বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১:০১ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
Logo চাটরা স্টুডেন্টস ফোরাম আলোকিত মানুষ গড়তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে বার্ষিক কুইজ বিজয়ী ও উত্তীর্ণদের পুরস্কার বিতরণ Logo অভয়নগরের হাইওয়ে পুলিশের চাঁদাবাজি- হয়রানি বন্ধে দুই ঘন্টা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ Logo প্যারাসুট অ্যাডভান্সড অ্যালো ভেরা নিয়ে এলো মেহজাবীন ও সিয়ামের সাথে ডান্স চ্যালেঞ্জ Logo নারীর সাথে আমার আপত্তিকর ছবি এডিট করা; Logo ইপিজেড থানা পুলিশের অভিযানে ৫০ লিটার দেশীয় তৈরী চোলাই মদ সহ ০১(এক) মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার। Logo মিথ্যা মামলা ও হত্যার হুমকির প্রতিবাদের সংবাদ সম্মেলন Logo ইপিজেড থানা পুলিশের অভিযানে(পাঁচশত) গ্রাম গাঁজাসহ একজন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার Logo রায়পুরায় বজ্রপাতে একজনের মৃত্যু Logo নরসিংদীতে মরা নদীর তীরে অষ্টমী স্নানে ভক্ত পূণ্যার্থীদের ঢল Logo সড়কের ধুলাবালির দূষণে অতিষ্ঠ জনজীবন,চরম হুমকিতে জনস্বাস্থ্য
বিজ্ঞাপন
আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিন ।  যোগাযোগঃ 01977306839

পাল্টা সমাবেশের ঘোষণা-আওয়ামী লীগের-উত্তপ্ত রাজনীতি

Reporter Name / ৯১৭ Time View
Update : রবিবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২২, ২:৩২ পূর্বাহ্ণ

 মোঃ শহিদুল ইসলাম সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টারঃ চট্টগ্রামে বিএনপি’র সমাবেশের পর এবার পাল্টা সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ। ফের উত্তপ্ত হচ্ছে রাজনীতি। মহানগর,উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ এবং বিভিন্ন আসনের সংসদ সদস্যদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে এ ঘোষণা দেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এমপি। শনিবার (১৫ অক্টোবর) সকাল ১১টায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে এ বক্তব্য শেষে এঘোষণা দেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগণকে নিয়ে রাজনীতি করে। আমরা জনগণকে নিয়েই আগামি মাসে গণসমাবেশ ও মিছিল করবো চট্টগ্রামের প্রত্যেকটি উপজেলা ও থানায়। তার পরবর্তীতে চট্টগ্রাম শহরে আমরা জেলা সমাবেশ করবো। তখন আপনারা দেখবেন-ইনশাল্লাহ আমাদের জেলা সমাবেশ কেমন হয়। ড. হাছান মাহমুদ বলেন,বিএনপি চট্টগ্রামে একটি সমাবেশ করেছে, সেই সমাবেশ থেকে তারা নানা ধরনের আপত্তিকর বক্তব্য দিয়েছে। সেই সমাবেশে চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিভিন্ন জায়গা থেকে সন্ত্রাসীদের সমাবেশ ঘটিয়েছে। চট্টগ্রামসহ সমগ্র দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির একটি ছক এঁকেছে। সেই প্রেক্ষাপটে আমরা রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে আমাদের করণীয় সম্পর্কে আলোচনা করার জন্য আজকে বসেছি। ‘বিএনপি চট্টগ্রামে যে সমাবেশ করেছে,সেই সমাবেশের প্রস্তুতি তারা দীর্ঘ তিনমাস ধরে নিয়েছে। প্রস্তুতি নিয়ে তারা বলেছিল, পনের লাখ মানুষের সমাগম হবে। এখান ধেকে কক্সবাজারের দূরত্ব ১৮০ কিলোমিটার, টেকনাফের দূরত্ব ২৫০ কিলোমিটার, সেখান থেকেও মানুষ এনেছে। তারা পলোগ্রাউন্ড মাঠের চল্লিশ শতাংশ পেছনে রেখে মঞ্চ করেছে। আর সামনের যে অংশ তার অর্ধেকও পূর্ণ হয়নি। অর্থাৎ পলোগ্রাউন্ড মাঠের এক তৃতীয়াংশও ঠিকমত পূর্ণ হয়নি। চট্টগ্রামে জব্বারের বলি খেলায় যত মানুষ হয়, তার চেয়েও অনেক কম মানুষ হয়েছে। বাস্তবতা হচ্ছে, জব্বারের বলিখেলায় অনেক বেশি মানুষ হয়। বিএনপি হাঁকডাক করেও মহাসমাবেশ নাম দিয়ে একটি ফ্লপ সমাবেশ করেছে’। তিনি বলেন,বিএনপি যে প্লাটফর্মে সমাবেশ করেছে সেখানে ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যার পর প্রতিবাদ হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর কথা বলার কারণে জিয়াউর রহমান চট্টগ্রাম ষড়যন্ত্র মামলা নামে তিনটি মামলা দিয়েছিল, মৌলভি সৈয়দকে নির্যাতন করে মেরেছে। জিয়াউর রহমান আসলে ইতিহাসের পাতায় একজন খুনি হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। তিনি নাস্তা করতে করতে ফাঁসির আদেশে সই করতেন। এমন ঘটনাও ঘটেছে, ফাঁসি কার্যকর হয়ে গেছে, রায় হয়েছে ফাঁসি কার্যকর হবার পর। তারা যে এই চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে সেগুলো নিয়ে ইতিমধ্যে যারা সেই নির্যাতন ও হত্যাকাণ্ডের শিকার তাদের পরিবার সরব হয়েছে। আমরা সেগুলোকে বিশ্ব দরবারে নিয়ে যাবো। তিনি বলেন,জিয়াউর রহমান বিনা বিচারে হাজার হাজার সেনাবাহিনীর অফিসার জওয়ানদের হত্যা করেছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের লক্ষ কর্মীকে হত্যা করেছেন তিনি। যারা জিয়াউর রহমানের নির্মম নির্যাতন আর বিনাবিচারে হত্যার শিকার হয়েছে তাদের পরিবার কদিন আগে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে ‘মায়ের কান্না’ব্যানারে একটি অনুষ্ঠান করেছে। সেখানে একটি ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়েছে। সেখানে আমি নিজেও ছিলাম, সাংবাদিকরাও উপস্থিত ছিলেন। বিএনপির এক দফা দাবি সরকারের পতএ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, বিএনপি গত ১৪ বছর ধরেই এই আন্দোলনের মধ্যে আছে। আমরা সরকার গঠনের দুয়েকমাস পর থেকেই তারা সরকারকে বিদায় দেওয়ার আন্দোলনের মধ্যে আছে। আন্দোলন করতে করতে দেখা গেল তারা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তাদের আন্দোলনের মধ্যেই জনগণ পরপর তিনবার রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব আমাদেরকে দিয়েছে। তারা এই আন্দোলন করার প্রেক্ষিতে আমরা মনে করি, আগামি নির্বাচনে ভোট আমাদের আরো বাড়বে ইনশাল্লাহ। সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন-চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী,রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী,সংসদ সদস্য মোছলেম উদ্দিন আহমেদ,মোস্তাফিজুর রহমান, মাহফুজুর রহমান মিতা,আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী,দিদারুল আলম,খাদিজাতুল আনোয়ার সনি,চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহাতাব উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন,উত্তর জেলার সভাপতি এম এ সালাম, সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান, দক্ষিণ জেলার সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান প্রমুখ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Design & Developed by : BD IT HOST