সাগরিকা আক্তার মৌসুমী ঢাকা সাংবাদিক মিনহাজুল হক’কে সোস্যাল মিডিয়া ও ফোন কলের মাধ্যমে হত্যার হুমকি দিচ্ছেন ছাত্রলীগ নেতা। নওগাঁর মহাদেবপুরের এনায়েতপুর ইউনিয়নের মোল্লাপাড়া গ্রামের মহসিন মন্ডলের ছেলে- মোঃ মিনহাজুল হক (২০) (সাংবাদিক) ও একই উপজেলার মহাদেবপুর সদর ইউনিয়নের শালগ্রাম গ্রামের রহিম মন্ডলের মেয়ে আমিনা (১৯) দু’জনের মধ্যে গত আগস্ট ২০২১ থেকে প্রেম চলছিল। মিনহাজুল হক (২০) দৈনিক আলোর সন্ধান অনলাইন নিউজ পোর্টালের নির্বাহী সম্পাদক। আমিনা আক্তার (১৯) নওগাঁ সরকারি কলেজের অনার্স ২য় বর্ষের শিক্ষার্থ্রী। মিনহাজুল হক জানায়, আমাদের এই সম্পর্ক শুরু হয় নভেম্বর ২০২১ থেকে কিন্তু ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২২ এ সে জানিয়ে দেয় এই সম্পর্ক রাখবে না। কিন্তু আমি মানতে পারছিলাম না। তখন বলতে গেলে পাগল হয়ে গিয়েছিলাম। তাকে অনেক বুঝিয়েছি এবং তার সাথে যোগাযোগ করার জন্য অনেক নাটক করেছিলাম। পরে আমিনা আক্তারকে এসএমএস এর মাধ্যমে বিয়ের প্রস্তাব দেই। ঠিক তার পরের দিন থেকে সোস্যাল মিডিয়া মেসেঞ্জারে তিনজন ছেলে নক করেন। ১. রাকিব হোসেন রনিক (আইডির নামঃ Md Rakib Hossen Ronik) ইনি আমাকে আমিনার ব্যাপারেই কথা বলেছিল, তবে খুব ভদ্র ভাবেই বলেছেন। ২. শুভ ঘোষ (আইডির নামঃ Sree Shovo Ghosh) ইনি আমাকে নক করেই খুব খারাপ ভাষায় গালিগালাজ করেছে। এবং তার পরিচয় দিয়েছে রাজশাহী মহানগরের ৪নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি। এবং মহাদেবপুরে তার নাকি গ্যাং আছে। সাংবাদিকতা পেশাকে নিয়ে অনেক খারাপ শব্দ ব্যবহার করেছে, যা বলে প্রকাশ করা যায়না। ৩. মারুফ (আইডির নামঃ Md MaRuf Billaha Tahasina) ইনিও নক করেই মা-কে উল্লেখ করে গালিগালাজ করছে। এবং মারার হুমকি দিয়েছে। পরে যখন বাড়িতে মেয়েটির কথা বলেছি, বাবা-মা খোজখবর নিলেন। রেজাল্ট এমন আসলো যে তার আগে একটি বিয়ে হয়েছিল এবং পরে ডিভোর্স হয়েছে। এবং ওই এলাকাবাশির কাছ থেকে মেয়েটির সম্বন্ধে জেনেছেন। তারা আমাকে আমিনা আক্তার এর সাথে বিয়ে দিবেন না। এটা মানতে পারছিলাম না, কিন্তু আস্তে আস্তে তার কথা ভুলে গেছি। গতকাল ১৯/০৭/২০২২ মারুফ (Md MaRuf Billaha Tahasina) হঠাৎ মেসেজ করে এবং আবারো হত্যা করার হুমকি দেয়। এবং আমাকে মহাদেবপুর ডাকবাংলো মাঠে যেতে বলে। কিন্তু আমি যাইনি। আমি বর্তমানে দিনাজপুর আছি। গতকাল রাতে “রাকিব হোসেন রনিক” কে ম্যাসেজ দিয়ে বললাম যে মারুফের কি বাবা মা নেই? পশু মতো আচরণ করে কেন? কিন্তু ওনি তার সাপোর্ট নিয়েই কথা বলেছেন। ওনাকে বল্লাম যে তাহলে লিডার আপনি, তিনি উত্তর দিলেন “লিডার হতে জিগার লাগে”