শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১০:০৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
Logo লালমোহন ধলীগৌর নগর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ফরম জমা দিলেন Logo শ্রীপুরে অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্যকে মারধর করে দোকান লুটপাটের অভিযোগ Logo বেনাপোল BUFC 2003 এর উদ্যোগে ইফতার অনুষ্ঠিত Logo ভোলা লালমোহনে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় উদযাপিত Logo বিএম ইউসুফ-মোস্তফা হেলাল কবিরের ভয়াবহ প্রতারণা ধ্বংসের পথেপপুলার লাইফ ইন্সুরেন্সে Logo বানারীপাড়ায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেত্রীর ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীতা ঘোষণা, Logo ফুলপুর মোটরসাইকেল এক্সিডেন্ট নিহত১_আহত১ Logo সৈয়দকাঠি ইউনিয়ন যুবদলের কমিটি গঠন হাবীবুর রহমান আহবায়ক, মহসিন সদস্য সচিব Logo বর্তমান সরকারের দিনবদলের অঙ্গীকার বাস্তবায়নে কারিগরি শিক্ষাকে গতিশীল করা জরুরি। Logo বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের ময়মনসিংহ বিভাগীয় সাংবাদিক সমাবেশের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা ও ইফতার মাহফিল সম্পন্ন
বিজ্ঞাপন
আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিন ।  যোগাযোগঃ 01977306839

সাংবাদিক পরিচয়ে ল্যাগেজ সুবিধা না পাওয়ায় বিজিবির ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করার উদ্দেশ্য মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ

কামাল হোসেন, বিশেষ প্রতিনিধিঃ / ৭২৫ Time View
Update : সোমবার, ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ৩:০৫ পূর্বাহ্ণ

 জমে উঠেছে দেশের ফুলের রাজধানী খ্যাত যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালীর ফুল বাজার। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও ভালোবাসা দিবস ও সহীদ দিবস উপলক্ষে, ব্যপক ফুল চাষ করেছে গদখালী এবং পানিসাড়া গ্রাম সহ ঝিকরগাছা উপজেলার প্রায় ১৭টি গ্রামের ফুল চাষিরা। এর মধ্যে গদখালী, পানিসাড়া, বল্লা, কানারআলী, ডুমরে, সিওরদা, আসিংড়ী, বাইশা উল্লেখযোগ্য। আর এ বছরে ফুলের রাজ্যে ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে টিউলিপ ফুল। শীত প্রধান দেশের ফুল টিউলিপ এদেশে ফুটবে ভাবেনি কেউ! টিউলিপ ফুল বাংলাদেশে প্রথমে ঢাকার গাজীপুরে পরিক্ষামূলক ভাবে চাষ করা হয়, এরপরে দ্বিতীয় বারের মত, যশোরের গদখালীতে গত বছরে চাষ হয়েছিলো, তারই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে এবছরেও চাষ করা হয়েছে টিউলিপ। আর এই অসাধ্যকে সাধন করেছে পানিসাড়ার ফুল চাষি ইসমাইল হোসেন। ইং সন মাস জানুয়ারী’র দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে তার বাগানে দোল খেতে সুরু করেছে বাহারী রঙের টিউলিপ ফুল। সারি সারি দোল খাওয়া টিউলিপের সু-ঘ্রান ও সৌন্দর্য উপভোগ করতে দূর দুরান্ত থেকে আসছে হাজার হাজার দর্শনার্থী। ফুল দেখতে আশা দর্শনার্থী বলেন, এই ফুলটি আমাদের দেশে প্রথম ফুটেছে তাই অতি আগ্রহের কারনে গদখালীতে আসা, আর এই কারনে প্রতিদিনি মানুষের ঢল নামছে ফুলের বাগান গুলোতে। আর এই সুযোগে বাড়তি আয় করতে সক্ষম হচ্ছেন বাগান মালিকরা। বাগানে প্রবেশ করতে মাথাপিছু পর্যটকদের কাছ থেকে নেওয়া হচ্ছে ১০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত। টিউলিপ চাষের বিষয়ে ইসমাইল হোসেন বলেন, প্রথম বার পরিক্ষামূলক ভাবে টিউলিপ চাষ করলেও এখন বানিজ্যিক ভাবে চাষ করতে চেষ্টা করছি। তবে এদেশে ফুল ফুটলেও পরবর্তীতে ফুলচাষের জন্য বাল্ব সংরক্ষণের কোন ব্যবস্থা নেই। একটা নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় টিউলিপের বাল্ব (টিউলিপের বিজ):সংরক্ষণ করতে হয়। এটা টিউলিপ চাষের বড় সমস্য। বানিজ্যিক ভাবে টিউলিপ চাষের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের জলবায়ুর সাথে সামঞ্জস্য রেখে টিউলিপ ফুলের জাত উদভাবন করতে গবেশনা চলছে। ফ্লওয়ার সোসাইটির সভাপতি জনাব আব্দুর রহিম, ফুল চাষকে আরও ব্যাপকতা ও বেগবান করতে সকলকে স্ব-ভূমিকা রাখার আহবান করেন।

– সাংবাদিক পরিচয়ে ল্যাগেজ সুবিধা না পাওয়ায় বিজিবির ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করার উদ্দেশ্য মিথ্যা , বানোয়াট ও ভিক্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করেছে যশোর থেকে অনলাইন ভিক্তিক নিউজ পোর্টাল নোভা নিউজ ২৪ ডট কম। জানা যায় শনিবার o৪ ফেরুয়ারী যশোর থেকে প্রচারিত অনলাইন ভিক্তিক নিউজ পোর্টাল নোভা নিউজ ২৪ ডট কম এর নিজস্ব প্রতিবেদক এর প্রতিবেদনে দেখা যায় ল্যাগেজ প্রতি কাস্টমস ৫, ‘নায়েক নজরুল ২ হাজার করে নিয়ে বৈধতা দিচ্ছে চোরাচালানের শিরোনামে নিউজটি প্রকাশ হয়৷ এমন সংবাদের ভিত্তিতে বিজিবি ও স্থানীয় লেবারদের অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে বিজিবি কর্তৃপক্ষ ,পাসপোর্ট যাত্রী ও লেবারদের সাথে কথা বলে জানা যায় বিজিবির বিরুদ্ধে নিউজে আনীত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন ৷ বিজিবির সদস্যরা নিরলসভাবে কাজ করলেও একটি কুচক্রী মহল বিজিবিকে জড়িয়ে কুৎসা রটাচ্ছেন। একাধিক পাসপোর্ট যাত্রীরা বলেন, বিজিবি আমাদের কাছ থেকে কোন প্রকার অর্থ নেয়নি বরং তারা আমাদের সাথে অনেক আন্তরিকতা দেখিয়েছে। যে বক্তব্যের ভিডিও ফুটেজ প্রতিবেদকের মোবাইলে সংরক্ষিত রয়েছে। এ বিষয়ে ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের আইসিপি চেকপোষ্ট ক্যাম্পের নায়েক নজরুল ইসলাম বলেন, সাংবাদিক মিঠু পরিচয়ে এক ব্যাক্তি আমার কাছে এসে বলে আমার কিছু লাগেজ আছে বের করতে হবে , আমি সাংবাদিক মিঠু আমার ল্যাগেজ গুলো এমনি দিয়ে নেব। তখন আমি তাকে বলি, আপনি কাস্টমে ট্যাক্স দিয়ে নিয়ে আসবেন, সঠিক থাকলে আমি ছেড়ে দিব৷ আমাদের কাছ থেকে কোন সমস্যা নেই৷ ট্যাক্স দেখব,কাগজ দেখব, ছবি করবো আপনি চলে যাবেন ৷ তার অবৈধ প্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায়, আমাকে অনেক হুমকি দেয় যে, আমি সাংবাদিক আমি এটা করবো, ওটা করবো আপনাকে দেখে নিব৷ তিনি আরও বলেন আমরা এখানে যারা ডিউটি করি বিশেষ করে আমাদের কমান্ডার তিনিও ওই সাংবাদিক মিঠুকে একই কথা বলেন, মিঠু আমাদেরকে অনেক কিছু এনে দিতে বলেন৷ তার এমন কথা কর্ণপাত না করার কারণে বিজিবির ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার উদ্দেশ্য সে এমন বিবৃতি দেয়। লেবার হাসানুজ্জামান হাসান বলেন, আমরা এখানে সাধারণ শ্রমিক, আমরা ব্যাগ টেনে এক থেকে দেড়শ টাকা করে পাই , আমরা কোন পাসপোর্ট যাত্রীর কাছ থেকে কোন রকম বাড়তি টাকা পয়সা নিই না , তাছাড়া বিজিবির সাথে আমাদের কোন সম্পর্ক ও লেনেদেন নেই ৷ লেবার হারুন বলেন, কিছু সাধারন যাত্রী আসে তাদের মাল ট্যাক্স করে নিয়ে আসা হয়। ২০ কেজি মালের স্থলে ৪০ কেজি থাকলে যাত্রীরা কাস্টমে বাড়তি ট্যাক্স ও ভ্যাট দিয়ে মাল নিয়ে যায় ৷ সাংবাদিক পরিচয় দানকারী মিঠু আমাকে বলেন, ভারত থেকে মেডিসিন পার করে দিতে হবে তার বিনিময়ে আমাকে ২০ হাজার টাকা দেওয়া হবে৷ তখন আমি বলি মেডিসিন কোন ট্যাক্স আইটেম মাল না , মেডিসিন পার হবে নাi তখন মিঠু বলেন, মেডিসিন যদি পার না হয়, তবে ট্যাক্স আইটেম কিভাবে পার হবে? তখন আমি তাকে বলি, এটা কাপড় আইটেম সরকারি ট্যাক্স ও ভ্যাট দিয়ে বের করে আনে, আর মেডিসিন তো বিজিবি, কাস্টম ও পুলিশ ছাড়বেনা৷ এটাতো সরকারী বেআইনী মাল। আমরা মেডিসিন পার করতে পারবো না এখানে সরকারি গোয়েন্দা সংস্থা আছে । আমরাতো লেবাড়ি করে সারাদিন কষ্ট করে খাই৷ সে বলেছে আমরা নাকি বিজিপিকে টাকা দিই, তিনি যদি প্রমাণ করতে পারে তাহলে আমি লেবারই কাজ ছেড়ে দিব৷ এখানে বিজিবি ও পুলিশ কোন টাকা খায় না। লেবার জোনাব আলী বলেন, এটা পুরো মিথ্যা কথা, আমরা লেবার ভাড়া পায় ৫০ থেকে ১০০ টাকা তাতে আমরা সন্তুষ্ট ৷ বিজিবির সাথে কোন লেনদেন নাই, বিজিবির সাথে আমাদের কোন সম্পর্কই নাই, ব্যাগ প্রতি ৫০ থেকে ১শত টাকা পাই এতেই আমাদের ডাল ভাত হয়ে যায় ৷ ভারত ফেরত যাত্রী নড়াইল জেলার দম্পতি বলেন, বিজিবি যথেষ্ট আন্তরিক আমরা কোন হয়রানি শিকার হয়নি। বিজিবি বা লেবার কোন অতিরিক্ত টাকা-পয়সা চায়নি ৷ ঢাকার টঙ্গীর পাসপোর্ট যাত্রী প্রমিলা বলেন, বিজিবির চেকপোষ্টে আমাকে হয়রানি করেনি, তারা আমার ল্যাগেজ নিয়ম মাফিক চেক করেছেন বলে তিনি বলেন ৷ এ বিষয়ে যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পরিচালক মেজর সেলিমউদ্দোজা বলেন বিজিবির বিরুদ্ধে অভিযোগ ও নিউজটি ভিক্তিহীন। সুবিধা বঞ্চিত একটি জনগোষ্ঠী বিজিবিকে হেয়- প্রতিপন্ন করার অপপ্রচার চালাচ্ছে । বিজিবি সব সময় সৎ ও সততার মধ্যে থেকে সীমান্তের অতন্ত্র প্রহরী হয়ে দিনরাত দেশ এবং দেশের জনগণের জন্য কাজ করে যাচ্ছে বলে তিনি জানান।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Design & Developed by : BD IT HOST