আত্রাই উপজেলা প্রতিনিধিঃ চলতি মৌসুমে নওগাঁর আত্রাই উপজেলায় প্রায় ১১ হাজার ৪৬৫হেক্টর জমিতে রবি শস্য আবাদের লক্ষ মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আগাম জাতের ধান কেটেই আলু-সরিষাসহ বিভিন্ন রবি শস্য আবাদে ব্যস্ত হয়ে পরেছেন কৃষকরা। কৃষি কর্মকর্তা বলছেন,আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে এলক্ষ মাত্রা অতিক্রম করতে পারে। ইতি মধ্যে আগাম জাতের ধান কাটার পর উপজেলর কৃষকরা আলু,সরিষা,পেয়াজ,রসুন রোপন শুরু করেছেন। কর্মকর্তারা বলছেন, গত মৌসুমে কৃষকরা সরিষা চাষ করে প্রতি বিঘা জমি থেকে প্রায় ২৫ হাজার টাকা লাভ করেছেন। সেই লক্ষে আগাম জাতের ধান রোপন করেছিলেন। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় ইতি মধ্যে কৃষকরা সরিষা,আলুসহ বিভিন্ন রবি শস্য রোপন শুরু করছেন। আত্রাই উপজেলার বিলগলীয়া গ্রামের কৃষক দুলাল ইসলাম বলেন,গত মৌসুমে মাত্র আড়ই বিঘা জমিতে সরিষা আবাদ করেছিলাম,কিন্তু সরিষা আবাদে যে পরিমান লাভ হয়েছে তা দেখে এবার প্রায় ২৫ বিঘা জমিতে সরিষা রোপন করেছি। ধুলাউড়ী কৃষক আব্দুর মালেক বলেন,গত বছর তিন বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করে প্রায় ৬০ হাজার টাকা লাভ হয়েছে। এবার প্রায় ৫বিঘা জমিতে সরিষা রোপন করেছি। সাহেরগঞ্জ কাজী পাড়ার কৃষক বাচ্চু খাঁন বলেন,গত বছর সরিষা চাষে যে লাভ হয়েছে এর আগে ধান আবাদ করে কোন ভাবেই সম্ভব হয়নি। তাই এবার আগাম জাতের ধান রোপন করেছিলাম। ধান কেটেই প্রায় সাড়ে ৮বিঘা জমিতে সরিষা রোপন করছি। আসা করছি আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে ফলন এবং দাম দুটোই ভাল পাওয়া যাবে। আত্রাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কে এম কাওছার হোসেন বলেন, এ মৌসুমে উপজেলায় ভূট্রা ৪হাজার ৭২৫ হেক্টর,সরিষা ২হাজার ৫৮৫ হেক্টর,আলু ২হাজার ৭৩৫ হেক্টর এবং পেয়াজ,রসুন,চিনা বাদামসহ মোট ১১হাজার ৩২০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন রকমের রবি শস্য আবাদের লক্ষ মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতি মধ্যে সরিষা,আলু,ভূট্রাসহ বেশ কিছু রবি শস্য রোপন শুরু করেছেন কৃষকরা। তিনিবলছেন,আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে রবি শস্য আবাদের লক্ষমাত্রা আরো বাড়তে পারে। এক্ষেত্রে কৃষকদের পরামর্শসহ সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে।