সম্পাদক মাকসুদুর রহমান ফোরকানের লাপাত্তা রয়েছেন। বেতাগীতে আওয়ামী লীগের নেতাদের বাড়ি ঘরে হামলা করে দুর্ব্যেত্তরা, সাবেক বেতাগী উপজেলা চেয়ারম্যান মাকসুদুর রহমান ফোরকান এর বাড়িতেও ভাঙচুর ও লুটপাট করে, এবং বেতাগী উপজেলার ৩নং হোসনাবাদ ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ আলতাফ ফরাজির বাড়িতে হামলা ও লুটপাট ছিনতাই করে এবং তার দুই ছেলের দুইটি মোটরবাইকে আগুন লাগান দুর্বৃত্তেরা, বেতাগী ৫নং ওয়ার্ডের কমিশনারে নিজ বাসা ও ব্যাবসায়ীক প্রতিষ্ঠানে প্রায় আর্ধকোটি টাকার মালামাল ভাঙচুর ছিনতাই করে। তবে শুধু উপজেলা নয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রায় সব নেতাকর্মীই রয়েছেন আত্মগোপনে। এ কারণে কারও বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন বলেন, আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার প্রতি তৃণমূলের কর্মীদের এতদিন যে আস্থা ছিল, তাদের কেউই কল্পনা করতে পারেননি শেখ হাসিনা এভাবে দেশত্যাগ করবেন। এমন পরিস্থিতিতে তাদের মনোবল ভেঙে গেছে। একইসঙ্গে শেখ হাসিনা যে এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হবেন, সেটাও কেউ কোনোদিন কল্পনা করতে পারেননি। বেতাগী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক হুমায়ন কবির বলেন, স্বৈরশাসক দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে জনগণকে কোনঠাসা করে রেখেছিল। ভয়ে জনগণ মুখ খুলতে পারেনি। ছাত্র-জনতা গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশটাকে আবার স্বাধীন করেছে। এ বিজয় ধরে রাখতে হলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।