বানারীপাড়া প্রতিনিধি// বরিশালের বানারীপাড়ায় সরকারী মডেল ইউনিয়ন ইনস্টিটিউশন পাইলট হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক কৃষ্ণ কান্ত হাওলাদারের পদত্যাগের দাবীতে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা মারব বন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে। গত ৪/৫ দিন ধরে প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগের দাবীতে উত্তাল সমগ্র বানারীপাড়া। ইতিমধ্যে এই প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগের উল্লেখ্যযোগ্য ১২ টি কারন উল্লেখকরে সমগ্র বানারীপাড়ায় হ্যান্ড বিল বিতরন করে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও সাধারন জনতা। উক্ত হ্যান্ডবিলে প্রধান শিক্ষক কৃষ্ণ কান্তের বিভিন্ন দূর্নীতির তথ্য তুলে ধরা হয়। তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কর্তৃক সমাজ সংস্কারের বিভিন্ন কাজ যেমন ট্রাফিক নিয়ন্ত্রন, রাস্কাঘাট পরিস্কার ও দেয়াল লিখনে শিক্ষার্থীদের বাধা প্রধান, আইডি কার্ড দেয়ার কথা বলে টাকা উত্তোলন করে আইডি কার্ড না দেয়া, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সাথে খুব অশোভনীয় আচরন করা, গরীব শিক্ষার্থীদের আর্থিক অবস্থা নিয়ে বিদ্রুপ করা, ভিক্ষা করে ফরম পূরনের টাকা পরিশোধ করতে শিক্ষার্থী অভিভাবকদের হুমকি দেয়া। এস এস সি পরীক্ষার প্রবেশ পত্র কিংবা পাসের সার্টিফিকেট নিতে জনপ্রতি ৫ শত টাকা চাদা নেয়া, ৮ম শ্রেনীর এক শিক্ষার্থীর পিঠে কনুই দিয়ে আঘাত করে ঐ শিক্ষার্থীর মেরুদন্ডের হার ভেঙ্গে দেয়া, মুসলিম শিক্ষার্থীর যোহরের নামাজ আদায় করতে সুযোগ না দেয়া এবং কেহ নামাজ আদায় করতে গেলে সেই শিক্ষার্থীকে হেনস্তা করা, বিভিন্ন সময় বিভিন্ন গাইড কোম্পানীর কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা (৩/৪ লাখ) নিয়ে নিম্ন মানের ঐ নির্ধারিত নোট গাইড কিনতে বাধ্য করা, শিক্ষা সফর ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বাবদ সরকার ও শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রাপ্ত টাকা দিয়ে নিম্ন মানের খাবার ও পুরস্কার দিয়ে টাকা বাঁচিয়ে আত্মসাৎ করা, প্রতিবছর মসজিদের জন্য বিদ্যালয় হতে ৩০/৪০ হাজার টাকা উঠিয়ে ২০ হাজার ৪০০ টাকা দিয়ে বাকি টাকার হিসাব না দেয়া, শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সময় জানোয়ারের বাচ্চা, কুত্তার বাচ্চা, ফকিনির বাচ্চা গরীবের বাচ্চা বলে গালি দেয়া, পক্ষপাতিত্য যেমন নিজ সন্তানকে এক চোখে এবং অন্যান্য শিক্ষার্থীদের ভিন্ন চোখে দেখা সহ বিভিন্ন অভিযোগ উল্লেখ করে এই হ্যান্ড বিল বিতরন করা হয়। মানববন্ধনে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা আরো অভিযোগ করে আজ অধিকাংশ শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়াজ মোর্শেদ পলাশ গেটে তালা মেরে আটকে রাখে এবং অশ্লীল ভাষায় গালিগালাছ করে। দাবী এক দফা এক প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগ এই শ্লোগান দিতে দিতে বিক্ষোভ মিছিল করে বানারীপাড়া উপজেলা কার্যালয়ে অবস্থান করে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের একটি দল তখন নির্বাহী কর্মকর্তা ডাঃ অন্তরা হালদারের সাথে দেখা করলে তিনি শিক্ষার্থীদের বিষয়টি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে আচ্ছাস দিলে শিক্ষার্থীরা উপজেলা কার্যালয় ত্যাগ করে। আজ বিদ্যালয়ে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক শ্রেনীকার্যক্রমে অনুপস্থিত ছিলেন। এ প্রসংগে নির্বাহী কর্মকর্তা ডাঃ অন্তরা হালদার বলেন প্রধান শিক্ষক আমার কাছে ছুটির জন্য লিখিত দরখস্ত দিয়ে গেছেন। উপস্থিত অনেক অভিভাবকরা আক্ষেপ করে বলেন বানারীপাড়ার মত ঐতিহ্যবাহী এই বিদ্যালয়ে ওনার মত প্রধান শিক্ষক কিভাবে হতে পারে। সারা বানারীপাড়া আজ উত্তাল প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগের দাবীতে। শিক্ষার্থীরা জানায় প্রধান শিক্ষক আমাদের মানব বন্ধনটি বানচাল করতে কয়েকজন শিক্ষকের সহায়তা নিয়ে আমাদের বাধা সৃষ্টি করে আসছে। তারা বিভিন্ন ভাবে পদক্ষেপ নিয়েছিল যাতে আমরা তার কুকৃর্তি নিয়ে মানব বন্ধন না করি, এমনকি আমাদের অভিভাবদের দিয়েও মারধর দেয়াইছে যাতে আমরা নিশ্চুপ থাকি। প্রসংগ কয়েক বছর পূর্বে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিদ্যালয়ের বোর্ড পরীক্ষা চলাকালীন সময় প্রশ্নপত্র আলমারিতে তালাবদ্ধ রেখে নিজের খেয়াল খুসি মত পাশ্ববর্তী উপজেলা স্বরুপকাঠিতে ভোজ খেতে যান। ২ টায় পরীক্ষার নির্ধারিত সময় থাকলে ও পরীক্ষা হলে না আসলে তাকে ফোন দিয়ে না পেয়ে মটোরসাইকেল যোগে তাকে ৩/৩০ টায় স্কুলে নিয়ে আসা হয়। স্বুরুপকাঠি গিয়ে দেখা যায় তিনি সেখানে খুবই খোশ মেজাজে ছিলেন। কতোটা দায়িত্বহীনতা হলে একজন প্রধান শিক্ষক এমন কর্মকান্ড করতে পারে তা নিয়ে ঐ সময় পরীক্ষার্থীরা খুবই উদ্বিগ্ন হয়েছিল। যদি ও সেযাত্রা অনেক টাকার বিনিময় নিজের অবস্থান ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছিল