আবুল হাসানঃবরগুনার তালতলীতে বসত ঘরে ডুকে খাবারে জামাল গোটা প্রয়োগে ১৩ বছরের এক কিশোরী সহ ৩ জন শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়েছে বলে জানা গেছে। উপজেলার নিশানবাড়ীয়া ইউনিয়নের মোয়াপাড়া এলাকার অটো গাড়ি চালক কবির হাং এর বাড়ীতে এ ঘটনা ঘটে। সরেজমিন গিয়ে জানা গেছে, ১৫ অক্টোবর (শনিবার) সন্ধ্যার দিকে মোয়াপাড়া গ্রামের কবির হাওলাদারের বাড়ি ফাকা পেয়ে স্থানীয় জলিল হাওলাদারের ছেলে মুসা (১৯) বাসায় ডুকে খাবারে জামাল গোটা প্রয়োগ করে। খাবার খেয়ে কবির হাওলাদার (৪০) স্ত্রী শিল্পী (৩৭) ও মেয়ে আখী (১৩) অসুস্থ হয়ে পড়ে। এদের মধ্যে কবির হাওলাদারের স্ত্রী শিল্পী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে শনিবার রাত ১ টার দিকে তাকে তালতলী সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আয়নাল মুন্সীর ছেলে আবু সালেহ অসুস্থ শিল্পীকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে চাইলে ওই সময় মুসার বাবা জলিল হাং (৪৫) আবু সালেহকে হাসপাতালে নিতে বাধা দেয়। বাধার পরেও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ায় তার পরিবারের উপর চড়াও হয় জলিজ হাং। পরবর্তীতে গভীর রাতে চিকিৎসককে ঘুম থেকে জাগিয়ে তোলার পর তিনি সুস্থতার জন্য প্রাথমিকভাবে যাবতীয় ওষুধ পত্র লিখে দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত বরিশাল পাঠানোর পরামর্শ দেয়। টাকার অভাবে কবির হাওলাদার তাৎক্ষণিকভাবে স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করতে ব্যর্থ হয়ে, রবিবার বিকেলে তাকে নিয়ে বরগুনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কবির হাওলাদারের ঘরে যুবতী মেয়ে থাকায় নানা সময়ে বাড়ীতে আসে মুসা। বেশ কিছুদিন ধরে মুসার সাথে জামাল গোটা ছিল। এছাড়াও সন্ধ্যার সময় ওই ঘর ফাঁকা ছিল। বাড়ির লোকজন বাসায় ফিরে দেখেন মুসা তাদের ঘরে। এ বিষয়ে (অসুস্থ) শিল্পী বেগম বলেন, সন্ধ্যার দিকে আমি ছাগল নিয়ে বাড়ীতে এসে দেখি মুসা আমাদের ঘরে। আমাকে দেখে সে অস্বস্তিবোধ করে এবং জিজ্ঞেস করে আমি আজকে কি রান্না করেছি? নানা প্রশ্নে আমাকে জাড়াতে থাকে। রাতে খাবারের পরে আমরা অসুস্থ হয়ে পড়ি। কবির হাওলাদার বলেন, সারাদিন গাড়ি চালিয়ে রাত্রে বাড়ি ফিরে খাবার খাই এবং আমরা অসুস্থ হয়ে পরি। এ বিষয়ে অভিযুক্ত মুসা বলেন, আমার চাচাতো ভাই মাও.জালালের ছেলে মুজাহিদের থেকে আমি জামাল গোটা এনেছি। সন্ধ্যার দিকে যদিও আমি ওই বাড়ীতে ছিলাম তবে খাবারে জামালগোটার বিষয় আমি অবগত না।অভিযুক্ত মুসার বাবা জলিল হাং কে একাধিকবার কল করে কিংবা ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়েও তার সন্ধ্যান মেলেনি। তালতলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন,,কেউ লেখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে